মালদায় গেরুয়া ঝড় সামাল দিতেই কি পুরনো বিবাদ ভুলে দুই মহারথীকে সসম্মানে নতুন প্রতিষ্ঠা দিল তৃণমূল? মালদা-মুর্শিদাবাদ-বীরভূম রাজ্য January 23, 2019 জেলায় তিনি দাপুটে নেতা হিসেবে পরিচিত হলেও দীর্ঘদিন কার্যত তিনি অপ্রাসঙ্গিকই ছিলেন। মন্ত্রীপদ চলে যাওয়ায় পর গোষ্ঠী রাজনীতিতে তিনি বা তাঁর অনুগামীরা তেমন কোনো গুরুত্বপূর্ণ পদে ছিলেন না। আর এবার মালদা জেলায় শাসকদলের অত্যন্ত পরিচিত নাম কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরীকেই মালদহ জেলা পরিষদের মেন্টর পদে নিযুক্ত করায় শুরু হয়েছে তীব্র জল্পনা। সূত্রের খবর, গতকাল বিকেলে মালদহ জেলা পরিষদের মেন্টর পদে কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী এবং কো মেন্টর পদে হরিশচন্দ্রপুরের প্রাক্তন বিধায়ক তাজমুল হোসেন নিজেদের দায়িত্ব বুঝে নেন। তাঁদের সমস্ত দায়িত্ব বুঝিয়ে দেন মালদহ জেলা পরিষদের সভাধিপতি গৌর চন্দ্র মন্ডল এবং জেলাশাসক কৌশিক ভট্টাচার্য। আর হঠাৎ করে এই কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরীর মত নেতাকে মূলস্রোতে ফিরিয়ে আনায় শুরু হয়েছে তীব্র জল্পনা। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - কেননা বিগত বিধানসভা নির্বাচনে পরাজিত হওয়ার পর থেকেই এই কৃষ্ণেন্দু বাবু এবং তাঁর অনুগামীরা মালদা জেলায় কার্যত অপ্রাসঙ্গিক হয়ে যেতে শুরু করেন। এমনকি জেলায় দলের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদও কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরীর বিরুদ্ধ অনুগামীদের হাতেই যায়। আর এহেন একটা পরিস্থিতিতে হঠাৎ সেই কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরীকে জেলা পরিষদের মেন্টর পদে নিযুক্ত করায় অনেকেই মনে করছেন যে, এর পেছনে অন্য কারণ রয়েছে। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের ধারনা, উত্তরবঙ্গ তথা এই মালদা জেলায় ধীরে ধীরে নিজেদের প্রভাব বাড়াতে শুরু করেছে বিজেপি। আর তাই জেলাকে বিজেপি মুক্ত করতে হলে দক্ষ সংগঠক হিসেবে পরিচিত কৃষ্ণেন্দু বাবুর মত নেতাকেই যে মূলস্রোতে ফিরিয়ে আনতে হবে তা উপলব্ধি করেই জেলা পরিষদের মেন্টর পদে তাঁকে বসানো হল। এদিন এই নতুন দায়িত্ব নিয়ে সকলের সাথে পরামর্শ করে কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী বলেন, “এটা একটা নতুন পদ। রাজ্যের প্রতিটি জেলার জন্যই মুখ্যমন্ত্রী এই পদটি তৈরি করেছেন। আমার কাজ করতে ভালো লাগে। এখানে কাজ করার সুযোগ রয়েছে। তাই সেই কাজগুলো যদি করতে পারি তাহলে অনেক উপকার হবে। মমতাদির ভিশনকে সফল করাই আমাদের মূল লক্ষ্য।” তবে শেষপর্যন্ত প্রশাসনিক এবং রাজনৈতিক দিক থেকে কৃষ্ণেন্দুবাবু ঠিক কতটা এই মালদা জেলায় ফের স্বমহিমায় নিজের দাপট অব্যাহত রাখতে পারেন এখন সেদিকেই তাকিয়ে সকলে। আপনার মতামত জানান -