এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > মালদা-মুর্শিদাবাদ-বীরভূম > এবার মালদাতেও করোনার থাবা! পজিটিভ রেজাল্ট এল কোয়ারেন্টাইনে থাকা শ্রমিকের! বাড়ছে আতঙ্ক

এবার মালদাতেও করোনার থাবা! পজিটিভ রেজাল্ট এল কোয়ারেন্টাইনে থাকা শ্রমিকের! বাড়ছে আতঙ্ক


মারণ ভাইরাস করোনার জেড়ে কাঁপছে বিশ্ব। চীন থেকে এই ভাইরাসটি উৎপত্তি ঘটেছে আর তারপর গোটা বিশ্বেই এটি ছড়িয়ে পড়েছে। বিশ্ব মহামারীতে পরিণত হয়ে নির্বিচারে প্রাণ কেড়ে নিচ্ছে একের পর এক মানুষের। আক্রান্ত হচ্ছেন আট থেকে আশি – সকলেই। সবথেকে চিন্তার বিষয়, একে প্রতিহত করার অস্ত্র পাওয়া যায়নি আজও। করোনা থেকে বাঁচার আপাতত একটাই উপায় – স্বেচ্ছায় গৃহবন্দী ও সোশ্যাল ডিস্ট্যান্সিং।

গোটা দেশের মত বাংলাকেও এই করোনা আবহে তিনটি জোনে ভাগ করা হয়েছে লাল, হলুদ এবং সবুজ। গ্রিন জোনের অন্তর্ভুক্ত রাজ্যের ৯টি জেলার মধ্যে মালদহ ছিল অন্যতম। অর্থাৎ যে জেলায় এখনও করোনার সংক্রমণ ঘটে নি। তবে কপালে দুশ্চিন্তার ভাঁজ বাড়িয়ে এই প্রথম করোনা পজিটিভ রোগীর সন্ধান পাওয়া গেল মালদহে। স্থানীয় সূত্রের খবর অনুযায়ী কোয়রান্টিনে ছিলেন ওই ব্যক্তি – কিন্তু এবার তার কোভিড টেস্টিং এর রেজাল্ট পজিটিভ এল।

প্রসঙ্গত, এর আগে একাধিকবার মুখ্যসচিব রাজীব সিনহা জানিয়েছিলেন, মালদহ মেডিক্যাল কলেজে পর পর সমস্ত কোভিড টেস্টের রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। তবে এবার প্রথম সেই মালদাহ থেকেই পজিটিভের খোঁজ পাওয়া গেল। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মানিকচক থানা এলাকার বাসিন্দা ৪৯ বছর বয়সী ওই ব্যক্তি উত্তর ২৪ পরগনার বারাসতে কাজ করতেন। রাজ্যে লকডাউন ঘোষণার পরেই তিনি মালদহে ফেরেন। তাঁকে মানিকচক কলেজের কোয়রান্টিন সেন্টারে রাখা হয়েছিল।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

জেলার স্বাস্থ্য দফতরের তরফ থেকে কোয়রান্টিন সেন্টারে থাকা মানুষদের কোভিড টেস্ট করানো শুরু হয়। তখনই ওই ব্যক্তির শরীরে করোনা পজিটিভ ধরা পড়ে। তাঁকে মালদহ মেডিক্যাল কলেজের আইসোলেশন ওয়ার্ডে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। ওই ব্যক্তির সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে আইসোলেশনে রাখা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, বর্তমানে মালদা মেডিকেল কলেজে কোভিড টেস্টের পরিকাঠামো দিয়ে দিনে ৯০টি নমুনা পরীক্ষা করা যাচ্ছে।

তবে দিন যত গড়াচ্ছে, ততই কিন্তু চিন্তা বাড়ছে। ইতিমধ্যেই চিকিত্‍সাকর্মী এবং নার্সদের মধ্যে সংক্রমণের ছড়িয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে। কয়েক দিন আগেই স্কুল অব ট্রপিকাল মেডিসিনের এক ফার্মাসিস্টের দেহে সংক্রমণ পাওয়া গিয়েছিল। এবার ওই হাসপাতালেরই দু’জন স্বাস্থ্যকর্মী এবং দু’জন নার্সের দেহেও সংক্রমণ মিলেছে। করোনার সঙ্গে যুদ্ধ করতে গিয়ে রাজ্যে একের পর এক চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী যোদ্ধারা এই রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।

তাই স্বাস্থ্য দপ্তর কিছু সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন। কোন রোগীকে সরকারি হাসপাতালে ভর্তি হবার ক্ষেত্রে করোনা টেস্ট আবশ্যিক। রিপোর্ট না পাওয়া পর্যন্ত রোগীদের আইসোলেশনে রেখে চিকিৎসা করা হবে এক সূত্র থেকে জানা গেছে। কিন্তু, তা সত্ত্বেও এই মারণ ভাইরাসকে কতখানি আটকানো যাবে, তা নিয়ে কিন্তু চিন্তা থেকেই যাচ্ছে। কেননা, এবার একে একে এতদিন সংক্রমণের চিহ্ন না থাকা জেলাগুলোতেও সংক্রমণের খবর পাওয়া যাচ্ছে। আর সেই তালিকায় এবার নবতম সংযোজন মালদা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!