এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > মালদা-মুর্শিদাবাদ-বীরভূম > মালদা উত্তরে ঘন্টা দুয়েক “অস্বাভাবিক ভোট বৃদ্ধি”, “ছাপ্পার” গন্ধে নতুন করে ভাবাচ্ছে সব দলকেই

মালদা উত্তরে ঘন্টা দুয়েক “অস্বাভাবিক ভোট বৃদ্ধি”, “ছাপ্পার” গন্ধে নতুন করে ভাবাচ্ছে সব দলকেই

বঙ্গ রাজনীতিতে প্রায় সমস্ত রাজনৈতিক দলই ভোটের মরসুম আসার সময় একে অপরের বিরুদ্ধে ছাপ্পা দেওয়ার অভিযোগ তোলেন। মূলত শাসকের বিরুদ্ধেই এই অভিযোগ তুলতে দেখা যায় বিরোধীদের। ইতিমধ্যেই বাংলায় তিনটি দফায় মোট দশটি লোকসভা কেন্দ্রের নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে।

প্রথম দুই দফায় প্রতিটি বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী না থাকায় গণতন্ত্র প্রহসনে পরিণত হয়েছে বলে শাসকের বিরুদ্ধে তোপ দেগে পরবর্তী দফায় যাতে কেন্দ্রীয় বাহিনী প্রতি বুথেই দেওয়া যায় তার জন্য নির্বাচন কমিশনের কাছে আর্জি জানিয়েছিল বিরোধীরা। আর সেই মতো তৃতীয় দফার ভোটে পর্যাপ্ত পরিমাণে কেন্দ্রীয় বাহিনীর ব্যাবস্থা করেছিল নির্বাচন কমিশন।

গতকাল এই তৃতীয় দফার ভোট শান্তিপূর্ণ হয়েছে বলে দাবি করা হলেও উত্তর মালদহ লোকসভা কেন্দ্রের ভোটের হার হঠাৎ বেড়ে যাওয়াই এখন চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে। সূত্রের খবর, সকাল 9 টা থেকে 11 টা এবং দুপুর 11 টা থেকে 1 টার মধ্যে উত্তর মালদহে যে ভোটের হার, তা সকলের নজর কেড়েছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

কেননা এই সময় লাইনে বেশি ভোটারদের লাইনে দাঁড়াতে না দেখা গেলেও আশ্চর্যজনকভাবে এই সময় ভোটের হার বেশি হতে দেখা যায়। আবার এই সময়ই বিভিন্ন বুথে রিগিং, ইভিএম গোলযোগ এবং সংঘর্ষ নিয়ে শাসকের বিরুদ্ধে সরব হতে দেখা যায় বিরোধীদের জানা যায়, সকাল নটায় উত্তর মালদহে 16.1 শতাংশ ভোট হলেও পরের দু’ঘণ্টার মধ্যে তা বেড়ে 33.3 শতাংশে দাঁড়ায়। আর পরবর্তী দুই ঘণ্টায় সেই ভোট শতাংশের হার বেড়ে দাঁড়ায় 50.30 শতাংশে। তবে বেলা শেষের দিকে যে বেশি করে ভোট পড়ার কথা, সেটা অবশ্য এদিন লক্ষ্য করা যায়নি। আর এখানেই রাজনৈতিক দলগুলোর আশঙ্কা, বেলা 11 টা থেকে 1 টা এবং 1 টা থেকে 3 টি যেভাবে ভোট অব পার্সেন্টেজ বৃদ্ধি পেয়েছে তাতে কিছুটা হলেও ছাপ্পার আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।

এদিন এই প্রসঙ্গে মালদা জেলা বিজেপির প্রবক্তা অজয় গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “দুপুরে ভোটের হার আচমকা বেড়ে যাওয়া খুব স্বাভাবিক। কারণ ভোট চালু হওয়ার কিছুক্ষণ পর থেকেই রিগিং শুরু হয়েছিল।” অন্যদিকে এই প্রসঙ্গে মালদহ জেলা কংগ্রেসের সভাপতি মোস্তাক আলম বলেন, “রতুয়ার 29 টি এবং চাচলের দুটি বুথে ভোট লুট হয়েছে। আমরা সেখানে পুনর্নির্বাচনের দাবি জানিয়েছে। গোটা উত্তর মালদহে তৃণমূলের বাহুবলিদের দাপট বেড়েছে। তবে এসব সত্ত্বেও মানুষ ভোট দিয়েছেন।” অন্যদিকে বুথ জ্যাম করে মানুষের ভোটাধিকার খর্ব করা হয়েছে বলে জানান মালদহ জেলার সিপিএমের সম্পাদক অম্বর মিত্র। তাহলে কি বিরোধীদের এই অভিযোগ সত্যি?

এদিন এই প্রসঙ্গে মালদহ উত্তর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী মৌসম নুরের নির্বাচনী এজেন্ট অম্লান ভাদুড়ি বলেন, “আমরা বিষয়টি পর্যালোচনা করছি। ঠিক কি কারণে দুটি নির্দিষ্ট সময় ভোটের হার বেড়েছে তা খতিয়ে দেখা হবে। তবে মানুষের বিপুল সমর্থন নিয়ে আমরা এবার জয়ী হব।” সব মিলিয়ে এবার আশ্চর্যজনকভাবে উত্তর মালদহে সারাদিনের ভোটে দুই ঘন্টায় অস্বাভাবিক ভোট বৃদ্ধিকে ঘিরে ছাপ্পার অভিযোগ তোলা হতে শুরু করেছে বিরোধীদের তরফে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!