এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > মালদা-মুর্শিদাবাদ-বীরভূম > মালদহের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব সামাল দিতে পদাধিকারীদের নাম রাজ্য নেতৃত্ত্বের উপরেই ছাড়ল তৃণমূল কোর কমিটি

মালদহের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব সামাল দিতে পদাধিকারীদের নাম রাজ্য নেতৃত্ত্বের উপরেই ছাড়ল তৃণমূল কোর কমিটি

কর্মাধ্যক্ষ পদের দিকে নজর রেখেই স্থায়ী সমিতির সদস্যদের তালিকা তৈরি করে রাজ্য নেতৃত্বের কাছে পাঠাল তৃণমূল কংগ্রেসের মালদহ জেলা নেতৃত্ব। সম্প্রতি দু’দফায় মালদহ জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের ছয়জনের কোর কমিটি বৈঠক করে স্থায়ী সমিতির তালিকা তৈরি করে। তাৎপর্যপূর্ণভাবে স্থায়ী সমিতির কর্মাধ্যক্ষ কে হবেন তা নিয়ে কোর কমিটি সরাসরি সিদ্ধান্ত নেয়নি।

ওই বিষয়টি রাজ্য নেতৃত্বের উপরেই ঩ছেড়ে রাখা হয়েছে। কিন্তু ন’টি স্থায়ী সমিতি তৈরির ক্ষেত্রে প্রতিটিতে অন্তত দু’জন করে সম্ভাব্য কর্মাধ্যক্ষের নাম সদস্য হিসাবে রাখা হয়েছে। আর সেই সব সম্ভাব্য কর্মাধ্যক্ষকে অন্তত দু’টি করে কমিটির সদস্য করা হয়েছে। আগামী ১২ নভেম্বর মালদহ জেলা পরিষদের স্থায়ী সমিতি তৈরির জন্যে জেলা প্রশাসন ইতিমধ্যেই নির্দেশিকা জারি করেছে।

মালদহ জেলা পঞ্চায়েত কোর কমিটির সদস্য দুলাল সরকার(বাবলা) বলেন, সর্বসম্মতিতে আলোচনার মাধ্যমে আমরা ৪৫ জনের নামের তালিকা তৈরি করে জেলার পর্যবেক্ষক তথা মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীকে পাঠিয়ে দিয়েছি। তিনি ওই তালিকায় পরিমার্জন করা মনে করলে তা করে অনুমোদন করে দেবেন। ১২ নভেম্বর আমরা সেভাবেই স্থায়ী সমিতি গঠন করে ফেলব।

অন্যদিকে, দলের আরেক কোর কমিটির সদস্য যুবনেতা অম্লান ভাদুড়ী বলেন, ভবিষ্যতে ওই স্থায়ী সমিতি থেকেই কর্মাধ্যক্ষ করা হবে। ফলত সেই বিষয়টি মাথায় রেখেই একাধিক যোগ্যব্যক্তিকে একাধিক কমিটিতে রাখা হয়েছে। দলের পদ্ধতিগত পথে বাকিটা শুভেন্দুবাবু দেখে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবেন।

মালদহে তৃণমূল কংগ্রেসের এবারের পঞ্চায়েতে বিপুল সাফল্য একদিকে যেমন দলকে উৎসাহিত করেছে, তেমনি বিভিন্ন পদাধিকারী নির্বাচনে ক্ষেত্রেও সংকটে ফেলেছে। অনেক সদস্য থাকার জন্যে জেলা পরিষদে কর্মাধ্যক্ষ পদে দাবিদার যেমন বেশি তেমনি পঞ্চায়েত পরবর্তী রাজনৈতিক সমীকরণের বাধ্যবাধকতাও আছে।

দল সূত্রে জানা গিয়েছে, দক্ষিণ মালদহ ও উত্তর মালদহ লোকসভা কেন্দ্রগত সমীকরণ দলকে মাথায় রাখতে হচ্ছে। আবার বিজেপি’র সাম্প্রদায়িক রাজনীতির পালটা সমীকরণও জেলা পরিষদের স্থায়ী সমিতি গঠনের মাধ্যমে তৃণমূলকে দিতে হবে। সেক্ষেত্রে সংখ্যাগুরু ও সংখ্যালঘু জনপ্রতিনিধিদের অনুপাত নিয়েও দলের শীর্ষনেতাদের চর্চা করতে হচ্ছে।

এই পরিস্থিতিতে দলের জেলা পর্যবেক্ষকের নির্দেশে তৃণমূলের পঞ্চায়েত কোরকমিটি সম্প্রতি বৈঠকে বসে। সেখানেই নানান সমীকরণকে মাথায় রেখে একটি খসড়া স্থায়ী সমিতির তালিকা তৈরি করা হয়েছে। দু’দিনের বৈঠকের পরে ওই তালিকা চূড়ান্ত করে জেলা পর্যবেক্ষককে পাঠানো হয়েছে। দল সূত্রে জানা গিয়েছে, স্থায়ী সমিতি নামে তৈরি হলেও বস্তুত লক্ষ রাখা হয়েছে কর্মাধ্যক্ষ পদের দিকে।

কারণ, কর্মাধ্যক্ষ তৈরি হবে নির্বাচিত স্থায়ী সমিতির সদস্যদের মধ্যে থেকেই। ফলে সম্ভাব্য পদাধিকারীকে সেই নির্দিষ্ট স্থায়ী সমিতির সদস্য যাতে হতে পারে তার দিকে খেয়াল রাখতে হয়েছে। তবে দলের অন্দরমহল সূত্রে জানা গিয়েছে, জনপ্রতিনিধিদের চাহিদার সঙ্গে সঙ্গত করতে গিয়ে এই পদ্ধতি অবলম্বন করা হলেও জেলার তালিকা পুরোপুরি অনুমোদন হওয়া কঠিন।

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

 

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

কারণ, কর্মাধ্যক্ষ হিসাবে শীর্ষনেতৃত্ব কাকে চান তা নিয়ে স্পষ্ট ধারণা না থাকা। সেক্ষেত্রে কর্মাধ্যক্ষদের নামের তালিকা তৈরি করে তারপরে স্থায়ী সমিতি করাই স্বাভাবিক ছিল বলে ওয়াকিবহাল মহল মনে করছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!