এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > মালদার পর কি এবার হুগলীর পালা? জেলা পরিষদের দখল নিয়ে চাঞ্চল্যকর দাবী মুকুল রায়ের

মালদার পর কি এবার হুগলীর পালা? জেলা পরিষদের দখল নিয়ে চাঞ্চল্যকর দাবী মুকুল রায়ের


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে শুধুমাত্র প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করার পর যেভাবে তৃণমূল শিবিরে ভাঙন ধরেছে, তা রীতিমতো চিন্তার কারণ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।  বিক্ষুব্ধ তৃণমূল নেতা-নেত্রীদের দলবদলের সঙ্গে হাতবদল হয়ে গেল মালদা জেলা পরিষদের। আর মালদার পর এবার গেরুয়া শিবিরের নজর হুগলির দিকে। শুভেন্দু অধিকারী যখন মালদা জেলার তৃণমূল সদস্যদের বিজেপিতে নিয়ে এসে জেলা পরিষদ দখল করার দাবি জানাচ্ছেন, ঠিক সেসময় হুগলি জেলা পরিষদে ভাঙন ধরালেন গেরুয়া শিবিরের অন্যতম সেনাপতি মুকুল রায়। এদিন মুকুল রায়ের হাত ধরে বিজেপিতে যোগ দিলেন হুগলি জেলা পরিষদের সহ-সভাধিপতি সুমনা সরকার।

তার সাথেই হুগলি জেলার আরও দুই সদস্যও বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে। পাশাপাশি মুকুল রায় এদিন দাবি করেন, হুগলি জেলা পরিষদের আরও বেশকিছু সদস্য গেরুয়া শিবিরের দিকে পা বাড়িয়ে আছেন। যেকোন মুহূর্তে যেকোন দিন তাঁরা তৃণমূল ছেড়ে দিতে পারেন। আর তা যদি হয়, তাহলে মালদা জেলা পরিষদের সাথে সাথেই হুগলি জেলা পরিষদও তৃণমূলের হাত থেকে বেরিয়ে যাবে বলে চাঞ্চল্যকর দাবি করেছেন মুকুল রায়। প্রসঙ্গত, একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে দলবদলের হাত ধরে মালদা জেলার তৃণমূল জেলা পরিষদের সভাধিপতি গৌড়চন্দ্র মন্ডল সহ 14 জন বিজেপিতে যোগদান করেন। তার ফলে 32 সদস্যের মালদা জেলা পরিষদ এই মুহূর্তে বিজেপির হাতে উঠে এলো বলে দাবি করা হচ্ছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অবশ্য এর আগে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা পরিষদও বিজেপির দখলে এসেছিল, কিন্তু খুব বেশিদিন তা ধরে রাখতে পারেনি বিজেপি। যথারীতি বিজেপির হাতছাড়া হয়ে যায় দক্ষিণ দিনাজপুরের জেলা পরিষদ এবং ফিরে যায় তৃণমূলের দখলে। এবারেও বিধানসভা নির্বাচনের মুখে মালদা জেলা পরিষদ বিজেপি দখল করে নিল, যা এই মুহূর্তে যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনা করা হচ্ছে। পাশাপাশি মুকুল রায় যেভাবে হুগলি জেলা পরিষদ দখল করার জন্য উঠে পড়ে লেগেছেন তা যথেষ্ট উদ্বেগজনক তৃণমূল শিবিরের কাছে বলে দাবী ওয়াকীবিহাল মহলের। অন্যদিকে হুগলির সিঙুরের বিধায়ক মাস্টারমশাই রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য্য এদিন তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করেছেন।

খুব স্বাভাবিকভাবেই রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্যের বিজেপিতে আসার সাথে সাথে হুগলি জেলা পরিষদেও ভাঙন ধহরল বলে মনে করা হচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, যেভাবে একের পর এক জেলা পরিষদ এবার দখল করার খেলায় নেমেছে বিজেপি, তাতে একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূল শিবির যে যথেষ্ট কোণঠাসা হয়ে পড়ছে তা এককথায় বলা যায়। একদিকে নির্বাচনী প্রচার, অন্যদিকে দলের অভ্যন্তরীণ অশান্তি, পাশাপাশি গেরুয়া শিবিরের একের পর এক আক্রমণ সব সামাল দিতে তৃণমূলের নাজেহাল অবস্থা হচ্ছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। আপাতত এই পরিস্থিতি সামাল দিতে তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কি ব্যবস্থা গ্রহণ করেন এখন সে দিকেই নজর সবার।

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!