পরিযায়ী শ্রমিকদের ফেরানো নিয়ে মমতার বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতার!জেনে নিন কলকাতা জাতীয় রাজ্য May 9, 2020 করোনা মোকাবিলা এমনিতেই রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে সব সময় সোচ্চার হচ্ছে বিরোধী রাজনৈতিক দল ভারতীয় জনতা পার্টি। রেশনে দুর্নীতি থেকে শুরু করে রাজ্যে করোনা বৃদ্ধি, নানা ইস্যুতে পশ্চিমবঙ্গের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসকে কাঠগড়ায় দাঁড় করাচ্ছে বিজেপি। আর এমত পরিস্থিতিতে এবার বাঙালি পরিযায়ী শ্রমিকদের রাজ্যে ফেরানো নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিকে অভিযোগের আঙুল তুললেন বিজেপির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক কৈলাস বিজয়বর্গীয়। যেখানে পশ্চিমবঙ্গে পরিযায়ী শ্রমিকদের ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে রাজ্য সরকার কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না বলে অভিযোগ করেন তিনি। সূত্রের খবর, শুক্রবার একটি টুইট করেন বিজেপির এই সর্বভারতীয় নেতা। যেখানে তিনি বলেন, “এখন সব রাজ্য সরকারই তাদের শ্রমিকদের প্রতি সংবেদনশীল। শ্রমিকদের ঘরে ফেরানোর চেষ্টা করছে। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাঙালি শ্রমিকদের ফিরিয়ে আনতে কোনো চেষ্টাই করেনি।” তবে শুধু কৈলাস বিজয়বর্গীয়ই নয়, এই ব্যাপারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষও। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - এদিন তিনি বলেন, “পশ্চিমবঙ্গ সরকার চাইছে না পরিযায়ী শ্রমিকরা ফিরুক। পশ্চিমবঙ্গে দুটি ট্রেনের পর আর ট্রেন আসেনি। আর তাতে কতজন শ্রমিক এসেছেন! রাজস্থান থেকে আসা ট্রেনে তীর্থযাত্রীরা এসেছেন। চিকিৎসা করতে যারা বাইরে রয়েছেন, অনেকেই আটকে রয়েছেন। তাদের ফেরানোর উদ্যোগ নেই। এই সরকারের নীতি, মানবিকতা নেই। শুধু রাজনীতি চলছে।” বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ইতিমধ্যেই বিভিন্ন রাজ্য সরকার তাদের রাজ্যের পরিযায়ী শ্রমিকদের ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। কিন্তু সেদিক থেকে পশ্চিমবঙ্গ এখনও পর্যন্ত এই ব্যাপারে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। যার ফলে এদিন সেই বিষয়টি তুলে ধরে রাজ্য সরকার ও রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসকে কোণঠাসা করার চেষ্টা করলেন বিজেপির সর্বভারতীয় নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয় এবং বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলে মত বিশেষজ্ঞদের। এখন গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, বিজেপি নেতাদের এই বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্যের শাসকদলের পক্ষ থেকে পাল্টা কোনো বক্তব্য আসে কিনা, তার দিকেই নজর থাকবে সকলের। আপনার মতামত জানান -