এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > 21 জুলাই ভোটার কার্ডের দাবিতে গুলিতে শহীদ কর্মীদের উৎসর্গকে ভুলে যাচ্ছেন মমতা: স্মৃতি ইরানি

21 জুলাই ভোটার কার্ডের দাবিতে গুলিতে শহীদ কর্মীদের উৎসর্গকে ভুলে যাচ্ছেন মমতা: স্মৃতি ইরানি


2011 সালের আগে তৎকালীন বাম সরকারের বিরুদ্ধে প্রায় ময়দানে নামতে দেখা যেত তৎকালীন বিরোধী দলনেত্রী তথা আজকের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। 1993 সালের একুশে জুলাই “নো আইডেন্টিটি কার্ড নো ভোট” এর দাবিতে রাজপথ কাঁপিয়ে তুলেছিলেন তৎকালীন যুব কংগ্রেসের সভানেত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়।

পরবর্তীতে তার এই আন্দোলন সার্থকতা লাভ করেছিল বটে, কিন্তু প্রাণ গিয়েছিল প্রায় 13 জন যুব কংগ্রেস কর্মীর। আর এরপর থেকেই প্রতি বছর একুশে জুলাই ধর্মতলা শহীদ সমাবেশ পালন করে তৃণমূল কংগ্রেস। যেখানে শহীদ পরিবারগুলিকে সম্মাননা জানানো হয়। তবে 2011 সালে তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর সেই শহীদ পরিবারগুলো তৃণমূলের ক্ষমতার গ্রাস থেকে অনেকটাই বিচ্যুত হয়ে গিয়েছেন বলে অভিযোগ তুলতে দেখা যায় বিরোধীদের।

এমনকি শহীদ পরিবারগুলোর মুখেও এই ব্যাপারে ক্ষোভের সুর শুনতে পাওয়া যায় বলে দাবি একাংশের। আর এবার এই প্রসঙ্গেই তৃণমূল নেত্রী তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কড়া ভাষায় আক্রমণ করলেন কেন্দ্রীয় নারী, শিশুকল্যাণ এবং বস্ত্রমন্ত্রী স্মৃতি ইরানি। সূত্রের খবর, দ্বিতীয় দফায় নরেন্দ্র মোদী নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকারের 100 দিনের সাফল্য নিয়ে মঙ্গলবার দুপুরে সিটি সেন্টার 2 এর কাছে একটি বেসরকারি হোটেলে সাংবাদিক বৈঠক করেন এই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।

আর সেখানেই রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের বিভিন্ন কর্মকান্ড নিয়ে সোচ্চার হতে দেখা যায় তাকে। তিনি বলেন, “2005 সালে অবৈধ অনুপ্রবেশ নিয়ে সংসদে যে পদক্ষেপ নিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, এখন তিনি তার উল্টো পথে হাঁটছেন। বামেদের সঙ্গে একসাথে এনআরসির বিরোধিতায় উনি বিধানসভায় প্রস্তাব আনছেন। অর্থাৎ একুশে জুলাই ভোটার কার্ডের দাবিতে মিছিলে বাম সরকারের গুলিতে শহীদ কর্মীদের উৎসর্গ ভুলে যাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, একটি সূত্র ধরে দুই দিক থেকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তুলোধোনা করার চেষ্টা করলেন স্মৃতি ইরানি। একদিকে এনআরসি ইস্যূতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভূমিকা তুলে ধরা। আর অন্যদিকে যে শহীদ পরিবারদের জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষমতায় এসেছেন, সেই শহীদ পরিবারের মানুষদের শহীদ করে দেওয়া বামফ্রন্টের সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হাত মিলিয়ে সেই শহীদদেরকে অসম্মান করছেন বলে তৃণমূলকে কিছুটা কোণঠাসা করার চেষ্টা করলেন কেন্দ্রীয় নারী শিশুকল্যাণ মন্ত্রী বলে মত বিশ্লেষকদের। তবে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর এই বক্তব্যকে মানতে নারাজ তৃণমূল।

এদিন এই প্রসঙ্গে রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, “সমস্ত কিছুর ভুল ব্যাখ্যা হচ্ছে। তখন “নো আইডেন্টিটি কার্ড, নো ভোট” নিয়ে আন্দোলন হয়েছিল। এখন এনআরসির নামে যারা প্রকৃত নাগরিক, তাদের উদ্বাস্তু করে দেওয়া হচ্ছে। আর তার বিরুদ্ধেই আমাদের আন্দোলন।”

এদিকে সম্প্রতি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক সংযুক্তিকরণের বিরোধিতা করে তৃণমূল নেত্রী তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি লিখলে এদিন সেই প্রসঙ্গেও মুখ খোলেন স্মৃতি ইরানি। তিনি বলেন, “কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী জানিয়ে দিয়েছেন ব্যাংক সংযুক্তিকরণের ফলে একটিও চাকরি যাবে না। বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর কেন্দ্রীয় সরকারের বিরোধিতা করার রীতি বাংলা ও ভারতের রাজনীতিতে পরিচিত। তিনিই একসময় ভোটার লিস্টে অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে বলে সংসদে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন।”

অন্যদিকে রাজ্যে তৃণমূল সরকারের আমলে আইন-শৃংখলার অবনতি এবং কাঠমানি নেওয়ার বাড়বাড়ন্ত শুরু হয়েছে বলেও ঘাসফুল শিবিরের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে দেখা যায় এই কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে। পাশাপাশি তিনি রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভূমিকার জন্য কেন্দ্রের বিভিন্ন প্রকল্পের সুফল বাংলার কৃষক, গরিব শ্রেণীর মানুষেরা পাচ্ছেন না।” সব মিলিয়ে এবার একাধিক ইস্যুতে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করে শোরগোল তুলে দিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!