এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > আজ তৃণমূলের শহীদ দিবস উদযাপন, মমতার বক্তব্যের প্রধান বিষয় কি? জেনে নিন

আজ তৃণমূলের শহীদ দিবস উদযাপন, মমতার বক্তব্যের প্রধান বিষয় কি? জেনে নিন


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – গত বছর থেকে করোনা ভাইরাসের কারণে ধর্মতলায় তৃণমূলের শহীদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হচ্ছে না। ভার্চুয়ালি শহীদ সমাবেশে বক্তব্য রাখছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবারও তার ব্যতিক্রম নয়। তবে এবারের একুশে জুলাই অন্যবারের একুশে জুলাইয়ের থেকে অনেক বেশি রাজনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে। তৃতীয় বারের জন্য বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় এসেছে তৃণমূল কংগ্রেস। ব্যাপক বিজেপির হাওয়া থাকা সত্ত্বেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের ক্যারিশমা দেখিয়ে দিয়েছেন। আর বাংলা দখল করার পর সংগঠনকে নতুন করে সাজানোর মধ্যে দিয়ে তৃণমূল নেত্রী বুঝিয়ে দিয়েছেন, এবার তাদের টার্গেট দিল্লি দখল।

আর সেই টার্গেটের কথাই একুশে জুলাইয়ের ভার্চুয়ালি মঞ্চ থেকে তুলে ধরতে পারেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মূলত, তৃণমূলের এই একুশে জুলাই বাৎসরিক বড় কর্মসূচির মধ্যেই পড়ে। আর এই কর্মসূচি থেকে ভবিষ্যতে কিভাবে চলতে হবে, তার ব্যাপারে দিকনির্দেশ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই এবারের একুশে জুলাইয়ে ভার্চুয়ালি মঞ্চ থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় 2024 এর লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে এখন থেকেই দলকে প্রস্তাব দিতে পারেন বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। মূলত, বিজেপিকে কেন্দ্রের ক্ষমতা থেকে সরাতে যে বিরোধী মহাজোট তৈরি করা প্রয়োজন, সেই ব্যাপারেও একুশে জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে তাৎপর্যপূর্ণ বার্তা দিতে দেখা যেতে পারে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

 

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সূত্রের খবর, আজ তৃণমূলের শহীদ দিবসে বেলা দুটোয় ভার্চুয়ালি বক্তব্য রাখবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তার এই বক্তব্যের প্রধান বিষয় থাকবে বিজেপি বিরোধিতা বলেই মনে করা হচ্ছে। একাংশ বলছেন, এই একুশে জুলাইকে সামনে রেখে অন্যান্য রাজ্যে নিজেদের আধিপত্য বিস্তারে মনোযোগী হয়েছেন তৃনমূল কংগ্রেস। ত্রিপুরা থেকে শুরু করে আসাম, তামিলনাড়ু থেকে শুরু করে রাজধানীর বুকে একুশে জুলাইয়ের ব্যাপক প্রচার করা হয়েছে। যা থেকে কার্যত স্পষ্ট যে, তৃণমূল সর্বভারতীয় রাজনীতিতে বেশি মনোযোগী হতে চলেছে। তাই একুশে জুলাইয়ের শহীদ দিবস থেকেই ভবিষ্যতের পরিকল্পনা হিসেবে বিজেপিকে কেন্দ্রের ক্ষমতা থেকে সরানোর ব্যাপারে কর্মীদের বার্তা দিতে পারেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি আগামী দিনে যে বিজেপি বিরোধিতায় গোটা দেশে নির্ণায়ক শক্তি হতে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেস, সেই কথাও নিজের বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে তুলে ধরে অন্যান্য বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোকে বার্তা দিতে পারেন তৃণমূল নেত্রী বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

 

এদিন এই প্রসঙ্গে তৃণমূল মহাসচিব তথা রাজ্যের শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “বিজেপির সর্বগ্রাসী শাসন থেকে গোটা দেশ মুক্তি চাইছে। আর বাংলায় তা করে দেখিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই কলকাতা থেকে গোটা দেশকে তাকেই পথ দেখাতে হবে।” অর্থাৎ পার্থবাবুর এই বক্তব্য থেকে স্পষ্ট তৃণমূলের আপামর কর্মী-সমর্থকরা চাইছেন, বামেদের বাংলা থেকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর এবার যেন বিজেপিকে দিল্লি থেকে ক্ষমতাচ্যুত করতে প্রধান ভূমিকা গ্রহণ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেই কারণেই এবারের একুশে জুলাই রাজনৈতিকভাবে অনেক বেশি আশাবাদী হয়ে দাঁড়িয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের কাছে। তাই ভার্চুয়ালি হলেও এবং ধর্মতলায় দলের নেতা কর্মীরা যেতে না পারলেও, এবারের একুশে জুলাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য যে সকলের কাছে অত্যন্ত চমকপ্রদ এবং আশাবাদী হয়ে উঠতে চলেছে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। তবে ভার্চুয়ালি শহীদ দিবসে বক্তব্য রাখার সময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগামী দিনের কর্মসূচি হিসেবে দলের নেতা কর্মীদের কোন পথ অবলম্বন করতে বলেন, বিজেপিকে সরানোই এবারের শহীদ দিবসের মঞ্চ থেকে প্রধান বার্তা হয় কিনা, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!