এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > মমতা, অভিষেক বা দলীয় নেত্রীও নয়, সর্বক্ষেত্রেই বিদ্রোহের তীর প্রশান্ত কিশোরের দিকে, অস্বস্তি অব্যাহত তৃনমূলে!

মমতা, অভিষেক বা দলীয় নেত্রীও নয়, সর্বক্ষেত্রেই বিদ্রোহের তীর প্রশান্ত কিশোরের দিকে, অস্বস্তি অব্যাহত তৃনমূলে!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – লোকসভা নির্বাচনের পর থেকেই তৃনমূলের রননীতিকার হয়েছেন প্রশান্ত কিশোর। আর তারপর থেকেই দলের সমস্ত সিদ্ধান্ত নিতে দেখা যাচ্ছে তাকে। সাংগঠনিক পরিবর্তন থেকে শুরু করে বিভিন্ন কর্মসূচি সেই প্রশান্ত কিশোরের মস্তিষ্কপ্রসূত বলেই দাবি করছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে বিভিন্ন জেলায় সংগঠনে পরিবর্তন আনার জন্য প্রশান্ত কিশোর তৃণমূল নেতৃত্বের কাছে সুপারিশ করায় এখন দলের অনেকেই ক্ষুব্ধ হতে শুরু করেছেন। এক্ষেত্রে যারা এতদিন বিভিন্ন জেলায় সংগঠন পরিচালনা করেছেন, তাদের অনেকেই প্রশান্ত কিশোরের টিমের জন্য সরে যাওয়ায় ব্যাপক অসন্তোষ তৈরি হয়েছে শাসকদলের অন্দরমহলে।

অনেকেই বলছেনহ বাইরে থেকে এইভাবে কাউকে নিয়ে এসে দল পরিচালনা করা কি ঠিক! বিধানসভা নির্বাচনের আগে ইতিমধ্যেই প্রশান্ত কিশোরের টিমের বিরুদ্ধে নাম না করে সরব হতে দেখা গেছে দুই বিধায়ককে। যার মধ্যে অন্যতম কোচবিহারের মিহির গোস্বামী এবং ব্যারাকপুরের শীলভদ্র দত্ত। স্বাভাবিকভাবেই লোকসভা নির্বাচনের পর দলের ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধার করতে প্রশান্ত কিশোরকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দলের রণনীতিকার করলেও, সেই প্রশান্ত কিশোরকে নিয়েই এখন দলের অনেকে সরব হওয়ায় তৈরি হয়েছে প্রশ্ন।

বিশ্লেষকদের মতে, এককালে তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড ছিলেন মুকুল রায় তার মস্তিষ্কের বিভিন্ন নির্বাচনী সাফল্য পেয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। কিন্তু সেই মুকুল রায় তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করার পর থেকেই তৃণমূলে ভাঙ্গন হতে দেখা যায়। সাংসদ থেকে শুরু করে বিধায়ক এবং নানা স্তরের জনপ্রতিনিধিরা মুকুল রায় সদ্য যোগদান করতে শুরু করেন ভারতীয় জনতা পার্টিতে। এমনকি গত লোকসভা নির্বাচনে সেই মুকুল রায়ের ক্যারিশমায় রাজ্যে ভালো ফল করে ভারতীয় জনতা পার্টি। তাই সেই মুকুল রায়কে দমানোর জন্য তৃণমূলের পক্ষ থেকে নিয়ে আসা হয় প্রশান্ত কিশোরকে।

কিন্তু প্রশান্ত কিশোর দলের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই যেভাবে একাধিক সিদ্ধান্ত নিতে শুরু করেছেন, তাতে দলের অনেকেই ক্ষুব্ধ বলে খবর। যার ফলে প্রকাশ্যেই প্রশান্ত কিশোরের বিরুদ্ধে অনেকে মুখ না খুললেও, এখন ধীরে ধীরে অনেকেই অসন্তোষ প্রকাশ করতে শুরু করেছেন। আর এর ফলেই বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যদি অবিলম্বে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূল নেতৃত্ব প্রশান্ত কিশোরের কাছ থেকে ক্ষমতা নিজেদের হাতে নিয়ে দলের হাল না ধরেন, তাহলে তৃণমূলের ব্যাপক বিদ্রোহ শুরু হতে পারে। যার প্রভাব পড়বে আগামী বিধানসভা নির্বাচনে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আর এখানেই তৃণমূলের একাংশ বলছেন, বর্তমানে শুভেন্দু অধিকারীকে কেন্দ্র করে ব্যাপক জল্পনা ছড়িয়ে পড়েছে মনে করা হচ্ছে। শুভেন্দুবাবু দলে গুরুত্বপূর্ণ জায়গা না পাওয়ার কারণে দলের সঙ্গে দূরত্ব স্থাপন করেছেন। আর এই পরিস্থিতিতে কিছুদিন আগেই তার বাড়িতে উপস্থিত হয়েছিলেন প্রশান্ত কিশোর। কিন্তু তারপরেও শুভেন্দু অধিকারীর অরাজনৈতিক আচার-আচরণ সন্দেহের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে বিশেষজ্ঞদের কাছে। দ্রুত শুভেন্দুবাবু এমন কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারেন, যার ফলে শাসকদলে প্রভাব পড়বে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

আর এই পরিস্থিতিতে যদি অবিলম্বে প্রশান্ত কিশোরের রাশকে আলগা করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বা তৃণমূল নেতৃত্ব পদক্ষেপ গ্রহণ না করে, তাহলে ভয়াবহ বিপদের সম্মুখীন হতে পারে ঘাসফুল শিবির বলে দাবি একাংশের। কেননা বিগত বাম আমলে এই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লড়াই আন্দোলনের মধ্য দিয়ে ক্ষমতায় এসেছিলেন।

ফলে এখন বিজেপির মত শক্তিকে মোকাবিলা করতে গেলে কেন সেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রশান্ত কিশোরের উপর নির্ভরশীল হতে হবে, তা নিয়ে দলের অনেকেই প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন। স্বাভাবিক ভাবেই এখন তৃণমূল নেতৃত্ব এই ব্যাপারে কি পদক্ষেপ গ্রহণ করে, দলের অসন্তোষ আটকাতে কি সিদ্ধান্ত নেয় ঘাসফুল শিবির, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!