এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > মমতা-অভিষেককে বেষ্টন করে থাকলেই বাড়তি মাইনে? বোমা ফাটালেন শুভেন্দু!

মমতা-অভিষেককে বেষ্টন করে থাকলেই বাড়তি মাইনে? বোমা ফাটালেন শুভেন্দু!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যুক্ত হওয়ার পর থেকেই যারা তোষামোদ করতে পারবে, তারা তৃণমূলে থাকতে পারবে বলে কটাক্ষ করে আসছেন রাজ্যের বর্তমান বিজেপি বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এক্ষেত্রে আত্মসম্মান নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস করা যাবে না বলেও দাবি করতে দেখা গেছে তাকে। বর্তমানে বিধানসভার ভেতরে এবং বাইরে বিভিন্ন ইস্যুতে শাসক দলকে চেপে ধরেছে বাংলার বিরোধী দল গেরুয়া শিবির। আর এবার সরকারি কর্মচারীদের দীর্ঘদিনের দাবি মহার্ঘ ভাতার স্বপক্ষে কথা বলে রীতিমতো বিস্ফোরক মন্তব্য করতে দেখা গেল তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাক্তন সৈনিক তথা বর্তমানে রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারীকে।

যেখানে রাজ্যের সরকারি কর্মচারীদের উপর বঞ্চনা হচ্ছে, এই কথা তুলে ধরার পাশাপাশি যারা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তার ভাইপোকে পাহারা দেয়, তারা দশ হাজার টাকা বাড়তি ভাতা পান বলেও দাবি করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। স্বভাবতই তাঁর এই বক্তব্যকে কেন্দ্র করে রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে গোটা রাজ্য রাজনীতিতে। সূত্রের খবর, সোমবার রাজ্যের সরকারি কর্মীদের মহার্ঘভাতার বঞ্চনার দাবি কথা তুলে ধরে বিজেপির সরকারি কর্মচারী পরিষদের পক্ষ থেকে বিক্ষোভ দেখানো হয়। আর সেখানেই উপস্থিত সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

যেখানে তিনি বলেন, “রাজ্য সরকারি কর্মীদের মধ্যে একটা সুবিধাভোগী শ্রেণী তৈরি করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী এবং তার ভাইপোকে যারা পাহারা দেয়, সেই ডিরেক্টোরেট অফ সিকিউরিটি কর্মীরা দশ হাজার টাকা বাড়তি ভাতা পান। কোনো সরকারি কর্মীরা তা পান না। আমি বিরোধী দলনেতা হিসেবে সরকারি কর্মচারী পরিষদের লড়াইয়ের সঙ্গে আছি।” আর শুভেন্দু অধিকারীর এই মন্তব্যকে কেন্দ্র করে নানা মহলে শোরগোল পড়ে গিয়েছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অনেকে বলছেন, শুভেন্দু অধিকারী এতদিন তৃণমূল কংগ্রেসের শীর্ষ নেতা ছিলেন। বিজেপিতে আসার পর বারবার বিভিন্ন সভা সমিতি থেকে তিনি বলার চেষ্টা করেছেন, তিনি তৃণমূল কংগ্রেসের ভেতর প্রক্রিয়া সম্পর্কে সম্পূর্ণ অবহিত। তাহলে কি এই কথা বলে শুভেন্দু অধিকারী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অস্বস্তি আরও দ্বিগুন ভাবে বাড়িয়ে দিলেন! যদি শুভেন্দু অধিকারীর এই বক্তব্য সত্যি হয়, তাহলে তৃণমূলের বিড়ম্বনা যে যথেষ্ট পরিমাণে বৃদ্ধি পাবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

বিশেষজ্ঞদের একাংশ বলছেন, গরু পাচার থেকে শুরু করে কয়লা পাচার, বিভিন্ন ঘটনায় বিধানসভা নির্বাচনের সময় তুলে ধরে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম না করে আক্রমণ করেছেন এই শুভেন্দু অধিকারী। বারবার তিনি নিজের বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে বোঝানোর চেষ্টা করেছেন, তৃণমূল কংগ্রেস দুই ব্যক্তির দ্বারা পরিচালিত হয়। আর এবার সরকারি কর্মচারীদের দীর্ঘদিনের বকেয়া থাকা মহার্ঘ ভাতা নিয়ে তৈরি হওয়া সরকারি কর্মচারী পরিষদের আন্দোলনে নিজেকে যুক্ত করে রীতিমতো বোমা ফাটালেন শুভেন্দু অধিকারী।

যেখানে সরকারি কর্মচারীরা বঞ্চিত বলে দাবি করা হয় সেখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে পাহারা দেওয়া সরকারি কর্মচারীরা বাড়তি সুবিধা পান বলেও শুভেন্দুবাবুর এই ধরনের দাবি রাজ্য রাজনীতিতে যে যথেষ্ট আলোড়ন ফেলে দিয়েছে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। সব মিলিয়ে শুভেন্দু অধিকারীর এই ধরনের বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে তৃণমূলের পক্ষ থেকে কোনো প্রতিক্রিয়া আসে কিনা, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!