এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > মমতা-অভিষেকের প্রশংসায় পঞ্চমুখ প্রবীর ঘোষাল, দলে ফিরতে চাওয়ার বার্তা?

মমতা-অভিষেকের প্রশংসায় পঞ্চমুখ প্রবীর ঘোষাল, দলে ফিরতে চাওয়ার বার্তা?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বিধানসভা নির্বাচনের আগেই দিল্লিতে গিয়ে অমিত শাহের হাত থেকে গেরুয়া শিবিরের পতাকা নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করেছিলেন উত্তরপাড়ার প্রাক্তন বিধায়ক প্রবীর ঘোষাল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রথম দিনকার সঙ্গী বিশিষ্ট সাংবাদিক তথা তৃণমূলের তৎকালীন বিধায়কের গেরুয়া শিবিরে যোগদানের ফলে অনেকটাই হতাশ হয়ে গিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। পরবর্তীতে তিনি বিজেপিতে যোগদান করার পর তাকে উত্তরপাড়া বিধানসভা কেন্দ্রে প্রার্থী করেছিল ভারতীয় জনতা পার্টি। কিন্তু তৃণমূলের তারকা প্রার্থী কাঞ্চন মল্লিকের কাছে পরাজিত হয়েছেন তিনি।

পাশাপাশি রাজ্যে বিপুল আসন নিয়ে ক্ষমতায় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। আর এই পরিস্থিতিতে তৃণমূল ছেড়ে যে সমস্ত হেভিওয়েট নেতা নেত্রী বিজেপিতে গিয়ে প্রার্থী হয়েও পরাজিত হয়েছেন, তারা আবার তৃণমূলে ফিরে আসতে পারেন বলে জল্পনা তৈরি হয়েছিল। এমনকি সম্প্রতি এই ব্যাপারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রশ্ন করা হলে “সকলকে স্বাগত” বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন তিনি।

যার ফলে বেশ কিছু নেতা-নেত্রীকে নিয়ে কার্যত গুঞ্জন তৈরি হয়। আর এই পরিস্থিতিতে সেই গুঞ্জনকে আরও বাড়িয়ে দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশংসা করলেন উত্তরপাড়া বিধানসভা কেন্দ্রে বিজেপির পরাজিত প্রার্থীর ঘোষাল। যার ফলে তিনি আবার তৃণমূল কংগ্রেসে ফিরে আসতে পারেন বলে জল্পনা তৈরি হয়েছে।

সূত্রের খবর, এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূল সরকারের ভূয়সী প্রশংসা করেন প্রবীর ঘোষাল। তিনি বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের যে উন্নয়নের কর্মসূচি মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়েছিল এবং 2019 এর লোকসভা ভোটে বিপর্যয়ের পর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যেভাবে এই কাজটি নিজের হাতে নিয়ে পালন করেছেন, বিধানসভা ভোটে তার ফল পেয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস।”

স্বাভাবিক ভাবেই বিজেপিতে যোগদান করা প্রবীর ঘোষালের গলায় এখন তৃণমূল সম্পর্কে এই নরম সুরকে কেন্দ্র করে রীতিমতো গুঞ্জন বাড়তে শুরু করেছে। তাহলে কি প্রবীরবাবু আবার ফিরতে চলেছেন ঘাসফুল শিবিরে? এদিন বিজেপি সম্পর্কে বেশকিছু দুর্বলতার কথা তুলে ধরেন প্রবীর ঘোষাল। তিনি বলেন, “একটা দুর্বলতা তো ছিলই। বুথের ভোটার স্লিপ পর্যন্ত প্রত্যেক মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া যায়নি। সেটা করতে পারেননি বিজেপির কর্মীরা। প্রচারে মুখ্যমন্ত্রী মমতার আবেদনকে বাংলার মানুষ অনেক বেশি গ্রহণ করেছিল বলেই আজ এই ফল হল।”

পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সহ পুরো বিজেপি বাংলা দখলের জন্য ঝাঁপিয়ে পড়লেও বাংলার মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই গ্রহণ করেছে বলে দাবি করেন হেভিওয়েট এই বিজেপি নেতা। বিশ্লেষকরা বলছেন, এইরকম ঘটনা যে এখন ক্রমাগত ঘটতে শুরু করবে রাজ্য রাজনীতিতে, তা একপ্রকার নিশ্চিত। বিজেপিতে যোগদান করে প্রার্থী হওয়ার পর অনেকেই জয়লাভ করতে পারেননি।

একমাত্র শুভেন্দু অধিকারী ছাড়া তৃণমূল থেকে গিয়ে বিজেপিতে টিকিট পেয়ে জয়লাভ করেছেন, এইরকম দ্বিতীয় ব্যক্তির নাম মনে পড়ছে না কারোরই। তাই এই পরিস্থিতিতে প্রবীর ঘোষালের মুখ থেকে প্রাক্তন দল তৃণমূল কংগ্রেসের প্রশংসা এবং প্রাক্তন নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পর্কে নরম সুর রীতিমত গুঞ্জন বাড়িয়ে দিল। তাহলে কি প্রবীরবাবুর এবার তৃণমূলে যোগদান করা শুধু সময়ের অপেক্ষা? এখন এই প্রশ্নই উঠতে শুরু করেছে রাজ্য রাজনীতিতে। সব মিলিয়ে প্রশংসা করেই ক্ষান্ত থাকেন প্রবীর ঘোষাল, নাকি সরাসরি যোগদান করেন তৃণমূল কংগ্রেসে, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!