এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > “মমতা ব্যানার্জী তোলা তুলছেন।” বিস্ফোরক দাবি সিপিআইএম নেতার

“মমতা ব্যানার্জী তোলা তুলছেন।” বিস্ফোরক দাবি সিপিআইএম নেতার

সম্প্রতি কলেজে ভর্তির নামে তোলাবাজি নিয়ে নাস্তানাবুদ অবস্থা রাজ্যের কলেজ পড়ুয়া,অভিভাবকদের। প্রায় রোজই নতুন নতুন কলেজের নাম জুড়ছে এই দুর্নীতি কান্ডে। পরিস্থিতি সামলাতে যথারীতি নাকানিচোবানি খেতে হচ্ছে শিক্ষাদপ্তর সহ পুলিশ প্রশাসনকে। শেষে ময়দানে নামতে হয়েছে খোদ মুখ্যমন্ত্রীকেও। দুর্নীতিবাজ তৃণমূল ছাত্র সংগঠনের বিরুদ্ধে কড়া নির্দেশিকাও জারি করেছিলেন যে নেত্রী, এবার তাকেই অভিযোগের কাঠগড়ায় তুললেন সিপিআইএম নেতা শ্যামল চক্রবর্তী। এদিন সল্টলেকের বিদ্যুৎ ভবনের সামনে CITU-র সংগঠনের এক জনসভায় হাজির হয়ে ছাত্রভর্তি সংক্রান্ত তোলাবাজি নিয়ে কথা বলতে গিয়েই তোপ দাগলেন বঙ্গের নেত্রীকে। জানালেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই তিনি তোলা তুলতে দেখছেন। তিনি তাঁর ছবি বিক্রি করেই তো ১ লাখ ৮৬ হাজার টাকার ফায়দা লুটছেন। সারদা-নারদার মতো চিটফান্ডের টাকা নিজেদের পকেটে ঢোকাচ্ছেন। রোজভ্যালির টাকাও ঝেড়ে ফেলছেন বড় বড় মন্ত্রীরা। তাই দেখেই ছোটরা শিখছে। তাই আজকাল রাজ্যের দশা। কলেজে ছাত্র ভর্তির নামে তোলাবাজির মতো দুর্নীতি কর্মসূচিতে মেতেছে রাজ্যের তরুণ ছাত্র,সংগঠনগুলো।

প্রিয় বন্ধু বাংলার অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ – Priyo Bandhu Bengali

—————————————————————————————————————————————————-

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

প্রসঙ্গত, বিদ্যুৎ দপ্তরে সরাসরি কর্মী নিয়োগ নিয়েও দীর্ঘদিন সমস্যা চলছে। স্থগিত রয়েছে সরাসরি নিয়োগ প্রক্রিয়া। তবে কন্ট্রাক্টরের মাধ্যমে অবাধে কর্মী নিয়োগ পর্ব মেটাচ্ছেন তাঁরা। ওদিকে সঠিক পারিশ্রমিকও দেওয়া হচ্ছে না। এ শোষণের বিরুদ্ধেই অভিযোগে সরব হয় CITU। তাই বিদ্যুৎ দপ্তরে সরাসরি কর্মী নিয়োগ এবং ১৮ হাজার টাকা বেতনের দাবী নিয়ে বিদ্যুৎ ভবনের সামনে CITU সমর্থিত বামপন্থী কর্মী সংগঠন গুলো দুদিনের অবস্থান ধর্মঘট করছে। এই কর্মসূচিতেই মঞ্চে পাওয়া গেছিলো শ্যামল চক্রবর্তীকে। আজ এই কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছেন অন্য এক বামপন্থী নেতা সুজন চক্রবর্তী। এদিন রাজ্যে বাড়তি বিদ্যুৎ দেওয়ার প্রসঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ শানিয়ে তিনি বলেন যে যেটি মুখ্যমন্ত্রীর বলার দরকার সেটা আজ তাকে বলতে হচ্ছে। আসলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেটাই বলেন যেটা প্রকৃত অবস্থার সাপেক্ষে উল্টো। তাই নেত্রীর কথায় কান না দিতেও এদিন তিনি কর্মীদের বারণ করলেন।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!