জেলা পরিষদের ‘তখতেও’ এবার কন্যাশ্রী, ‘নতুন মমতাকে’ নিয়ে আবেগে ভাসছে তৃণমূল রাজ্য May 20, 2018 পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতির অঙ্গনে এদিন অভিষেক হল নতুন মমতার। এই খবর দেখে চোখ কপালে উঠলেও এমনটাই হয়েছে। তবে ইনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নন্, মমতা মুর্মু। সদ্য একুশে পা রাখা এই কন্যাশ্রী এখন পশ্চিম মেদিনীপুরের রাজনীতির নতুন সদস্য এবং জেলা পরিষদের প্রার্থীদের ভিতর সর্ব কনিষ্ঠ। কিন্তু কীভাবে রাজনীতির জগতে উত্থান ঘটন তাঁর? আসুন জেনে নেওয়া যাক সে ইতিহাসই। মেদিনীপুর সদর ব্লকের পাথরার চকদৌলত গ্রামে অভাবী পরিবারে জন্ম মমতা মুর্মুর। বাবা তাঁরাপদ মুর্মু সংসার চালান সামান্য জমির উপর ভরসা করেই। তিনিও তৃণমূলকর্মী এবং বিধায়ক দীনেন রায় অনুগামী তো বটেই। একসময় জোড়াফুল প্রতীকো ভোটেও দাঁড়িয়েছেন তিনি। স্থানীয় রাঘবচক শিশু শিক্ষা কেন্দ্র থেকেই মমতার লেখাপড়া শুরু। তারপর উচ্চ মাধ্যমিক অব্দি তাঁর শিক্ষা চলেছে খড়গপুর গ্রামীণপর মেউদিপুর হাইস্কুলে। তারপর দর্শন বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন তিনি ডেবার কলেজ থেকে। স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করতে সম্প্রতি ভর্তি হয় বিদ্যাসাগর বিশ্ব বিদ্যালয়ে। ছাত্রী জানান যে সামনেই তাঁর এম. এ প্রথম বর্ষের পরীক্ষা। আপাতত তাঁর প্রস্তুতিতেই মত্ত তিনি। আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে আরো জানা যায়,এবার পঞ্চায়েত ভোটে মেদিনীপুর সদর ব্লকে জেলা পরিষদের এক আসনে তৃণমূলের হয়ে প্রার্থী হয়েছিলেন এই কন্যাশ্রী। হঠাৎ করে বিশ্ববিদ্যালয় জীবনেই কেন বেছে নিলেন রাজনীতির পথ? এ প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এর কন্যাশ্রী প্রকল্প বহু সমাজের পিছিয়ে পড়া মেয়েদের পড়াশুনো করতে সাহায্য করেছে। এগিয়ে এনেছে। তিনিও পেয়েছেন সাইকেল,কন্যাশ্রীর টাকা। নয়তো তাঁর পক্ষে পড়াশুনো চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হতো না। তাই তিনি অনুপ্রাণিত হয়েছেন রাজ্য সরকারের কাজে। আরো জানালেন যে তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ভালোবাসেন। তৃণমূলকে ভালোবাসেন। কলেজে থাকাকালীনই নাকি রাজনীতিতে জুড়েছেন এবং মানুষকে ভালোবেসে তাঁদের হিতে কিছু করতেই নাকি তিনি ভোটে দাঁড়িয়েছিলেন। এরপর তিনি দলীয় কর্মী এবং এলাকার মানুষকেও কৃতজ্ঞতা জানান তার জয়ের জন্যে। তাকে প্রশ্ন করা হয়েছিলো মমতা নামটি কে দিয়েছিলো? তাতে এই বছর ২১ এর কন্যাশী জবাবে জানান যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এর আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে তাঁর বাবাই এই নাম তাকে দিয়েছিলো। জানা গেছে, মেদিনীপুরের সদর ব্লকের যে এলাকা থেকে মমতা মুর্মু ভোটে দাঁড়িয়েছিলেন সেখানে দাপট চলে ঘাসফুলদলেরই। ফলে এখানে কন্যাশ্রীর জয় কেউ আটকে রাখতে পারতো না। আর কার্যক্ষেত্রে হলও তাই। এ প্রসঙ্গে বিধায়ক দীনেন রায় বললেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কন্যাশ্রী প্রকল্পের মাধ্যমে সমাজের পিছিয়ে পড়া মেয়েরা উপকৃত হয়েছে। তাতে উৎসাহিত হয়েই মমতা প্রার্থী হয়েছিল।” আপনার মতামত জানান -