মুখ্যমন্ত্রীর সভার জন্য জমি দিয়ে লাভবান হচ্ছেন কৃষকরা – “প্রমাণ” করে দিতে মরিয়া তৃণমূল কংগ্রেস কলকাতা রাজ্য February 5, 2019 মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভার জন্য কৃষকদের কাছ থেকে জমি নেওয়া হয়েছিল। আর সেই জমি নেওয়াকে কেন্দ্র করেই এবার বীরভূমের রামপুরহাটে শুরু হল শাসক-বিরোধী তুমুল তরজা। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত 30 শে জানুয়ারি রামপুরহাট ঢোকার মুখে জাতীয় সড়কের ধারে সানঘাটা ব্রিজ সংলগ্ন কৃষিজমিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারি পরিষেবা প্রদান অনুষ্ঠান করেন। জানা যায়, এখানকার ফাঁকা পড়ে থাকা প্রায় 60 বিঘা জমি স্বেচ্ছায় সভা করার জন্য প্রশাসনকে দেন সেখানকার 80 জন কৃষক। এমনকি কৃষকদের কাছ থেকে এই ব্যাপারে নো- অবজেকশন চিঠিও জমা নেওয়া হয়। এমনকি এই কৃষিজমিতে রোলার চালিয়ে বসে মঞ্চ তৈরির কাজও সম্পন্ন করা হয়। তবে যেগুলি জমিতে ফসল রয়েছে তা যাতে নষ্ট না হয় তার জন্য জমির আলে গাছের গুঁড়ি পুতে বাসের ব্যারিকেডও করা হয়েছিল। কৃষকের জমিতে জোর করে মঞ্চ তৈরির কাজ হলে সম্প্রতি এই ব্যাপারে সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র কটাক্ষ সাথে দেখা যায় সিপিএমের সুজন চক্রবর্তীকে। তিনি বলেন, “জোর করে কৃষিজমি কে নষ্ট করে মুখ্যমন্ত্রী সভামঞ্চে তৈরি হয়েছে।” এমনকি কৃষিজমিকে নষ্ট করার প্রতিবাদে এই ব্যাপারে রামপুরহাট শহরে সিপিএমের পক্ষ থেকে পথসভা করতে গেলেও তা নিয়ে তাঁদের বাধা দেয় পুলিশ। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - পাল্টা এই ব্যাপারে মুখ খুলে সাংবাদিক সম্মেলন করে বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর সভামঞ্চে জন্য কৃষকরা স্বেচ্ছায় জমি নিয়েছেন। বাম আমলে জোর করে কৃষকদের জমি কেড়ে নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু আমরা তা ফেরত দিয়েছি। আমাদের সরকার সব সময় কৃষকদের পাশে রয়েছে।” এদিকে মুখ্যমন্ত্রীর সভার পর সেই কৃষিজমি পরিষ্কারের কাজ খতিয়ে দেখতে রবিবারই সেইখানে আসেন রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রামপুরহাট পৌরসভার ভাইস চেয়ারম্যান সুকান্ত সরকার। আর এখানে এসেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বিগত বাম সরকার কে কটাক্ষ করে কৃষিমন্ত্রী আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “এই জমি মুখ্যমন্ত্রীর সভার জন্য কৃষকরা স্বেচ্ছায় দিয়েছিলেন। সিপিএম অযথা এই বিষয়ে জল ঘোলা করার চেষ্টা করছে। আমাদের সরকারের স্লোগানই হল কোথাও কোনো অনাবাদী জমি ফেলে রাখা যাবে না। তাহলে সেখানে আমরা কেন কৃষিজমি নষ্ট করব! আমরা কৃষকদের এই জমি ফিরিয়ে দেওয়ার কাজ শুরু করার পাশাপাশি তাঁদের আরও কিছু বিষয়ে সহায়তা দেয়ার কথা ভাবছি।” সব মিলিয়ে এবার মুখ্যমন্ত্রীর সভায় জন্য কৃষকদের কাছ থেকে জমি নেওয়ার বিরুদ্ধে সিপিএমের পক্ষ থেকে প্রতিবাদ করা হলে সেই ব্যাপারে পাল্টা মুখ খুলে কৃষকদের পাশেই রয়েছে রাজ্যের বর্তমান সরকার বলে বিগত বাম আমলের কথা তুলে ধরে সেই আলিমুদ্দিন স্ট্রিটের নেতাদেরই চাপে ফেলার চেষ্টা করলেন রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী। আপনার মতামত জানান -