এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > পাহাড় কি আবারও মমতাময়? চাপের মুখে বড়সড় সিদ্ধান্ত গুরুংপন্থীদের

পাহাড় কি আবারও মমতাময়? চাপের মুখে বড়সড় সিদ্ধান্ত গুরুংপন্থীদের


পৃথক গোর্খাল্যান্ডের দাবীতে দফায় দফায় উত্তপ্ত হয়েছে দার্জিলিং। অবরোধ,অনির্দিষ্টকালীন ধর্মঘট,বিক্ষোভ,সরকারি সম্পত্তিতে অাগুন ধরানো,কী হয়নি উপত্যকায়? আতঙ্কে একটার পর একটা দিন কাটিয়েছে পাহাড়বাসী। পাহাড়ের পরিস্থিতি শান্ত করতে কম চেষ্টা করেনি রাজ্যসরকার। সেনা মোতায়েন করা হয়েছে দার্জিলিং৷ রাজ্যপুলিশের বিশেষ ফোর্স নামানো হয়েছে। পরিস্থিতির সামাল দিতে গিয়ে বারবার আক্রন্ত হয়েছেন উর্দিধারীরা।

এমনকি একজন পুলিশ কর্মী তো মারাও গেলেন বছর দুয়েক আগে। বারবার গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার সুপ্রিমো বিমল গুরুং-এর সাথে আলোচনায় বসতে চেয়েছে রাজ্যসরকার সমস্যা সমাধানের উদ্দেশ্যে । কিন্তু কোনোবারই রাজি হননি তিনি। তারপর থেকেই মোর্চা প্রধানের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি হয় রাজ্যসরকারের৷ তবে এতোদিন পর নিজের অবস্থান থেকে সরে দাঁড়ালো মোর্চা।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আলোচনায় বসার আবেদন জানানো হল তাদের পক্ষ থেকে। এই সংক্রান্ত বার্তা ই-মেলের মাধ্যমে মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তরে এসেছে গুরুত্ব শিবিরের অন্যতম নেতা রমেশ আলের তরফ থেকে। একই বার্তা রাজ্যের মুখ্যসচিবের কাছেও গিয়েছে হোয়াটস অ্যাপের মাধ্যমে। এবং আগামী দুদিনের মধ্যেই এই আবেদন সংক্রান্ত চিঠিও পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

এ খবর প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল পড়ে যায় নবান্ন কর্তাদের মধ্যে। এতোদিন ধরে পাহাড়ে শান্তি ফেরাতে যে চেষ্টা করে যাচ্ছিল রাজ্যসরকার,সেটাই সফল হওয়ার আশা দেখছেন তাঁরা। একটা সময় তো পরিস্থিতি এতোটাই প্রতিকূল হয়েছিলো যে গুরুং-এর বিরুদ্ধে একের পর এক কড়া পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হয়েছিল রাজ্যসরকার। একাধিকবার সরকারি সম্পত্তি নষ্টের অভিযোগে মোর্চা সুপ্রিমোর বিরুদ্ধে জারি হয়েছিল গ্রেপ্তারি পরোয়ানা। সঙ্গে রজু হয়েছিল অস্ত্র আইন মামলাও। গ্রেপ্তারি এড়াতে আত্মগোপন করতে হয়েছিলো গুরুং।

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

 

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

সামনাসামনি আলোচনার মাধ্যমে পাহাড় সমস্যা সমাধান সম্ভব,এমনটাই গুরুং জানিয়েছিল রাজ্য কিন্তু তাতে কোনোভাবেই রাজি হয়নি সে। এখনো রাজ্যসরকার তার হদিশ পায়নি। এরমধ্যে কেটে গিয়েছে অনেকগুলো মাস। উন্নয়ন পর্ষদগুলো এবং রাজ্যসরকারের সদর্থক পদক্ষেপে আপাতত পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে পাহাড়ে। কিন্তু ফের একবার গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার তরফ থেকে বার্তা আসায় চূড়ান্ত হইচই পড়ে গিয়েছে পাহাড়ে।

কিন্তু এতোদিন রাজ্যসরকারের আবেদনে সাড়া না দিয়ে হঠাৎ করে কেনই বা আজ নিজের অবস্থান পরিবর্তন করল মোর্চা? এ প্রশ্ন স্বাভাবিকভাবেই উঠছে। পাহাড় সূত্রের খবরে জানা গিয়েছে, জনসমক্ষের আড়ালে থেকেও নিজের গুরুত্ব বজায় রাখতে বারবার পাহাড়বাসীর উদ্দেশ্যে ভিডিও বার্তা পাঠিয়েছেন তিনি। প্রসঙ্গত,এদিন পাহাড়ে সুখদিবসের ডাক দিয়েছিলেন মোর্চা সুপ্রিমো। কিন্তু সেই আহ্বানে তেমন সাড়া দেননি পাহাড়বাসী। যার দাপটে একসময় পাহাড় এক পায়ে দাঁড়াতো, সেই মানুষটির ডাকে কোনো উচ্চবাচ্য করছে না পাহাড়বাসী। নিজের কোনঠাসা অবস্থা স্বাভাবিকভাবেই বুঝে নিতে অসুবিধা হয়নি মোর্চা সুপ্রিমোর। নিজের গুরুত্ব এভাবে হারাতে নারাজ গুরুং। তাই রাজ্যসরকারের সঙ্গে আলোচনায় বসে নিজের অবস্থান পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত বিমল গুরুং-এর। এমনটাই মনে করছেন ওয়াকিবহালমহল। মোর্চার কথা অনুযায়ী আগামী দুদিনের মধ্যেই তাদের তরফ থেকে রাজ্যসরকারের সঙ্গে আলোচনায় বসার আবেদন সংক্রান্ত চিঠি পাঠানো হবে নবান্নে। আপাতত সেই চিঠির অপেক্ষায় নবান্ন কর্তারা। উত্তেজনা তুঙ্গে পাহাড়েও। চিঠির আসার পরই রাজ্যসরকারের এ সংক্রান্ত পরবর্তী পদক্ষেপ সম্পর্কে জানা যাবে। তবে গুরুং-কে যদি এবার লোকসভা ভোটের আগেই বাগে আনতে সক্ষম হয় শাসকদল,তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সম্মানের মুকুটে আরো একটা জয়ের পালক জুড়বে,একথা বলতে দ্বিধা নেই কোনো।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!