2019 এর লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল বিজেপির থেকে যে চারটি আসন বেশি পেয়েছে, এবং তা পেয়ে যেভাবে তাদের মুখ রক্ষা হয়েছে, তার পেছনে প্রধান কৃতিত্ব রয়েছে বাংলার সংখ্যালঘু সমাজের। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের দাবি, সংখ্যালঘুদের ভোট তৃণমূলের ঝুলিতে গেছে বলেই লোকসভায় তৃণমূল বিজেপির থেকে কিছু আসন বেশি পেয়েছে। এমনকি প্রায় প্রতিটি নির্বাচনেই সংখ্যালঘু সমাজের সমর্থন যাতে তাদের দিকে থাকে, তার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

কিন্তু এবার সেই সংখ্যালঘু সমাজের সমর্থন তৃণমূলের দিকে যাবে কিনা, সেই ব্যাপারে বড়সড় প্রশ্ন তুলে দিলেন ফুরফুরা শরীফের পীরজাদা আব্বাস সিদ্দিকী। সূত্রের খবর, এদিন পীরজাদা আব্বাস সিদ্দিকী বলেন, “2021 এর নির্বাচনে আমরা 44 টি আসনে প্রার্থী দেব। আমরা জনগণের। দাদার মতো আমিও জনগণকে ভালোবাসি। দাদা হুজুরের মুখের দিকে তাকিয়ে বাংলার মানুষকে বাঁচানোর স্বার্থে যদি রাজনীতি করতে হয়, তাহলে তিনি তা করবেন। যদি কেউ হারাম প্রমাণ করতে পারেন, তাহলে তিনি রাজনীতি করবেন না।” আর এরপরেই রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের আমলে ফুরফুরা শরীফের অনুন্নয়ন নিয়ে ব্যাপক প্রশ্ন তুলে দেন পীরজাদা আব্বাস সিদ্দিকী।

বস্তুত, এর আগে পীরজাদা ত্বহা সিদ্দিকী ফুরফুরা শরীফের অনুন্নয়ন নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছিলেন। আর এবার আব্বাস সিদ্দিকী নিজের সংগঠনের 44 জনকে বিধানসভা নির্বাচনে প্রার্থী করার কথা বলায়, রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হল। বিশেষজ্ঞদের একাংশ বলছেন, যদি পৃথকভাবে সংখ্যালঘু সমাজের প্রতিনিধিরা সত্যি সত্যি 44 টি আসনে বিধানসভা নির্বাচনে দাঁড়ান, তাহলে তৃণমূলের দিকে সেভাবে সংখ্যালঘুদের সমর্থন যাবে না। যার ফলে তৃণমূল চরমভাবে বিপাকে পড়বে।

শুধু তাই নয়, ভোট কাটাকাটিতে অনেকটাই সুবিধাজনক আসন দখল করতে পারে ভারতীয় জনতা পার্টি। তাই সেদিক থেকে পীরজাদা আব্বাস সিদ্দিকীর এই মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে তৃণমূলের চিন্তা যে অনেকটাই বৃদ্ধি পেল, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত বিশ্লেষকেরা।