এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > মমতার তত্ত্বেই সিলমোহর প্রখ্যাত নেতার,আরো জোরদার হচ্ছে ফেডারেল ফ্রন্টের ভাবনা

মমতার তত্ত্বেই সিলমোহর প্রখ্যাত নেতার,আরো জোরদার হচ্ছে ফেডারেল ফ্রন্টের ভাবনা

২০১৯ এর লোকসভা ভোটে বিজেপি হটাতে মরিয়া দেশের বিরোধীদলগুলো। বিরোধী জোট যে মোদী-ম্যাজিককে উধাও করতে পারে তার প্রমাণ সম্প্রতি পাওয়া গেলো কর্নাটকের বিধানসভার ভোটে। এছাড়া দেশের উপনির্বাচনগুলোও একই গল্প শোনাচ্ছে। এরকম পরিস্থিতিতে বঙ্গের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবী করছেন যে বিজেপিকে হটাতে যে রাজনৈতিক দল যে কেন্দ্রে শক্তিশালী সেখানেই সে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়ুক। বাকিরাও জোটবদ্ধ হয়ে লড়ুক। নেত্রীর এই ধারণাতেই সীলমোহর দিয়ে এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ার বলেন যে বিরোধীরা ‘বিজেপি হটাও’ মন্ত্রে দিক্ষীত হয়ে একসাথে জোট বাঁধলেই মোদীজিকে বনবাসে পাঠানো অসম্ভব নয়।

আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

তাঁর এই মন্তব্যের সাপেক্ষে যুক্তি দিতে তিনি টানলেন অতীতের একটি দৃষ্টান্ত।  ১৯৭৭ সালেও কংগ্রেসকে হঠাতে বিরোধীরা জোট বেঁধেছিলো। নির্বাচনের আগে তখনকারের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী জরুরি অবস্থা জারি করেছিলেন, সেই কালোদিন মানুষের মন থেকে কংগ্রেস খানিকটা হলেও সরিয়েছিলো। সেই দূর্বলতাকে কাজে লাগিয়ে কংগ্রেস হটানোর ছক কষেছিলো বিরোধীরা। এবং তাতে সফলও হয়েছিলো। সঞ্জয় গান্ধীর জনপ্রিয়তাও সেসময় কংগ্রেসকে রক্ষা করতে পারেনি। ইন্দিরার গান্ধীর ম্যাজিক নিরর্থক হয়ে গেছিলো বিরোধীদের জেয়ারের সামনে। প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বে আসেন মোরারজি দেশাই।  সেবারই প্রথম কংগ্রেসের বাইরের কেউ প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতায় আসেন।

সেই পরিস্থিতি আবার পুনরায় তৈরি হতে পারে বলেই শরদ পাওয়ারের ধারণা। দরকার শুধু বিরোধীদের জোটবদ্ধ ভাবে আক্রমণের। এমনিও একাধিক নির্বাচন উপনির্বাচনে বিজেপির হার শক্তিহ্রাস করেছে পদ্মশিবিরেই। এটাই সেই শুভ মুহূর্ত বিজেপির পতন ঘটানোর মাস্টারপ্ল্যান করার। আর এই বিরোধীব জোটবদ্ধতায় সম্পূর্ণ সমর্থন রয়েছে এনসিপি প্রধান পাওয়ারের এটাই তিনি সদর্পে জানালেন এদিন।

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!