এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > কিভাবে লড়াই করতে হবে! দলীয় কর্মীদের শিখিয়ে দিলেন মমতা

কিভাবে লড়াই করতে হবে! দলীয় কর্মীদের শিখিয়ে দিলেন মমতা


 

ভারতবর্ষে রাজনীতির আঙিনায় চিরকালই একটা অন্যরকম ব্যক্তিত্ব তৃণমূল নেত্রী হিসেবে পরিচিত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দীর্ঘদিন ধরে বামফ্রন্ট সরকার পশ্চিমবঙ্গের ক্ষমতায় থাকার সময় রাজ্যবাসী যেমন তার আপোষহীন সংগ্রাম দেখেছেন, তেমনই রাজ্যের শাসন ক্ষমতায় আসার পর থেকে একাধিক ইস্যুতে কেন্দ্র সরকারের বিরুদ্ধে নানান রকম প্রতিবাদ আন্দোলন করতে দেখা গিয়েছে মুখ্যমন্ত্রীকে।

কখনও কেন্দ্রের কংগ্রেসের সরকারের বিরুদ্ধে এফডিআই ইস্যুতে সমর্থন প্রত্যাহার করে নেওয়া, কখনও বা রাজীব কুমার গ্রেপ্তারি প্রসঙ্গে ধরনায় বসে পড়া মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আন্দোলনের কায়দা বরাবরই অন্যদের থেকে আলাদা ছিল। এছাড়াও দলীয় কর্মীদের কিভাবে আন্দোলন করতে হবে, সেই আন্দোলনের রূপরেখা কী হবে! তা বরাবর প্রকাশ্য জনসভায় ঘোষণা করতে দেখা গেছে তৃণমূল নেত্রীকে।

বিগত দিনে যেমন নিজের দলকে একাধিক আন্দোলনের পদ্ধতি শিখিয়ে দিতে দেখা গিয়েছিল দলনেত্রীকে, বর্তমানে তেমনই কেন্দ্রীয় সরকারের প্রণয়ন করা সংশোধিত নাগরিক আইনের বিরুদ্ধে কিভাবে লড়াই করতে হবে! সেই মন্ত্র নিজের দলের কর্মীদেরকে দিতে দেখা গেল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে।

গত মঙ্গলবার সংশোধিত নাগরিক আইন বিরোধী মিছিলের আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কর্মী ও কর্মী সমর্থকদের উদ্দেশ্যে বলেন, “এনআরসি বিরোধী ব্যাচ পড়ে দলীয় নেতারা যেন প্রচার করে। এক্ষেত্রে কলেজে কলেজে ছাত্র নেতাদেরকেও ব্যাচ পড়ে প্রতিবাদ করতে নির্দেশ দেন দলনেত্রী।” আর এই কর্মসূচি যেন শীঘ্রই রূপান্তরিত হয়, সেই বার্তাও দিতে দেখা যায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

শুধু তাই নয়, দলীয় কর্মী-সমর্থকদের থেকে শুরু করে নেতাদেরকে ব্লকে ব্লকে, ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে মহাকুমায় মহকুমায় গিয়ে সংশোধিত নাগরিক আইন এবং এনআরসির বিরুদ্ধে ব্যানার-ফেস্টুন টাঙ্গিয়ে প্রতিবাদের আওয়াজ তুলতে নির্দেশ দিতে দেখা যায় তৃণমূল নেত্রীকে। নাগরিকত্ব আইন লাগু হবার একদম প্রথম থেকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, “যতক্ষন তার দেহে প্রাণ আছে, ততক্ষণ বাংলায় এনআরসি এবং সংশোধিত নাগরিকদের প্রয়োগ করতে দেবেন না।”

আর এদিন মিছিল শুরুর আগে নিজের সেই আওয়াজকেই আরও জোরালো করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “জাতীয় নাগরিকপঞ্জি বিরুদ্ধে যে সব গণতান্ত্রিক আন্দোলনে হচ্ছে, সেগুলোকে সহমর্মিতা জানাই। আমরা বাংলায় এনআরসি হতে দেব না। বাংলা ছেড়ে যেতে দেব না কাউকে।”

তিনি বলেন, “বিজেপি ভাবছে দেশ দখল করে নিয়েছে। সংখ্যার জোরে আইন পাস করানো যায়, কিন্তু মানুষের সমর্থন না পেলে তা কার্যকর হয় না।” সংবিধান মেনে নাগরিকত্ব আইন হয়নি বলেও অভিযোগ করেন তৃণমূল সুপ্রিমো। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নিজের দলীয় কর্মী-সমর্থকদেরকে যতই আন্দোলনের মন্ত্র দিন দলনেত্রী, কেন্দ্র সরকারের প্রণয়ন করা আইন রাজ্য মানতে বাধ্য বলে মনে করছেন একাধিক আইন বিশেষজ্ঞরা।

এক্ষেত্রে যেভাবে রাজ্য বনাম কেন্দ্রের পরস্পর বিরোধিতা দেখা যাচ্ছে, তাতে করে অচিরেই যে সাংবিধানিক সংকট উপস্থিত হবে, সেই বিষয়ে সন্দেহ নেই বিশেষজ্ঞদের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!