এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > ঝালমুড়ি অতীত এবার মমতার সাথে এই জিনিসটি খেতে চান বাবুল, জেনে নিন

ঝালমুড়ি অতীত এবার মমতার সাথে এই জিনিসটি খেতে চান বাবুল, জেনে নিন


অতীতে তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে ঝালমুড়ি খাওয়ার জন্য অনেকটাই বিতর্কের মুখে পড়তে হয়েছিল বিজেপি সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়কে। বিজেপির তরফ থেকে একাংশ সেই ব্যাপারে প্রবল আপত্তি জানিয়েছিল। অনেকে আবার চরম মতানৈক্য থাকা দুই ব্যক্তির একসাথে ঝালমুড়ি খাওয়াটাকে উপভোগ করেছিলেন। অনেকে আবার এই ঘটনাকে আখ্যা দিয়েছিলেন সৌজন্যের রাজনীতি বলে। তবে যে যাই কথাই বলুন না কেন, এবার ফের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে ফুচকা-আলুকাবলি খাবার ইচ্ছা প্রকাশ করলেন বিজেপি সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়।

যা নিয়ে এখন চরম গুঞ্জনের সৃষ্টি হয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে। কিন্তু হঠাৎ এরকম কেন বললেন বাবুল সুপ্রিয়! যেখানে পাশাপাশি দেখা হলেই শাসক-বিরোধী নেতারা একে অপরের সঙ্গে কথা পর্যন্ত বলেন না, ভয়ে বিরোধীদলের নেতা থাকলে শাসক দলের নেতারা এখন মঞ্চ ত্যাগ করেন, সেখানে শাসকদলের একদম সুপ্রিমোর সঙ্গে ফুচকা- আলুকাবলি খাবার ইচ্ছা কিভাবে প্রকাশ করলেন বিজেপির কেন্দ্রীয় মন্ত্রী! একাংশ বলছেন, গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর উদ্বোধনের রেলমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল তা দেখার জন্য নির্দেশ দেন বাবুল সুপ্রিয়কে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

যেখানে তিনি বলেন, “কিছু জায়গায় জমির সমস্যা আছে। সেখানে রাজ্য সরকারের সাহায্য দরকার। আশা করব, সরকার সাহায্য করবে। সাহায্য পেলে বাকি মেট্রো প্রকল্পগুলো তাড়াতাড়ি শেষ করতে পারব।” আর রেলমন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়কে এই কথা বলার পরের দিন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে এই ব্যাপারে কথা বলার ইচ্ছা প্রকাশ করেন বাবুলবাবু। তিনি বলেন, “মেট্রো প্রকল্পের জমি নিয়ে সমস্যা মেটাতে প্রয়োজনে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আমি আবার যাব। মুখ্যমন্ত্রী যদি আমাকে নবান্নের সময় দিতে না পারেন, তাহলে ইকোপার্ক বা গাড়িতে মিটিং করতেও আমার আপত্তি নেই। ফুচকা-আলুকাবলি খেয়ে যে কোনো জায়গায় মিটিং করতে প্রস্তুত। ইগো হার্ট উনি অনেক সময় সাহায্য করেন না। আশা করি, এক্ষেত্রে এরকম কিছু হবে না। কারণ ইস্ট ওয়েস্টের অনেক কাজ বাকি আছে।”

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মুখ্যমন্ত্রী যাতে এই কাজ নিয়ে আর কোনো বিরোধিতা করতে না পারেন, তার জন্য এদিন পরোক্ষে তার সঙ্গে দেখা করার কথা বলে ফের ফুচকা-আলুকাবলির তত্ত্ব সামনে নিয়ে এলেন বিজেপির কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। তৃণমূল এবং বিজেপির চরম বিরোধিতার মধ্যেও এদিন কাজপাগল বাবুল সুপ্রিয়র পরিচয় সামনে নিয়ে এল বলে দাবি একাংশের। এদিকে এদিন বিধানসভায় তাকে আমন্ত্রণ না জানান নিয়ে সরব হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যেখানে তিনি বলেন, “তখন ইউপিএ সরকারে ছিলাম। কষ্ট লাগে। চোখের জল ফেলতে হয়েছিল এই প্রকল্পের টাকা যোগাড় করতে। আমার ছবির দরকার ছিল না। একটা খবর তো দিতে পারত‌।” আর মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যের পাল্টা জবাব দেন বাবুল সুপ্রিয়।

তিনি বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী মিথ্যে কথা বলছেন। নিয়ন্ত্রণ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী অসত্য কথা বলছেন। ওনারা তো কোন মিটিংয়ে যান না। রিপোর্ট দেন না। তাহলে টাকা পাবেন কি করে! তবে যেসব ক্ষেত্রে টাকা পান, সেগুলোর কথা তো উনি বলেন না।” তবে এতো গেল রাজনৈতিক বৈরিতা। কিন্তু এবার ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো প্রকল্পের অন্যান্য কাজে দ্রুততা আনবার জন্য, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আলোচনায় বসার ইচ্ছা এবং ফুচকা আলু কাবলি খাওয়ার ইচ্ছা বাবুল সুপ্রিয় প্রকাশ করলেওহ তাতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এখন রাজি হন কিনা, সেদিকেই নজর রাজনৈতিক মহলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!