এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > শুধু একা মমতা নন, এবার অভিষেকেরও বড়সড় ভরসার জায়গা হয়ে উঠছেন ছত্রধর মাহাতো, জানুন বিস্তারিত

শুধু একা মমতা নন, এবার অভিষেকেরও বড়সড় ভরসার জায়গা হয়ে উঠছেন ছত্রধর মাহাতো, জানুন বিস্তারিত


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –বিগত বাম আমলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জঙ্গলমহলে ছায়াসঙ্গী হিসেবে দেখা যেত তাকে। তবে জনসাধারণ কমিটির নেতা হিসেবে বাম সরকারের পুলিশ মাওবাদী কার্যকলাপের অভিযোগে জেলবন্দি করে দেয় ছত্রধর মাহাতোকে। দীর্ঘদিন শ্রীঘরে থাকার পর অবশেষে কিছুদিন আগে জেল থেকে মুক্তি পেয়েছেন তিনি। এদিকে শ্রীঘর থেকে মুক্তি পাওয়ার পর তিনি সক্রিয় রাজনীতিতে নামবেন কিনা, তা নিয়ে নানা মহলে জল্পনা তৈরি হয়েছিল। অবশেষে জঙ্গলমহলের মাটিকে শক্তিশালী করার জন্য সেই ছত্রধর মাহাতোকে রাজ্য সম্পাদক করে মাঠে নামিয়ে দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস।

তবে বিরোধীদের পক্ষ থেকে এই ব্যাপারে অবশ্য তৃণমূলকে কটাক্ষ করে বলা হচ্ছে, যে ছত্রধর মাহাতো একসময় নানা জঙ্গীমূলক কাজের সঙ্গে জড়িত ছিলেন, তাকেই এখন তৃণমূল সম্পদ হিসেবে কাজে লাগাচ্ছে। স্বাভাবিক গোটা ঘটনায় যখন কিছুটা হলেও বিতর্ক তৈরি হয়েছে ঠিক তখনই এবার সেই ছত্রধর মাহাতোর উপরেই ভরসা রাখেন তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

বস্তুত ইতিমধ্যেই তৃণমূলের অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এর উদ্যোগে যুবশক্তি নামক একটি কর্মসূচি চালু হয়েছে। আর ঝাড়গ্রামে এই কর্মসূচি কেমন চলছে, তা নিয়ে শুক্রবার ঝাড়গ্রাম জেলায় আসেন যুব তৃনমূলের রাজ্য সহ-সভাপতি সোহম চক্রবর্তী এবং যুবশক্তির রাজ্যের কো-অর্ডিনেটর নির্মাল্য চক্রবর্তী। আর সেখানেই যুবশক্তি কর্মসূচিতে ঝাড়গ্রাম জেলায় ছত্রধর মাহাতোকে এই ব্যবহার করতে হবে বলে জানিয়ে দিলেন যুব তৃনমূলের এই দুই হেভিওয়েট নেতা‌।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সূত্রের খবর, এদিন বিকেলে ঝাড়গ্রামের একটি বেসরকারি অতিথিশালায় যুবশক্তির 11 জন মেম্বার এবং 40 জন ফিল্ড ইউনিট মেম্বারদের নিয়ে ঘন্টা তিনেকের সাংগঠনিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে জেলা তৃণমূলের নেতৃত্বরা উপস্থিত ছিলেন। আর সেখানেই জেলা নেতৃত্বের উদ্দেশ্যে যুবশক্তির কো-অর্ডিনেটর নির্মাল্য চক্রবর্তী বলেন, “ছত্রধর মাহাতোকে ব্যবহার করুন। কোনো সমস্যা হলে ওনার পরামর্শ নিন।” একইভাবে ছত্রধর মাহাতোকে লড়াকু নেতা বলে উল্লেখ করেন সোহম চক্রবর্তী।

স্বাভাবিকভাবেই জেলার সংগঠনে যুব তৃনমূলের রাজ্য নেতৃত্ব ছত্রধর মাহাতোকে অত্যন্ত গুরুত্ব দিচ্ছে, তা এই ঘটনাতেই পরিষ্কার হয়ে গেল বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা বলছেন, বিজেপি 2019 সালের লোকসভা নির্বাচনে জঙ্গলমহলে ব্যাপকভাবে নিজেদের উত্থান ঘটিয়েছে। তাই এই পরিস্থিতিতে যদি তৃণমূলকে ভালো ফল করতে হয়, তাহলে ছত্রধর মাহাতো ছাড়া যে বিকল্প কোনো নেতা নেই, তা সোহম চক্রবর্তী এবং নির্মাল্য চক্রবর্তী এদিনের সভা থেকেই পরিষ্কার করে দিয়েছেন।

অর্থাৎ জেলা নেতৃত্ব যাতে ছত্রধর মাহাতোকে আরো বেশি করে ব্যবহার করেন, এদিন সেই কথা তুলে ধরেছেন যুব তৃনমূলের এই দুই হেভিওয়েট নেতা। স্বাভাবিকভাবেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পর এবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দূত হিসেবে যুব তৃনমূলের এই দুই নেতা ঝাড়গ্রামে এসে ছত্রধর মাহাতোর ওপরেই সব থেকে বেশি ভরসা রাখলেন বলে মনে করছে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!