এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > “বাংলার সমস্যার মূল কারণ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মিথ্যাচার।” সরাসরি মমতাকে মিথ্যাবাদী বললেন অধীর চৌধুরী

“বাংলার সমস্যার মূল কারণ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মিথ্যাচার।” সরাসরি মমতাকে মিথ্যাবাদী বললেন অধীর চৌধুরী


রাজনীতি এমন একটা বিষয়, যেখানে কে কোন সময় সত্যি কথা বলেন, আর কে মিথ্যে কথা বলেন, তা ধরার কোনো উপায় নেই। রাজনৈতিক নেতারা অভিনয়ে অত্যন্ত দক্ষ বলে দাবি করেন সমালোচক মহলের একাংশ। বর্তমানে করোনা ভাইরাস বিশ্বের পাশাপাশি গোটা ভারত এবং বাংলাকে ভাবিয়ে তুলেছে। যত দিন যাচ্ছে, ততই বাংলায় এই ভাইরাসের উপদ্রব বাড়ছে। তবে প্রথম থেকেই করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে দেখা গেছে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে।

কিন্তু বিরোধীদের পক্ষ থেকে করোনা মোকাবিলায় প্রকৃত তথ্য চেপে যাওয়া থেকে শুরু করে পরিযায়ী শ্রমিকদের আনার ব্যাপারে সরকারের পদক্ষেপের অভাব রয়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে। যার ফলে নিঃসন্দেহে চাপে রয়েছে রাজ্যের শাসক দল বলে মত বিশেষজ্ঞদের। আর এহেন পরিস্থিতিতে যখন করোনা ভাইরাস রাজ্যে ক্রমশ বাড়তে শুরু করেছে, ঠিক তখনই এই সমস্যার প্রধান কারণ ব্যাখ্যা করলেন লোকসভার কংগ্রেস দলনেতা তথা বহরমপুরের কংগ্রেস সাংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরী।

যেখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মিথ্যাচারের কারণে বাংলায় এই সমস্যা বাড়ছে বলে দাবি করেন এই হেভিওয়েট কংগ্রেস নেতা। সূত্রের খবর, এদিন পশ্চিমবঙ্গের স্বাস্থ্যসচিবের পদে বদলা আনা হয়। যেখানে নতুন স্বাস্থ্য সচিব নিয়োগ করে সরকার। আর সেই ব্যাপারেই বলতে গিয়ে রাজ্য সরকারকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন অধীর রঞ্জন চৌধুরী। তিনি  বাংলার সমস্যার মূল কারণ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মিথ্যাচার।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

 

 

তিনি বলেন, “2011 সাল থেকে ক্ষমতায় রয়েছে তৃণমূল। আর সেই থেকেই স্বাস্থ্যমন্ত্রীর পদে রয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিকাঠামো ভেঙে পড়ার জন্য যদি কেউ দায়ী হয়, তাহলে তিনি হলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। স্বাস্থ্যমন্ত্রী সঠিক, আর স্বাস্থ্য সচিবের সব দোষ! বিষয়টি পুরো প্রতিষ্ঠান সমস্যা। এতো দায়িত্ব সামলানোর পর স্বাস্থ্য দপ্তরের দায়িত্ব আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সামলাতে পারছেন না। তাই সর্বপ্রথমে নিজেকে স্বাস্থ্য মন্ত্রীর পদ থেকে সরিয়ে নিয়ে উপযুক্ত লোককে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর পদে বসাতে হবে। করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় টোটকা ব্যবহার করছেন। কিন্তু তা দিয়ে কোনো লাভ হবে না।”

এদিন বাংলার মানুষকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন ধোকা দিচ্ছেন, তা নিয়েও প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছেন বহরমপুরের এই কংগ্রেস সাংসদ। তিনি বলেন, “রাজ্যে রাজ্যে পরিযায়ী শ্রমিকরা কান্নাকাটি করছে। তাদের কাছে খাবার সংকট তৈরি হয়েছে। পরিকল্পনার অভাবে মুখ্যমন্ত্রী বিপর্যয় ডেকে আনছেন। মমতা বন্দোপাধ্যায়ের মিথ্যাচারের জন্যই আজ এই সমস্যা। তিনি উদোর পিন্ডি বুধোর ঘাড়ে চাপাচ্ছেন।”

রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা এখানেই প্রশ্ন তুলেছেন যে, তবে কি অধীর রঞ্জন চৌধুরী এই কথা বলে বোঝাতে চাইলেন যে, স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিসেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একেবারেই ব্যর্থ? আর তাই বর্তমানে করোনা নিয়ে রাজ্যে যে সমস্যা তৈরি হয়েছে, তা সরকারের মিথ্যাচারের জন্যই ? সেই কারণেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কাঠগড়ায় তুললেন লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা।

আর এতদিন বিজেপির পক্ষ থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এভাবে কটাক্ষ করার পর কংগ্রেসের হেভিওয়েট সাংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরীও যেভাবে রাজ্যে করোনা মোকাবিলা নিয়ে মমতা বন্দোপাধ্যায়ের সমালোচনার সরব হলেন, তাতে রাজ্য সরকার কিছুটা হলেও ব্যাকফুটে পড়ে গেল বলে মত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের। এখন গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, অধীর রঞ্জন চৌধুরীর এই মন্তব্যের পর রাজ্যের শাসকদলের তরফ থেকে কোনো প্রতিক্রিয়া আসে কিনা, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!