রাজনীতি না করার জায়গাতেও রাজনীতি! জল্পনা বাড়িয়ে ‘মর্মাহত’ বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর জাতীয় রাজ্য May 26, 2018 কবিগুরু রবীন্দ্রনাথের স্মৃতি বিজরিত বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের আভ্যন্তরীন পরিচালন ব্যবস্থায়ও এবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হস্তক্ষেপের অভিযোগ উঠলো। জানা যাচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর আপত্তি থাকার কারণেই বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে এবার দেশিকোত্তম পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে না। এই ঘটনায় স্বভাবতই হতবাক হয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই প্রসঙ্গে তিনি বললেন,”এবার দেশিকোত্তম দেওয়া হচ্ছে না শুনেছি। এতে আমি মর্মাহত।” বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফ থেকে জানা গেছে সম্ভাব্য ৭ জনের নাম প্রস্তাব করে মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রককে পাঠানো হয়েছিলো। আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে গত ৭ ই মে বিশ্বভারতীর অ্যাকাডেমিক কাউন্সিল-এর বৈঠকে স্থির হওয়া এই তালিকায় ছিলেন অভিনেতা অমিতাভ বচ্চন, লেখক অমিতাভ ঘোষ, গীতিকার গুলজার, লেখক সুনীতিকুমার পট্টনায়ক, গায়ক দ্বিজেন মুখোপাধ্যায়, বৈজ্ঞানিক অশোক সেন ও চিত্রকর তথা তৃণমূলের রাজ্যসভা সাংসদ যোগেন চৌধুরী প্রমুখ খ্যাতনামা ব্যক্তিত্ব। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর আপত্তির কারণেই এই নামগুলির ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়কে কোনও সম্মতিপত্র পাঠায়নি মন্ত্রক। রাজনৈতিক মহলের অনুমান এই তালিকার মধ্যে অনেকেই রাজ্যসরকারের ঘনিষ্ঠ এবং এদের মধ্যে কেউ কেউ আবার মোদী সরকারের বিরোধীতাও করেছেন । সেই কারণ মাথায় রেখেই এইসব মানুষকে প্রধানমন্ত্রীর দফতরের এই সম্মান দেওয়ার ক্ষেত্রে আপত্তি। এদিকে সম্মান প্রদান বিষয়টি যাতে সাধারণ মানুষের চর্চার বিষয়বস্তু হয়ে না ওঠে সেদিক বিবেচনা করে বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে বলা হয়েছে সমাবর্তন অনুষ্ঠানে সময়ের অভাবের কারণেই এই সম্মান প্রদান পর্ব এই বছর স্থগিত রাখা হয়েছে। আপনার মতামত জানান -