এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > আমি বিজেপির চাকর নই, ওদের সব কথার জবাব দেব না: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

আমি বিজেপির চাকর নই, ওদের সব কথার জবাব দেব না: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়


এই মুহূর্তে দেশের বিতর্কিত রাজনৈতিক ঘটনা গুলির মধ্যে অন্যতম হলো অসমের নাগরিকপঞ্জী প্রকাশ।  স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনায় উত্তাল সারা দেশ। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলি নিজেদের মধ্যে রাজনৈতিক তরজায় মশগুল।  তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী তথা পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রথম থেকেই এই ঘটনায় কেন্দ্রের বিরোধীতা করেছে। দিল্লী সফরে গিয়েও বিজেপি বিরোধীতায় ক্ষান্ত দিলেন না রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন কংগ্রেস দলের শীর্ষ নেতা তথা দলের প্রাক্তন এবং বর্তমান সভাপতি সোনিয়া গান্ধী এবং রাহুল গান্ধীর সাথে একান্তে বৈঠক করলেন।

আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

——————————————————————————————-

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে।

বৈঠকের আলোচনার বিষয়বস্তু  ছিলো লোকসভা নির্বাচন এবং অসমের নাগরিকপঞ্জী বলে জানা গিয়েছে। বৈঠকের পরে তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী জানালেন তিনি প্রতিবারেই দিল্লী সফর কালে কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধীর সাথে সাক্ষাতের চেষ্টা করেন। আজ বলে নয় এই সম্পর্ক, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধী যখন বেঁচেছিলেন, হাত শিবিরের প্রাক্তন সভাপতি সোনিয়া গান্ধীর সাথে সম্পর্ক ও ঠিক তত পুরনো তবে জানালেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। এদিনের বৈঠকে দলের বর্তমান সভাপতি রাহুল গান্ধী ও উপস্থিত ছিলেন একথা জানাতে ভুললেন না নেত্রী। এই বৈঠকে দুই দলের নেত্রীর মধ্যে সাম্প্রতিক সময়ের অন্যতম বিতর্কিত রাজনৈতিক ইস্যু অসমের নাগরিক পঞ্জী নিয়েও কথা হয়েছে বলে জানা গেলো

তবে বিজেপি দল সম্পর্কে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রশ্ন করা হলে জবাব দিতে তিনি নারাজই ছিলেন। তবে বারবার একই প্রশ্ন করায় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্ট ভাষায় নিজের মতামত জানিয়ে বললেন, ” আমি ওদের চাকর নই, তাই ওদের সব কথার জবাব দেব না। ওদের খারাপ ভাষার জবাবে আমরা কটূ কথা বলব না। আমরা লোকতন্ত্রে বিশ্বাসী।সবাইকে নিয়ে শান্তিতে থাকতে চাই। ওরা খারাপ ভাষা ব্যবহার করলে আমরা ভালভাবে কথা বলব। আসলে ওরা নার্ভাস হয়ে পড়েছে, টেনশনে রয়েছে। ২০১৯ সালে আর ক্ষমতায় আসবে না।” একই সাথে তিনি গেরুয়া শিবিরের উদ্দেশ্যে পরোক্ষে সওয়াল করে বললেন যে, বিজেপি ঠিক কী চায়?‌ শান্তি না গৃহযুদ্ধ? এমন একটি তালিকা তৈরি করা হয়েছে যেখানে ৪০ লক্ষ মানুষের নাম নেই। বিস্ময়জনক হলেও একথা সত্য যে সেনা বাহিনীর অবসররত কর্মী এবং দেশের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি এঁদের নাম ও বাদ পড়েছে জাতীয়  নাগরিকপঞ্জীর তালিকা থেকে । আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে আসন সমঝোতার প্রসঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী বললেন, ” যে যেখানে শক্তিশালী সে সেখানে লড়বে। আমাদের রাজ্যে আমরা একাই লড়ব।‌”

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!