এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > এ রাজ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কোনও বিকল্প নেই, বিজেপিকে ঝেঁটিয়ে বিদায় করতে হবে: শুভেন্দু অধিকারী

এ রাজ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কোনও বিকল্প নেই, বিজেপিকে ঝেঁটিয়ে বিদায় করতে হবে: শুভেন্দু অধিকারী


১৯’এর ব্রিগেড সমাবেশের ঠিক দিন দুয়েক আগেই ফের মমতা-স্তুতিতে মুখর হয়ে উঠলেন শুভেন্দু অধিকারী। “এরাজ্যে তৃণমূল কংগ্রেসের কোনও বিকল্প নেই, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কোনও বিকল্প নেই। খরা থেকে বন্যা মানুষ আমাদেরই পান, আগুন লাগলে আমরাই থাকি।” এমনটা বলেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভূয়সী প্রশংসা করলেন রাজ্যের পরিবহন এবং পরিবেশ দপ্তরের মন্ত্রী।

হলদিয়া শহরের টাউনশিপের মাখনবাবু বাজারে তৃণমূলের উদ্যোগে ব্রিগেডের সমর্থনে একটি সভার আয়োজন করা হয়েছিল এদিন। সেখানেই প্রধান বক্তার ভূমিকায় উপস্থিত ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। একইমঞ্চে হাজির ছিলেন হলদিয়া পুরসভার চেয়ারম্যান শ্যামলকুমার আদক, প্রাক্তন চেয়ারম্যান ও কাউন্সিলার দেবপ্রসাদ মণ্ডল, চেয়ারম্যান ইন কাউন্সিলের সদস্য আজিজুল রহমান, আইএনটিটিইউসির জেলার কার্যকরী সভাপতি শিবনাথ সরকার প্রমুখরা।

এদিন সভায় উপচে পড়া ভীড়ের সামনে ভাষণ দিতে গিয়ে বিজেপি প্রস্তাবিত রথযাত্রার তীব্র সমালোচনা করেন তিনি। বলেন,”বিজেপি রথের সনাতনী ঐতিহ্যকে নষ্ট করছে। এরা রথযাত্রার নাম করে পশ্চিমবাংলায় দাঙ্গা লাগিয়ে ক্ষমতায় আসার চেষ্টা করছে। এদের ঝেঁটিয়ে বিদায় করতে হবে।”

বাংলার মাটিতে রথযাত্রা করার অনুমতি সুপ্রিম কোর্টও দেয়নি বিজেপিকে। এই প্রসঙ্গ তুলে দিলীপ ঘোষ-অমিত শাহদের চাঁচাছোলা ভাষায় কটাক্ষ করেন তিনি। বলেন,পশ্চিমবঙ্গে ‘রথ’ চালাবে বলে হাইকোর্টে হেরে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েও স্বস্তি পেল না বিজেপি। ওখানেও বড় ধাক্কা দিয়ে দিল আদালত। বিজেপি রাজ্যসরকারের অনুমতি নিয়ে বাংলায় মিটিং-মিছিল করতে পারবে কেবল কিন্তু কোনো রথযাত্রা হবে না। বিজেপি বাংলায় রথ নামিয়ে কেবল বিভাজনের রাজনীতি করতে চায়,এটা বুঝতে পেরেই আদালত তাঁদের রেড সিগন্যাল দেখিয়েছে বলে মনে করছেন শুভেন্দু বাবু।

 

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এরপর বিজেপির সেই রথকেই কটাক্ষ করে বলেন,”রথের নাম করে বিলাসবহুল দেড় কোটি টাকার গাড়িতে চেপে খানাপিনা, টয়লেট, নাচগান সবই হবে। এটা আবার রথ নাকি, কোন দেশের রথ?” এরপর সরাসরি গেরুয়াশিবিরকে কটাক্ষ করে বলেন,বিজেপি আসলে পরিযায়ী পাখির মতো। ঠিক ভোটের দিনক্ষণ এগিয়ে এলে তাঁদের দেখা মেলে। তখন তাঁরা মাইক টাঙিয়ে জোর গলায় শাসকদলের ভুলত্রুটি দেখাতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন।

শাসকদলের বিরুদ্ধে নানা মিথ্যে রটনা করে মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করে শুধুমাত্র ভোট পাওয়ার স্বার্থে। সারা বছর কোনো উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডে তাঁদের টিকিটিও দেখা যায় না। কিন্তু এরকমভাবে মানুষের মন জেতা যায় না। এরপর বিজেপির ফাঁদে পা না দেওয়ার বার্তা দিলেন তিনি সভায় উপস্থিত আমজনতাকে।

এটুকু বলেই ক্ষান্ত হননি তিনি। মূল্যবৃদ্ধিরই ইস্যু তুলেও বিজেপিকে বেঁধেন তৃণমূলের এই হেভিওয়েট নেতা। বলেন,বিজেপি জিতলে জিনিসপত্রের দাম বাড়ে এবং হারলে জিনিসপত্রের দাম আবার কমে যায়। প্রসঙ্গে তুলে ধরলেন উত্তরপ্রদেশ,ত্রিপুরা,অসমের মতো বিজেপিশাসিত রাজ্যের কথা। এসব রাজ্যে পেট্রোল-ডিজেল এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বেড়ে গিয়েছে। অন্যদিকে,সম্প্রতি রাজস্থান,ছত্তিশগড় থেকে বিজেপি সরকারের পতন হওয়ায় এসব রাজ্যে জিনিসপত্রের দাম কমে গিয়েছে বলেই দাবী করলেন তিনি।

আসলে বিজেপি সরকার যে কতোটা দুর্নীতিগ্রস্থ সেটাই এদিন ফের বোঝাতে চাইলেন তিনি। এছাড়া জিএসটি নোটবন্দি সহ কেন্দ্রীয় সরকারের একাধিক সিদ্ধান্ত যে কতোটা জনস্বার্থবিরোধী তারও ব্যাখ্যা দিয়ে আসন্ন লোকসভা ভোটে বিজেপিসরকার পতনের ডাক দিলেন তিনি।

প্রসঙ্গে আরো জানালেন,গত সাড়ে চারবছর ধরে মোদী কেবল মানুষকে প্রতারণা করেছে। আচ্ছে দিনের মিথ্যে স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন শুধুমাত্র কেন্দ্রের ক্ষমতা দখলের লোভে। নোটবন্দী করে কালো টাকা উদ্ধার হয়নি,জিএসটির মাধ্যমে বহু ক্ষুদ্র এবং মাঝারি শিল্প ধ্বংস হয়েছে,দেশে মূল্যবৃদ্ধি এবং বেকারত্ব একে অন্যের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে। মানুষের আর বিজেপির স্বরূপ জানতে বাকি নেই। দেশবাসী যে আর মোদী সরকার চায় না তার প্রমাণ মিলেছে পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা ভোটে। বাংলা থেকেও পদ্মের উৎখাত হবে এই লোকসভা ভোটে,এমনটা বলেই গর্জে উঠলেন তিনি।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!