এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > নাম না করে মুখ্যমন্ত্রীকে ‘ডাইনি’ বলে কটাক্ষ বিজেপির হেভিওয়েট নেতার

নাম না করে মুখ্যমন্ত্রীকে ‘ডাইনি’ বলে কটাক্ষ বিজেপির হেভিওয়েট নেতার


নাম না করে মুখ্যমন্ত্রীকে “ডাইনি” বলে কটাক্ষ করলেন বিজেপি নেতা। এদিন বনগাঁ স্টেশনের একটি মাঠে বিজেপির তপশিলি মোর্চার একটি কর্মীসভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন বিজেপির তপশিলি মোর্চার সর্বভারতীয় সভাপতি বিনোদ সোনকার। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা রাহুল সিনহা। ছিলেন জয় বন্দ্যোপাধ্যায়, তপশিলি মোর্চার রাজ্য সভাপতি অরুণ হালদার সহ অন্যরা। তৃণমূলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে এদিন সেখানেই মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে অশ্লীল ভাষা প্রয়োগ করে তাঁকে আক্রমণ করেন বিনোদবাবু।

এখানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে দিন তিনি দলীয় কর্মীদের উদ্দেশ্যে মূল প্রশ্ন ছোঁড়েন।তিনি বলেন “মা আজ মানুষকে মারছে। যাদের মারা হচ্ছে তারা কি বাঙালি নয় ? তারা কি বাংলার মাটিতে জন্মায়নি। তাহলে মা কেন তার ছেলেদের খুন করছে ?” এরপরেই সবাই উপস্থিত মানুষের দিকে প্রশ্ন ছুড়ে দেন কিন্তু এ কেমন মা যিনি নিজের দেশ নিজের সন্তানদের হত্যা করছেন ?উপস্থিতদের তরফ থেকে উত্তর আসে ‘ ডাইনি। ‘এতে বিনোদবাবু নাম না করে মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে ওই অশ্লীল মন্তব্যকে সম্মতি জানিয়ে বলেন ‘ও আচ্ছা ডাইনি বলে। ‘

এখানেই থেমে থাকলেন না, তিনি বিতর্ক উস্কে দিয়ে ফের জিজ্ঞাসা করলেন ‘আজকে দিদি না বলে কি বলা যায়’ ফের উত্তর আসে ‘ডাইনি।’ পাশাপাশি তিনি বলেন একদিন এই বাংলা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নামে, নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর নামে পরিচিত হতো। কিন্তু এখন আর সেসব কিছু নেই। এসব কথা বলার জন্য রাজ্য সরকার তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করতে পারে। কিন্তু তিনি উত্তর প্রদেশ থেকে এসেছেন। সোজা করে দেয় যে তার নাম হলো উত্তর প্রদেশ।

আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

——————————————————————————————-

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে।

তবে মুখ্যমন্ত্রীকে এভাবে কটাক্ষ করায় বিতর্কের ঝড় উঠেছে রাজনৈতিক মহলেও। কেননা বিরোধী নেতারা সরকারের বিরুদ্ধে সমালোচনা করতেই পারে কিন্তু এইভাবে অশ্লীল ভাষা প্রয়োগ কোহনোই শোভনীয় নয় বলে দাবি রাজনৈতিকমহলের। পাশাপাশি তিনি একবার নয় বারবার কর্মীদের উস্কে দিয়েছেন এই ভাষা বলার জন্য। অন্যদিকে মঞ্চে বসে থাকা নেতাদের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। প্রশ্ন এই যে দলের নেতাদের এতে আপত্তিই জানানো উচিত ছিল.তাঁরা কেন চুপ করে থাকলেন।যদিও এই নিয়ে তৃণমূলের তরফ থেকে এখনও পর্যন্ত কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!