এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > বর্ধমান > এবার মমতার পুলিশ প্রশাসনকে সিএএ আইন সমর্থনের আবেদন হেভিওয়েট বিজেপি সাংসদের, চাঞ্চল্যকর পরিস্থিতি রাজ্যে!

এবার মমতার পুলিশ প্রশাসনকে সিএএ আইন সমর্থনের আবেদন হেভিওয়েট বিজেপি সাংসদের, চাঞ্চল্যকর পরিস্থিতি রাজ্যে!


নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে প্রথম থেকেই নিজের আপত্তির কথা জানিয়ে এসেছেন তৃণমূল নেত্রী তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুধু তিনি নিজে নয়, তার প্রশাসনও যে এই আইনের সর্বাত্মক বিরোধিতা করবে, তা স্পষ্ট হয়ে গেছে রাজ্যের মা-মাটি-মানুষের সরকারের কর্ম পদ্ধতিতেও। তবে তৃণমূল কংগ্রেস প্রথম থেকে এই আইনের বিরোধিতা করলেও, পাল্টা এই আইনের স্বপক্ষে থেকে বিভিন্ন জায়গায় অভিনন্দন যাত্রা করছে ভারতীয় জনতা পার্টি। আর এবার সেরকমই একটি অভিনন্দন যাত্রায় অংশ নিয়ে রাজ্যের পুলিশ প্রশাসন এবং সিভিক ভলেন্টিয়ারদের এই নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন সমর্থনের জন্য আবেদন জানালেন বর্ধমান দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি সাংসদ সুরিন্দর সিং আলুওয়ালিয়া। আর বাংলার এই হেভিওয়েট বিজেপি সাংসদের এহেন মন্তব্যকে ঘিরে এখন রাজ্য রাজনীতিতে ছড়িয়ে পড়েছে চরম বিতর্ক।

সূত্রের খবর, এদিন বর্ধমান সদর সাংগঠনিক জেলা বিজেপির পক্ষ থেকে পার্কাস রোড থেকে একটি মিছিল শুরু হয়। যেখানে উপস্থিত ছিলেন, বিজেপি সাংসদ সুরিন্দর সিং আলুওয়ালিয়া, রাজ্য বিজেপি সহ-সভাপতি বিশ্বপ্রিয় রায়চৌধুরী, বর্ধমান সদর সাংগঠনিক জেলা বিজেপি সভাপতি সন্দীপ নন্দী সহ অন্যান্যরা। এদিকে এই মিছিল শেষে পার্বতী মাঠে একটি জনসভার আয়োজন করে ভারতীয় জনতা পার্টি। আর সেখানেই উপস্থিত হয়ে এই আইন সমর্থনের জন্য পুলিশ প্রশাসনকে দাবি জানান বিজেপি সাংসদ সুরিন্দর সিং আলুওয়ালিয়া। তিনি বলেন, “এখানে যারা সিভিক ভলেন্টিয়ার আছেন তারা 11% উদ্বাস্তু পরিবার থেকে এসেছে। তারা নিজের পায়ে কুড়াল মারছে। আমাদের পুলিশের মধ্যেও, প্রশাসনের মধ্যে আপনি দেখবেন, প্রায় 65 শতাংশ উদ্বাস্তু পরিবার থেকে এসেছে। তারাও কিন্তু সরকারের হুকুম মানছে। কিন্তু এই সরকারের হুকুম মানতে গিয়ে নিজেদের ভবিষ্যত কেন অন্ধকারে ফেলে দিচ্ছেন!”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তবে বিজেপি সাংসদ এভাবে পুলিশ প্রশাসনের উদ্দেশ্যে কথা বলায়, তিনি পরোক্ষে রাজ্যের প্রশাসনকে হুমকি দিচ্ছেন বলে পাল্টা অভিযোগ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। এদিকে বিজেপি সাংসদ সুরিন্দর সিং আলুওয়ালিয়া পাশাপাশি এদিনের সভায় উপস্থিত হয়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে কড়া ভাষায় আক্রমণ শানান বিজেপি নেতা জয় বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “ধর্মীয় অত্যাচারিত হয়ে যেসব হিন্দুরা ভিটেমাটি ছেড়ে একবস্ত্রে আমাদের দেশে এসেছেন, কিছু রাজনৈতিক দল তাদের কাছ থেকে সুবিধা নিয়েছে। কিন্তু প্রকৃত নাগরিকত্ব দেয়নি। ভারতের কোনো প্রধানমন্ত্রী ভোট হারানোর ভয়ে তাদের নাগরিকত্ব দেওয়ার সাহস দেখাননি। 56 ইঞ্চি ছাতি মোদিজি ভোট হারানোর কথা না ভেবে সেই সাহস দেখিয়েছেন।

রাজনৈতিক স্বার্থে বিরোধী দল তার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার করে মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে। তৃণমূল সিন্ডিকেট ও দালালদের পার্টি। এরা দেশের ভালো চায় না। টাকা কামানোর লোভ নামক ক্যান্সার ওই দলে ঢুকে পড়েছে।” সব মিলিয়ে এবার নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের সমর্থনে তৃণমূলকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করে শোরগোল তুললেন বিজেপি নেতারা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!