রসিকতা করছেন মমতা দাবি সিপিআইএম-এর, কি বিষয়ে বললেন এমন কথা জাতীয় রাজ্য July 13, 2018 বৃহস্পতিবার থেকে কলকাতার আলিমুদ্দিন স্ট্রিটে সিপিএম’ র পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য কমিটির বৈঠকের সূচনা হয়েছে। এদিনের বৈঠকের পরে রাজ্য সদর দপ্তরে একটি সাংবাদিক বৈঠকের আয়োজন করা হয়। এই সাংবাদিক সভার প্রধান বক্তা ছিলেন সিপিএম দলের সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি। সেখানেই রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসকে, একহাত নেন এই বাম নেতা বরং তিনি বললেন, ” বাংলায় পঞ্চায়েত নির্বাচনে নগ্নভাবে গণতন্ত্রকে হত্যা করা হয়েছে। বাংলা ও ত্রিপুরায় গণতন্ত্রের উপর এই আক্রমণের প্রতিবাদে আগামী ২৪ শে জুলাই দেশজুড়ে জাতীয় প্রতিবাদ দিবস পালন করা হবে। সিপিআইএম, সিপিআই, ফরওয়ার্ড ব্লক, আরএসপি এবং সিপিআইএমএল লিবারেশন এই পাঁচটি বামপন্থী দল ওই প্রতিবাদ কর্মসূচিতে অংশ নেবে।” এদিন সিপিএম সম্পাদক এত কিছুর মধ্যেও বাম শিবিরের সাথে তৃণমূল কংগ্রেসের রাজনৈতিক মতাদর্শগত বিরোধীতা বজায় আছে জানিয়ে বললেন, “এই রসিকতার কী মানে আছে! পশ্চিমবঙ্গে উনি পঞ্চায়েত নির্বাচনে কী করেছেন? যিনি নিজেই গণতন্ত্র ধংস করছেন, তিনি গণতন্ত্র বাঁচানোর জন্য ডাক দিলে কে আসবে? সবাই জানে পশ্চিমবঙ্গে কী ঘটছে, সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত বলেছে পঞ্চায়েত নির্বাচনে এরাজ্যে গণতন্ত্রকে রক্ষা করা হয়নি।” উল্লেখ্য চলতি সপ্তাহে মুখ্যমন্ত্রীর উত্তরবঙ্গ সফর কালে তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেন, আগামী শীতে ব্রিগেডে সভা ডাকা হবে। সেখানে আমন্ত্রণ জানাবেন সিপিএম সহ সমস্ত বিজেপি বিরোধী দলগুলির নেতৃত্বকে। মুখ্যমন্ত্রীর সেই কথার সূত্র ধরে সীতারাম ইয়েচুরী বললেন, “পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূলের সহযোগিতাতেই শক্তিশালী হচ্ছে বিজেপি। সংসদে বিজেপি’র কঠিন পরিস্থিতি এলে তৃণমূলকে সক্রিয় হতে দেখা যায় না। আবার সারদা-নারদা নিয়ে বিজেপি’কে সক্রিয় হতে দেখা যায় না। এজন্যই হয়তো সব রাজ্যের আগে পশ্চিমবঙ্গে কিষাণ-বন্ধু হিসেবে পা রাখতে আসছেন প্রধানমন্ত্রী। অন্য রাজ্যে এই সাজে যেতে পারছেন না। ” কেন্দ্রের বিজেপি সরকার প্রসঙ্গে এই বিশিষ্ঠ বাম নেতা নিজের প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বললেন, “দেশের ধর্মনিরপেক্ষ গণতান্ত্রিক সংবিধানকে রক্ষা এবং জনগণের জীবন-জীবিকার উন্নতি নির্ভর করছে মোদি সরকারকে উৎখাত করতে পারার ওপর। মোদি সরকার থাকলে দেশকে রক্ষা করা যাবে না, এটা ক্রমশ সবাই বুঝতে পারছেন। সব রাজনৈতিক দল ও তাদের নেতৃত্বের ওপরে জনমতের চাপ বাড়ছে মোদি সরকারকে উৎখাতের জন্য। এটা খুবই তাৎপর্য্যপূর্ণ লক্ষণ যে দেশজুড়ে মোদি সরকারের বিরুদ্ধে মানুষের ঐক্য গড়ে উঠছে এবং সব বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির নেতৃত্বও জনমতের চাপ বুঝতে পারছেন।” জাতীয়স্তরে বিজেপি বিরোধী তৃতীয় ফ্রন্ট গঠন প্রসঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের সক্রিয়তা প্রসঙ্গে একরকম নিশ্চিত ভাবেই তিনি বললেন, “২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূল নেত্রী তথা পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি যে ধরনের ‘মহাগটবন্ধন’ তৈরির কথা বলছেন তা অবাস্তব।” আপনার মতামত জানান -