এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > বকেয়া মহার্ঘভাতা নিয়ে মুখ খুললেন মমতা, জেনে নিন

বকেয়া মহার্ঘভাতা নিয়ে মুখ খুললেন মমতা, জেনে নিন


রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে এখন সব থেকে বেশি অভিযোগ রাজ্যের সরকারি কর্মচারীদের। মূল কারণ, মহার্ঘভাতা নিয়ে। অনেকে রসিকতা করে বলেন, এই রাজ্য সরকারের আমলে মহার্ঘভাতা সত্যিই মহার্ঘ। মেলা থেকে খেলা সমস্ত জায়গায় রাজ্য সরকার অর্থ বরাদ্দ করলেও, সরকারি কর্মচারীদের দিকে তাদের নজর নেই। তাই তো বকেয়া মহার্ঘ ভাতার দাবি উঠলেও, সরকার নানা যুক্তি দিয়ে সেই দাবিকে দমিয়ে দেয় বলে দীর্ঘদিন ধরে অভিযোগ করে আসছে বিরোধী রাজনৈতিক দল থেকে শুরু করে সরকারি কর্মচারী সংগঠন।

এমনকি গত লোকসভা ভোটে ভোটবাক্সে সরকারি কর্মচারীদের ভোট এই কারণেই রাজ্যের শাসক দলের পক্ষে যায়নি বলে মত ওয়াকিবহাল মহলের। আর এমত একটা পরিস্থিতিতে এবার রাজ্য বিধানসভায় উপস্থিত হয়ে বকেয়া মহার্ঘ ভাতা নিয়ে মুখ খুললেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

সূত্রের খবর, শুক্রবার রাজ্যপালের বাজেট বক্তৃতার উপর আলোচনা শেষে জবাবী ভাষণে এই মহার্ঘ ভাতা সম্পর্কে রাজ্য সরকারের মতামত জানান রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান। তিনি বলেন, “টাকা পয়সার টান চলছে। তার মধ্যে রাজ্যের ন্যায্য প্রাপ্য মেটাচ্ছে না কেন্দ্র। অর্থের সংস্থান হলেই বকেয়া মহার্ঘভাতা মেটানো হবে।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন অর্থের যোগান হলে মহার্ঘভাতা মেটানো হবে বলে জানালেও, রাজ্যের বর্তমান আর্থিক পরিস্থিতি যে অত্যন্ত করুণ, তাও নিজের বক্তব্যের মধ্য দিয়ে জানিয়ে দেন। তিনি বলেন, “বাম আমল থেকেই ডিএ বকেয়া ছিল। কেন্দ্র সরকার বছরে দুটো করে ডিএ দেয়। তাদের অর্থের সংস্থান বেশি, রাজস্ব আদায়ও বেশি। এত টানাটানির মধ্যেও কিন্তু ষষ্ঠ বেতন কমিশনের সুপারিশ মেনে বেতন বৃদ্ধি করা হয়েছে। এর জন্য 10 হাজার কোটি টাকা খরচ হচ্ছে। অর্থের সংস্থান হলেই আপনাদের বকেয়া ডিএ মিটিয়ে দেওয়া হবে।”

কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অর্থের সংস্থান হলে ডিএ দেওয়া হবে বলে বিধানসভায় জানিয়ে দিলেও, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে একাংশ। অনেকে বলছেন, মুখ্যমন্ত্রী মাটি উৎসব, জল উৎসব, ক্রীড়া উৎসব সহ নানা বিষয়ে প্রচুর অর্থ খরচ করেন। কিন্তু উৎসবে অংশগ্রহণ করতে গেলে সুস্থ মনের দরকার।

সেদিক থেকে সরকারি কর্মচারীরা সেই উৎসবে পরিশ্রম করেন ঠিকই। কিন্তু তারা তাদের যে দাবি সেই মহার্ঘভাতা থেকে এখনও বঞ্চিত। সেদিক থেকে উৎসবকে কিছুটা বিরত রেখে সরকারি কর্মচারীদের মন খুশি করতে সক্ষম কেন হচ্ছে না রাজ্য সরকার, তা নিয়ে প্রশ্নটা থেকেই যাচ্ছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!