বিরোধীদের উপযুক্ত জবাব দিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর দাবি-‘তৃণমূলের নয়, গণতন্ত্র রক্ষা জন্য রাজ্য সরকারের কর্মসূচি এই ধর্ণা “ কলকাতা জাতীয় রাজ্য February 4, 2019 এদিন পুলিশ কমিশনারের বাড়িতে সিবিআই এর আধিকারিকের যাওয়া আর জোর করে কেন্দ্রীয় সরকারের সিবিআইকে দিয়ে তৃণমূলকে হেনস্থা করার অভিযোগ এনে মেট্রো চ্যানেলে মুখ্যমন্ত্রী ধরনায় বসেছেন। তাঁর সঙ্গে রয়েছেন ADG, পুলিশ কমিশনার। আর তাই নিয়েই জোর বিতর্ক শুরু হয়েছিল। বিরোধীরা দাবি করেছিলেন যে, রাজীব কুমার কি তৃণমূলের নেতা যে তাঁকে সিবিআই ডেকেছে আর তা আটকাতে স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যের পুলিশ প্রশাসনকে নিয়ে ধারণায় বসেছেন? এই নিয়েই বিরোধীদের মু তোর জবাব দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী ধর্মতলার মেট্রো চ্যানেলে ধরনা মঞ্চে উঠে এদিন জানালেন যে, “এটা তৃণমূলের ধরনা নয়। গণতন্ত্র রক্ষার জন্য এটা রাজ্য সরকারের কর্মসূচি।” আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - প্রসঙ্গত ,গতকাল সন্ধ্যায় ডিএসপি তথাগত বর্ধনের নেতৃত্বে সিবিআই অফিসারদের ৪০ জনের দল চিটফান্ড কেলেঙ্কারিতে কলকাতা পুলিস কমিশনার রাজীব কুমারকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য তাঁর বাসভবনে যান। সেখানে গিয়ে তাঁরা বাধাপ্রাপ্ত হন কলকাতা পুলিশের দ্বারা। কলকাতা পুলিশের সঙ্গে এই নিয়ে সিবিআই- এর প্রথমে বাকবিতন্ডা শুরু হয় এই নিয়ে। এরপর রাস্তার উপরই দুপক্ষের মধ্যে ধস্তাধস্তি বেঁধে যায় এবং কলকাতা পুলিস কর্তাদের সঙ্গে কার্যত হাতাহাতি বেঁধে যায় সিবিআই আধিকারিকদের। আর এরপরেই সিবিআই আধিকারিকদের আটক করে টেনে হিঁচড়ে শেক্সপীয়ার থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। এবং সেখানেই সঙ্গে সঙ্গে ছাড়া হয়নি তাঁদের। থানা থেকে অনেক রাতে ছাড়া হয় সিবিআই অফিসারদের। পাশাপাশি, সিজিও কমপ্লেক্স, নিজাম প্যালেস ঘেরাও করে কলকাতা পুলিস। জয়েন্ট ডিরেক্ট পঙ্কজ শ্রীবাস্তবকেও ঘরবন্দি করে ফেলা হয়। পুলিশের তরফ থেকে অভিযোগ তোলা হয় যে পুলিশ কমিশনারের বাড়িতে ঢোকার মতো সিবিআই আধিকারিকদের কাছে কোনো উপযুক্ত নথি ছিল না। এদিকে সিবিআই আধিকারিকদের দাবি তাঁরা যথেষ্ট প্রয়োজনীয় নথি নিয়ে হাজির ছিলেন। কিন্তু উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে তাঁদের ঢুকতে দেওয়া হয়নি। তাঁদেরকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এদিকে খবর পেয়ে পুলিশ কমিশনারের বাড়িতে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পরে বাইরে বেরিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করেন তিনি। বলেন, “রাজীব কুমার চিটফান্ডের সঙ্গে জড়িত প্রমাণ করুক। আমার ফোর্সকে নিরাপত্তা দেওয়ার দায়িত্ব আমার। আজ এরা আমার বাড়ি যাবে। কাল আপনার বাড়ি যাবে। সাহস বেড়ে গেছে। পুলিশের বিপদে-আপদে থাকব। আমাকে পছন্দ করতে না পারেন কিন্তু আমার ফোর্সের উপর আঘাত কেন ?” তিনি বলেন, “মোদির হুমকির পরই আজ CBI-র হানা। জরুরি অবস্থার চেয়েও ভয়াবহ পরিস্থিতি। আমরাই চিটফান্ড কেলেঙ্কারির তদন্ত করতে শুরু করি। কোর্টের নির্দেশে মামলার তদন্ত CBI-র হাতে গেছে। পাঁচ বছর হয়ে গেছে। যেই একটা করে নির্বাচন আসে, চিটফান্ডের নাম করে যা ইচ্ছা করছে, যেখানে ইচ্ছা ঢুকছে।” আপনার মতামত জানান -