এখনও তৃনমূল নেত্রীকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবেই তুলে ধরে প্রচারে ঝড় তুলতে চায় শাসকদল কলকাতা জাতীয় রাজ্য March 25, 2019 আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের অনেক আগে থেকেই কেন্দ্রের মোদি সরকারকে সরানোর জন্য সকল বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোকে একসূত্রে বাঁধার চেষ্টা করেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এবার লোকসভা নির্বাচনের দামামা বেজে যাওয়ার সাথে সাথেই সেই দেশের প্রধানমন্ত্রীর আসন থেকে মোদীকে সরিয়ে নিজেদের দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বসাতে সোশ্যাল মিডিয়ায় জোর প্রচার চালাতে ব্যস্ত রাজ্যের শাসকদলের সাইবার সেলের কর্মী সমর্থকরা। প্রসঙ্গত, লোকসভা নির্বাচনে নির্ঘণ্ট ঘোষণা হওয়ার আগে গত 19 জানুয়ারি কলকাতায় ব্রিগেড সমাবেশের ডাক দিয়ে সেখানে একাধিক বিরোধী রাজনৈতিক দলের তাবড় তাবড় নেতাদের হাজির করিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেই মঞ্চ থেকেই লোকসভা নির্বাচনে একটি মহাজোট সরকার গড়ার আহ্বান জানিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী। তাই আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে বিভিন্ন জেলায় গিয়ে রাজ্যের শাসকদলের হেভিওয়েট নেতা মন্ত্রীরা সেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই দেশের প্রধানমন্ত্রীর পদে বসানোর জন্য আহ্বান জানানো শুরু করেছেন। সূত্রের খবর, গত বেশ কয়েক সপ্তাহ ধরে তৃণমূলের বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় পেজে সেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পরবর্তী প্রধানমন্ত্রীর আসনে দেখতে জোর প্রচার শুরু হয়েছে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - পাশাপাশি “কেন্দ্রে এবার মমতার সরকার, কোনো শক্তি নেই রাখার” মত স্লোগান তৈরি করেও বিজেপির বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে দেখা যাচ্ছে তৃণমূল কর্মীদের। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, দেশের অন্যান্য রাজ্যে যে সমস্ত বিরোধী আঞ্চলিক দলগুলো রয়েছে, তাদের একার পক্ষে কেন্দ্রীয় সরকার গড়া কখনোই সম্ভব নয়। সেদিক থেকে অন্যতম নির্ণায়ক ভূমিকা রয়েছে বাংলার শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। তাই আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে 42 টি আসনের মধ্যে 42 টি আসনই যাতে দখল করা যায় তার জন্য দলীয় কর্মীদের টার্গেট বেঁধে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই বার্তাকে নিয়েই মাঠে, ময়দানে, পথসভায় এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের পরে দলনেত্রীকে প্রধানমন্ত্রীর মসনদে বসানোর জন্য জোর আওয়াজ তুলতে শুরু করেছেন রাজ্যের শাসক দলের নেতারা। তবে শেষ পর্যন্ত রাজ্যের তৃণমূলের নেতাকর্মীদের এই আশা পূর্ণ হয় কিনা তা দেখার জন্য নজর রাখতেই হবে আগামী 23 মে ভোটবাক্স খোলার পর। আপনার মতামত জানান -