19 শের ব্রিগেড সত্যিই কি মমতা ব্যানার্জির প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সম্ভাবনা উজ্জ্বল করবে? জাতীয় রাজ্য January 14, 2019 রাজ্য তথা জাতীয় রাজনীতিতে 2019 এ কেন্দ্রের মসনদ থেকে বিজেপিকে সরানোই এখন প্রধান চ্যালেঞ্জ তৃণমূল সুপ্রিমো তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে। বিজেপিকে কেন্দ্র থেকে উৎখাত করতে প্রথম বিরোধী মহাজোটের সুতোটা বেঁধে ছিলেন তিনিই। আর এবার আগামী 19 শে জানুয়ারি সেই বিজেপিকে চাপে রাখতে সমস্ত বিরোধী দলকে আমন্ত্রণ জানিয়ে কলকাতার ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে একটি ঐতিহাসিক জনসভার ডাক দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী। যেখানে দেশের প্রায় সমস্ত অবিজেপি দলের নেতাদের উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে। ফলে এই ব্রিগেড সমাবেশের প্রচারে যাতে রেকর্ড সংখ্যক মানুষ আসে সেজন্য রাজ্যের প্রতি জেলায় গিয়ে আগামী 2019 এ বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রধানমন্ত্রীর আসনে বসানোর জন্য আহ্বান জানাচ্ছেন রাজ্যের শাসক দলের নেতা মন্ত্রীরা। কিন্তু যেখানে বিরোধী দলের এক ঝাঁক নেতারা এই প্রধানমন্ত্রীর হওয়ার দৌড়ের লড়াই হয়েছে সেখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আদৌ কি প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন? আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, আগামী 19 শে জানুয়ারি তৃণমূলের এই ব্রিগেড সমাবেশের ওপরই অনেক কিছু নির্ভর করছে।কেননা দেশের এক ঝাঁক বিরোধী দলের নেতা-নেত্রীদের সামনে যদি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ব্রিগেডের মাঠকে ভরিয়ে তুলতে পারেন তাহলে তাঁর নেতৃত্ব নিয়ে বিরোধীদের তরফে আর কোনো প্রশ্নই তোলা হবে না বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। তাইতো জেলায় জেলায় গিয়ে রেকর্ড সংখ্যক কর্মী সমর্থক যাতে সেই ব্রিগেডের যায় সেজন্য আহ্বান জানাচ্ছেন রাজ্যের শাসকদলের নেতা মন্ত্রীরা। অন্যদিকে তৃণমূলের এই ব্রিগেড ফ্লপ শোতে পরিণত হবে বলে কটাক্ষ শুরু করেছে গেরুয়া শিবিরের নেতারা। তাঁদের দাবি, আগামী 19 জানুয়ারি ব্রিগেডের জনসভা থেকে যখন বিরোধী ঐক্যে শান দেওয়ার চেষ্টা করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, ঠিক তখনই তার দলের ভাঙনও ধরতে শুরু করবে। সূত্রের খবর, আগামী 19 শে জানুয়ারি তৃনমূলের বেশ কয়েকজন নেতা, সাংসদ এবং বিধায়করা বিজেপিতে যোগদান করতে পারেন।সেই দিক থেকে ব্রিগেডের মঞ্চে একাধিক নেতা নেত্রীরা হাজির থাকলেও রাজ্যের শাসক দলের দাপুটে নেতা, বিধায়ক ও সাংসদরা যদি সেই দিনই বিজেপিতে চায় তাহলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠে যাবে। সব মিলিয়ে আগামী উনিশে জানুয়ারি তৃণমূলের এই ব্রিগেডে বিরোধী মহাজোটের প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে নিজেকে কতটা এগিয়ে রাখতে পারেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এখন সেদিকেই তাকিয়ে সকলে। আপনার মতামত জানান -