মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগে পুজোর আগেই খুলল চা-বাগান, খুশির হাওয়া উত্তরবঙ্গ জুড়ে উত্তরবঙ্গ রাজ্য July 26, 2018 ক্ষমতায় আসার পর থেকেই উত্তরবঙ্গের বন্ধ হয়ে যাওয়া চা বাগানগুলির হৃতগৌরব পুনরুদ্ধার করতে তৎপর হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু বকেয়া পাওনা না মেটানোর সমস্যাকে ঘিরে মাঝে মধ্যেই শ্রমিক মালিক দ্বন্দ্বে উত্তপ্ত হয়ে উঠত এই বাগানগুলি। সরকারের উদ্যোগে বারে বারে বৈঠক ডেকেও কোন সমাধান হয়নি। কিন্তু এবারে সেই সমস্যার বরফ গলতে শুরু করেছে। আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে ——————————————————————————————- এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত 20 জুলাই মাদারিহাটের ডানকানস গ্রুপের তুলসীপাড়া চা বাগান খোলার ব্যাপারে কোলকাতার নিউ সেক্রেটারিয়েট বিল্ডিংয়ে একটি ত্রিপাক্ষিক বৈঠক হয়েছিল। বুধবার সেই তুলসীপাড়া বাগান খুলে ডানকানস গ্রুপের হাত থেকে মেরিকো অ্যাগ্রো ইন্ড্রাষ্ট্রিজ লিমিটেডের হাতে সমস্ত মালিকানা তুলে দিল রাজ্য সরকার। জানা গেছে, তুলসীপাড়া চা বাগানে মোট 1147 জন শ্রমিক কাজ করেন। এদিন এই তুলসীপাড়া চা বাগান খোলার সময়ে সেখানে উপস্থিত ছিলেন আলিপুরদুয়ারের জেলাশাসক নিখিল বর্মন, জেলা পরিষদের তৃনমূলের বিদায়ী সভাধিপতি মোহন শর্মা, বীরপাড়ার সহকারী শ্রম কমিশনার রাজু দত্ত, নতুন দ্বায়িত্ব নেওয়া কোম্পানীর ম্যানেজিং ডিরেক্টর সুরজিৎ বক্সী সহ অনেকেই। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশেই যে এই বাগান খোলা হয়েছে এবং প্রশাসনের পক্ষ থেকে যে এই বাগানকে সবরকম সাহায্য করা হবে সে ব্যাপারে স্পষ্টভাবে নিজেদের মতামত জানিয়েছেন জেলাশাসক নিখিল বর্মন। জানা গেছে, 2015 সাল থেকে এই মাদারিহাটের ডানকানস গ্রুপের আটটি বাগান অচল হয়ে পড়লে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে আশ্বাস দিলেও একটি বাগানও খুলতে না পারায় রাজ্য নিজেদের উদ্যোগে আটটির মধ্যে চারটি বাগানই খুলতে সক্ষম হল। আর এজন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধন্যবাদ দিতে ভোলেননি জেলা পরিষদের বিদায়ী সভাধিপতি মোহন শর্মা। তবে শুধু তুলসীপাড়া চা বাগানই নয়, এর আগেও এই মেরিকো কোম্পানী ডানকানস গ্রুপের হাত থেকে গ্যারগেন্দা ও হান্টাপাড়া চা বাগানের দ্বায়িত্ব নিয়েছে। সূত্রের খবর, তুলসীপাড়া চা বাগান বন্ধ হওয়ার পেছনে শ্রমিকদের গত সাত বছরের যে পুজো বোনাঠের টাকা বকেয়া রয়েছে, সেটিও আগামী সাত দিনের মধ্যে মিটিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে সেই নতুন দ্বায়িত্ব নেওয়া সংস্থাটি। সব মিলিয়ে পুজোর আগে মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগে বন্ধ চা বাগান ফের খুলে যাওয়ায় আশার আলো দেখতে শুরু করেছেন শ্রমিকরা। আপনার মতামত জানান -