এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > মুসলিম তোষণ বন্ধের আর্জি জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি কলকাতার মুসলিমদেরই, অস্বস্তি বাড়ছে তৃণমূল শিবিরের

মুসলিম তোষণ বন্ধের আর্জি জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি কলকাতার মুসলিমদেরই, অস্বস্তি বাড়ছে তৃণমূল শিবিরের


রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস ভোটের স্বার্থে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষকে তোষণ করছে বলে মাঝে মধ্যেই অভিযোগ তুলতে দেখা গেছে বিরোধীদের। সম্প্রতি লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশের পর সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সিংহভাগ সমর্থন সেই তৃনমূলের দিকে থাকলে সাংবাদিক বৈঠকে এই প্রসঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আমি কিন্তু ইফতারের যাচ্ছি। আপনারাও আসবেন। আমি তো মুসলমানদের তোষন করি। যে গরু দুধ দেয়, তার লাথি খাওয়া উচিত।”

এদিকে এই ঘটনার পরেই তীব্র চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয় রাজ্য রাজনীতিতে। তাহলে কি সত্যিই মুসলমানদের প্রতি বেশি দৃষ্টি দিচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তা নিয়ে সমালোচনায় সরব হন বিভিন্ন মহল। কিন্তু তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী যাই বলুন না কেন, তারা যে কোনোরূপ বাড়তি সুবিধা চান না, তা এবার স্পষ্ট করে দিলেন সেই সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষেরাই।

জানা গেছে, সম্প্রতি এনআরএস কান্ড এবং কলকাতায় উষসী সেনগুপ্তকে হেনস্তার ঘটনায় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের কিছু ব্যক্তির নাম জড়ায়। আর এরই পরিপ্রেক্ষিতেই এবার মুসলিম তোষণ বন্ধের আর্জি জানিয়ে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলে রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে আবেদন জানালেন রাজ্যের মুসলিম সম্প্রদায়।

 

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সূত্রের খবর, মুদর পাথেরিয়া নামে এক ব্যক্তি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে লেখা একটি চিঠি তার ফেসবুকে পোস্ট করেন। যেখানে লেখা রয়েছে, “আমরা মুসলিম। গত কয়েক দশক ধরে আমরা কলকাতায় রয়েছি। কিন্তু সম্প্রতি দুটি ঘটনায় আমরা অত্যন্ত উদ্বিগ্ন এবং লজ্জিত। আমরা চাই অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হোক। যে কোনো ঘটনায় মুসলিমরা যুক্ত থাকলে তারা যাতে ছাড় না পায় তার জন্য ব্যবস্থা নিতে হবে। যাতে সকলের কাছে বার্তা পৌঁছয় যে কোনো একটি সম্প্রদায়কে তোষণ করা হচ্ছে না।”

শুধু তাই নয়, রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা সম্পর্কে সকলে অবগত করতেও মুসলিম ছেলেদের সচেতন করার কথা জানানো হয়েছে। আর মুদর পাথেরিয়ার এই চিঠিতে স্বাক্ষর রয়েছে হেনা নাফিস, শাহেনশা মির্জা, শবনম আলম সহ অনেক সম্প্রদায়ের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষদের। আর খোদ সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকেই মুখ্যমন্ত্রীকে এইরুপ চিঠি দেওয়ায় এখন রাজ্য রাজনীতিতে ছড়িয়ে পড়েছে চাঞ্চল্য।

বিরোধীদের দাবি, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষেরাও বুঝে গেছেন যে, তাদেরকে শুধুমাত্র তোষন প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই আটকে রেখেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তাইতো সকলের উদ্দেশ্যে বিচার এক হওয়া উচিত বলে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিতে বাধ্য হয়েছেন তারা। তবে শাসকদলের পক্ষ থেকে অবশ্য এই দাবি মানা হয়নি।

ঘাসফুল শিবিরের বক্তব্য, সরকার কোনোরূপ তোষন প্রক্রিয়ায় বিশ্বাসী নয়।সকলেরই মত প্রয়োগের অধিকার রয়েছে। তাই সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষেরাও যদি প্রশাসনিক প্রধান হিসেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তাদের সুবিধা ও অসুবিধার কথা জানিয়ে চিঠি দেন, তাতে অসুবিধা কোথায়! ‌বিরোধীরা বৃথা এই ঘটনাকে নিয়ে রাজনীতি করছে।

তবে খোদ কলকাতার মুসলিমরাই মুসলিম তোষণ বন্ধের আর্জি জানিয়ে যেভাবে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিলেন, তা নিয়ে রাজ্যের শাসক দল যে কিছুটা হলেও অস্বস্তিতে পড়েছে, সেই ব্যাপারে একপ্রকার নিশ্চিত বিশেষজ্ঞ মহল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!