প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – নানা সময় নানা মন্তব্য করে দলের বিড়ম্বনা বাড়িয়েছেন তিনি। চড়াম চড়াম ঢাকের শব্দ হোক বা গুড় বাতাসা, নির্বাচনের সময় বিরোধীদের উদ্দেশ্যে তার ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য বিভিন্ন সময় বিতর্কের সৃষ্টি করেছে। তবে এতকাল এই মন্তব্যের জন্য শুধুমাত্র তাকেই বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকতে হয়েছে। কিন্তু এবার লাদাখে ভারত-চীন সংঘর্ষের পরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য তুলে ধরে বিতর্ককে চরম ভাবে বাড়িয়ে দিলেন অনুব্রত মণ্ডল।

জানা গেছে, এদিন একটি দলীয় সভায় অনুব্রত মণ্ডল বলেছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চীনের সঙ্গে যুদ্ধের পক্ষে সওয়াল করেছেন। আর তার এই মন্তব্য এখন রীতিমত বিতর্ক তৈরি করেছে রাজ্য রাজনীতিতে। একাংশের মতে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সর্বদলীয় বৈঠকে এমন কোনো কথা বলেননি। বরং তিনি জানিয়েছিলেন, ভারত জিতবে আর চীন হারবে। সেক্ষেত্রে যুদ্ধের কোনো কথা তার মুখ থেকে শোনা যায়নি।

কিন্তু যেভাবে তার দলের জেলা সভাপতি এবার তার বক্তব্য নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি করলেন, তাতে তৃণমূল কংগ্রেস এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যথেষ্ট অস্বস্তিতে পড়বে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। সূত্রের খবর, এদিন পূর্ব বর্ধমানের আউসগ্রামের যমুনাদিঘি মৎস্যবীজ খামারের দলীয় কর্মী সভায় যোগ দেন বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল।

আর সেখানেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, “এত জন জওয়ানের প্রাণ গিয়েছে। আপনার ক্ষমতা থাকে যুদ্ধ করুন। বাঙালকে হাইকোর্ট দেখাবেন না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেই দিয়েছেন চীনের সঙ্গে যুদ্ধ চাই। কিন্তু আমাদের প্রধানমন্ত্রী একটা অপদার্থ, মাথামোটা। অমিত শাহ মাথামোটা।”

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিরোধিতা করতে গিয়ে অনেক সময় প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে এইরকম কু কথা বলেছেন বিরোধী দলের নেতারা। কিন্তু সেটাকে বর্তমান পরিস্থিতিতে স্বাভাবিক হিসেবে ধরে নেওয়া হলেও, অনুব্রত মণ্ডলের আরেক মন্তব্য নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে।

যেখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চীনের সঙ্গে যুদ্ধের ব্যাপারে কোনো কথা বলেননি, সেখানে কেন অনুব্রত মণ্ডল নিজের নেত্রীকে মহান করার জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যুদ্ধ চেয়েছেন বলে দাবি করলেন! রাজনীতিতে সব সময় সত্য ভাষণ দেওয়া যায় না। কিন্তু যখন দেশের নিরাপত্তা ইস্যু জড়িয়ে আছে, তখন একজন দায়িত্বশীল রাজনীতিবিদ হিসেবে অনুব্রত মণ্ডলের এই রকম মন্তব্য আদৌ কি গ্রহণযোগ্য, এখন তা নিয়ে প্রশ্ন তৈরি হয়েছে রাজনৈতিক মহলে।