রাজ্য-রাজনীতিতে আবার প্রবল রাজনৈতিক অসহিষ্ণুতা! মুখ্যমন্ত্রীকে ‘কুবাক্যে’ আক্রমন হেভিওয়েট গেরুয়া নেতার কলকাতা রাজ্য December 26, 2018 বঙ্গ রাজনীতিতে বিভিন্ন সময় বক্তব্য রাখতে গিয়ে শালীনতার মাত্রা ছাড়িয়েছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা-নেত্রীরা। আর বিরোধী নেত্রী থাকার সময়, এই অশ্লীল মন্তব্য ও কুবাক্য সব থেকে বেশি সহ্য করতে হয়েছে বঙ্গের বর্তমান শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস এবং তার সুপ্রিমো তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। অতীতে বিরোধী নেত্রী থাকার সময় এই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে উদ্দেশ্য করে বাম নেতারা বিভিন্ন কটূক্তি ছুঁড়ে দিয়েছিলেন। এখন ক্ষমতার বদল হয়েছে – মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন সেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বামনেতারা এখন আর তেমনভাবে তৃণমূল সুপ্রিমোকে ‘কুবাক্যের’ টার্গেট না করলেও, বিজেপি নেতারা কিন্তু কটুক্তি করতে ছাড়ছেন না তাঁকে। শাসকদলের কিছু নেতার দেখানো পথেই, লোকসভা নির্বাচনের দিন যত এগিয়ে আসছে ততই যেন পাল্টা রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসকে উদ্দেশ্য করে কটূক্তির মাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে রাজ্য বিজেপির বিভিন্ন নেতার গলায়। এতদিন বিশেষ করে রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ একাই যেন এই ‘দায়িত্ত্ব’ নিয়েছিলেন গেরুয়া শিবিরের তরফে। আর এবার সেই তালিকায় যুক্ত হলেন তাঁরই পূর্বসূরি তথা রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি রাহুল সিনহা। সূত্রের খবর, বিজেপি কিষান মোর্চার এক অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ‘পেত্নী’ বলে অভিহিত করেন রাজ্য বিজেপির এই নেতা। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - রাহুলবাবু বলেন, “একটা পেত্নিতেই বাংলার মানুষের জীবন অতিষ্ঠ হয়ে গিয়েছে। বাংলার মানুষ আতঙ্কিত যে বাইরে থেকে আর ভূত-পেত্নী তাঁদের ঘাড়ে যেন চেপে না বসে”! পাশাপাশি, এদিন কিষান মোর্চার এই সভায় নবান্নে সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করতে আসা বিরোধী নেতা চন্দ্রবাবু নাইডু, ওমর আবদুল্লা এবং কে চন্দ্রশেখর রাওয়ের উদ্দেশ্যেও কটাক্ষ ছুঁড়ে দেন বঙ্গ-বিজেপির এই হেভিওয়েট নেতা। এমনকি, কেন্দ্রে বিজেপি বিরোধী মহাজোটের সরকার গড়ার সম্ভাবনাকেও উড়িয়ে দেন তিনি। এদিন রাহুল সিনহা বলেন, “দেশ চরণ সিংকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখেছে, দেবগৌড়া, গুজরালকেও দেখেছে। এইসব সরকার জগা-খিচুড়ী সরকার ছিল”! কিন্তু, বারবার প্রশ্ন উঠলেও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের শীর্ষনেতারা কেন এই কুবাক্যের ব্যবহার করে রাজনৈতিক অসহিষ্ণুতার পরিচয় দিচ্ছেন? রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, আসলে এক শ্রেণীর দলীয় কর্মীদের উজ্জীবিত রাখতেই আদতে এই পদক্ষেপ! আর এই কুবাক্যের মাত্রা নির্বাচন যত এগিয়ে আসবে ততই বাড়ার প্রবল সম্ভবনা, যা কিন্তু মোটেও পছন্দ করছেন না শিক্ষিত মধ্যবিত্ত সমাজ! আপনার মতামত জানান -