নারদ কান্ড নিয়ে নতুন করে সিবিআই নাড়াচাড়া শুরু করতেই কি বললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়? কলকাতা জাতীয় রাজ্য February 10, 2019 রাজ্যে সারদাকাণ্ডে আর্থিক কেলেঙ্কারির ঘটনার পরই শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের অনেক নেতা মন্ত্রীর সেখানে নাম জড়ায়। আর এই সারদাকাণ্ডের পরই গত 2014 লোকসভা নির্বাচনের আগে এক স্টিং অপারেশন ভিডিওতে শাসকদলের এক ঝাঁক নেতা-মন্ত্রীদের প্রকাশ্যে টাকা নিতে দেখা যায়। যার যে ঘটনাকে নারদ কান্ড বলেও অভিহিত করেন অনেকে। এদিকে ভিডিওতে শাসকদলের নেতা, মন্ত্রীদের প্রকাশ্য টাকা নিতে দেখা গেলেও সেই ব্যাপারটি বেমালুম অস্বীকার করে ঘাসফুল শিবির। অস্বস্তিতে পড়ে এই নারদ কান্ডের বিষয়টিকে ভিত্তিহীন বলে দাবি করে আসরে নামতে দেখা যায় খোদ তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও। তবে সারদার পর নারদ তদন্তেও যে তাঁরা কোনোরূপ কসুর করবে না তা বুঝিয়ে দিয়ে একাধিকবার ম্যাথু স্যামওয়েল নামে এক সাংবাদিককে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই ও ইডির দপ্তরে হাজিরা দিতে দেখা যায়। এমনকি নারদ মামলায় তদন্ত যাতে ঠিক পথে এগোয় সেজন্য গত 2018 সালের 21 জুলাইয়ের ঠিক আগে কলকাতায় তদন্তকারী অফিসারদের সঙ্গে একটি বৈঠক করেন সিবিআইয়ের স্পেশাল ডিটেক্টর রাকেশ আস্থানা। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - যেখানে উপস্থিত ছিলেন এই নারদকান্ডের তদন্তকারী অফিসার রঞ্জিত সিংও। আর তখনই যাতে এই নারদ কাণ্ডের তদন্ত দ্রুত এগোয় সেই ব্যাপারে রঞ্জিত সিংকে নির্দেশও দেওয়া হয়। আর এবার ফের সেই নারদ কান্ড নিয়ে কেন্দ্রের তদন্তকারী সংস্থা আরও একধাপ পা ফেলতে চাইছে বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞমহল। সূত্রের খবর, রঞ্জিত সিংকে জরুরী ভিত্তিতে দিল্লিতে তলব করেছেন সিবিআইয়ের নতুন ডিরেকটর ঝষিকুমার শুক্লা। এদিকে লোকসভা ভোটের আগে নারদকান্ড নিয়ে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার পক্ষ থেকে তোড়জোড়ের জল্পনা ওঠায় এদিন সেই ব্যাপারে মুখ খুলে ফের কেন্দ্রকে বিঁধেন তৃণমূল সুপ্রিমো তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন এই ব্যাপারে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “নারদ কান্ডের স্টিং অপারেশনে টাকা দেওয়া হয়েছে। আমি বিচার বিভাগকে সম্মান করি। বিষয়টি বিচারাধীন রয়েছে। কেন এর উপর মন্তব্য করা হচ্ছে। আদালত অবমাননার মামলা যে কেউ করতে পারেন।” রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, লোকসভা নির্বাচনের আগে যেন-তেন প্রকারেণ নিজের দলের নেতা-মন্ত্রীদের ভাবমূর্তি বজায় রাখাই এখন মূল চ্যালেঞ্জ তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে। আর তাইতো কেন্দ্রীয় এজেন্সির পক্ষ থেকে সারদা বা নারদা বিভিন্ন কাণ্ডে যখন রাজ্যের শাসকদলের নেতা, মন্ত্রীদের নাম উঠে আসতে শুরু করেছে, ঠিক তখনই সেই সমস্ত কিছুকে ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। আপনার মতামত জানান -