মমতার নির্দেশই সার, চেকিংয়ের নামে চলছে হয়রানি! বড়সড় অভিযোগ সিভিক পুলিশের বিরুদ্ধে ! কলকাতা রাজ্য February 12, 2020 বেশ কিছুদিন আগেই প্রশাসনিক বৈঠকে রাস্তায় গাড়ি চেকিংয়ের নামে সাধারণ মানুষকে হয়রানি এবং জরিমানা আদায় করা হচ্ছে বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যেখানে পুলিশ প্রশাসনের ভূমিকার সমালোচনা করতেও দেখা যায় রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধানকে। যেখানে তিনি নির্দেশ দেন যে, সব কিছু নিয়ম মেনেই গাড়ি পরীক্ষা করতে হবে এবং কোনোমতেই এই কাজে সিভিক ভলেন্টিয়ারদেরকে ব্যবহার করা যাবে না। আর প্রশাসনিক প্রধানের এই নির্দেশের পরেই নড়েচড়ে বসতে দেখা যায় পুলিশ প্রশাসনকে। যেখানে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার বিভিন্ন থানায় ট্রাফিক পুলিশের দায়িত্বে থাকা একজন সাব-ইন্সপেক্টরকে এই কাজে নিযুক্ত করা হয়। তবে কিছুদিন এই প্রবণতা ঠিকমত চললেও, এবার ফের এখানে অনিয়ম প্রকাশ্যে এল। সূত্রের খবর, মঙ্গলবার পূর্ব মেদিনীপুর জেলা জুড়ে ট্রাফিক পুলিশ বিশেষ অভিযানে নামে। কিন্তু এই অভিযানে কোনোরকম সাব ইন্সপেক্টর পুলিশ অফিসারকে দেখা যায়নি। অভিযোগ, তমলুক শহর হাসপাতাল মোড়ে গাড়ি এবং মোটরসাইকেল পরীক্ষার জন্য এদিন ব্যবহার করা হয় সিভিক ভলেন্টিয়ারদের। শুধু তাই নয়, যদি কেউ নিয়ম ভাঙেন, তাহলে সেই সিভিক ভলেন্টিয়াররাই জরিমানা করছেন বলেও দেখতে পাওয়া যায়। আর নিয়মকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে, খোদ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশকে অমান্য করে এভাবে পুলিশ প্রশাসনের কারসাজি নিয়ে এখন প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে সর্বত্র। কেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশকে অমান্য করে সিভিক ভলেন্টিয়ারকে এই কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে! তা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন একাংশ। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - এদিন এই ব্যাপারে ট্রাফিক পুলিশের আচমকা অভিযানে ধরা পড়া মোটর সাইকেল চালক নবকুমার বালা এবং সৌমিত্র বর্মণ বলেন, “হেলমেট না পরায় আমাদের জরিমানা করা হয়েছে। কিন্তু ট্রাফিক পুলিশের নামে সিভিক ভলেন্টিয়াররা জরিমানার কাগজপত্র লিখে দিচ্ছেন। এটা তো বেআইনি।” কিন্তু যখন সাব ইন্সপেক্টরকে এই কাজে যুক্ত থাকার কথা বলেছেন স্বয়ং রাজ্যের পুলিশ মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, সেখানে সেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ অমান্য করার মত ক্ষমতা কিভাবে দেখাচ্ছেন রাজ্যের পুলিশকর্মীরা! এদিন এই প্রসঙ্গে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা ট্রাফিক পুলিশের আধিকারিক প্রদীপ মণ্ডল বলেন, “এদিন এই অভিযানের সময় একজন সাব-ইন্সপেক্টর ছিলেন। তবে নথিপত্র লেখার কাজে সিভিক ভলেন্টিয়ারদের ব্যবহার করা হয়েছে কিনা, তা খোঁজ নিয়ে দেখছি।” অন্যদিকে গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পুলিশ সুপার ইন্দিরা মুখোপাধ্যায়। তবে জেলা পুলিশ কর্তারা এখন খোঁজ নিয়ে গোটা ব্যাপারটি দেখবার আশ্বাস দিলেও, স্বয়ং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেখানে কড়া নির্দেশ দিয়েছেন, তার পরেও যেভাবে তা অমান্য করছেন পুলিশকর্মীরা, তাতে সাধারণ মানুষ সুবিচার পাবে কিনা, তা নিয়ে প্রশ্নটা থেকেই যাচ্ছে। আপনার মতামত জানান -