এটা রাজনীতির সময় নয়, যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর ওপর আঘাত হানবেন না – মোদিকে চরম বার্তা মমতার জাতীয় বিশেষ খবর May 11, 2020 করোনা ভাইরাস চরম আকার ধারণ করার পর কেন্দ্র বনাম রাজ্যের দ্বৈরথ ক্রমশ প্রকাশ্য আসতে শুরু করে। কখনও কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল পাঠানো নিয়ে কেন্দ্রের সাথে রাজ্যের মতানৈক্য, আবার কখনও বা টেস্ট কিট নিয়ে সমস্যা এমনি স্বাভাবিক সময়ের মতই কেন্দ্রের সঙ্গে রাজ্যের এই গন্ডগোল রীতিমতো অস্বস্তিতে ফেলে বাংলার রাজনৈতিক মহলকে। আর এমতাবস্থায় এবার সমস্ত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের নিয়ে সোমবার প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদির ভিডিও কনফারেন্সের বৈঠকে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, এদিন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাংবাদিক বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “এটা রাজনীতি করার সময় নয়। কেউ আমাদের মতামত নেয়নি। যুক্তরাষ্ট্র কাঠামোর ওপর আঘাত হানবেন না। আমরা যখন আপনাদের সাহায্য করছি, আপনারা কেন আমাদের আক্রমণ করছেন! সারাক্ষণ বাংলা বাংলা করার কি আছে! কিসের এত সমালোচনা!” প্রসঙ্গত, যত দিন যাচ্ছে, ততই বাংলার পরিস্থিতি ক্রমশ উদ্বেগজনক হয়ে উঠছে বলে আশঙ্কা করছে কেন্দ্রীয় সরকার। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - প্রথমবার কেন্দ্রীয় টিম পাঠানোর পর সেই কেন্দ্রীয় টিমের রিপোর্টে বাংলার অবস্থা সংকটজনক বলে উঠে এসেছে। শুধু তাই নয়, আবার দ্বিতীয়বার রাজ্যে কেন্দ্রীয় টিম আসতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। আর এমত পরিস্থিতিতে তৃণমূলের পক্ষ থেকে বারবার কেন্দ্রীয় সরকার নিজেদের মতো করে চলছে বলে অভিযোগ করা হচ্ছে। বিভিন্ন সময় শাসক দলের নেতা থেকে শুরু করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পর্যন্ত কেন্দ্রীয় নেতাদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। আর এবার সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর কাছে কেন্দ্রের নানা পদক্ষেপ নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নালিশ করে সরব হলেন। তবে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে বিরোধীরা বারেবারেই অভিযোগ করছেন যে বাংলায় লকডাউন সঠিকভাবে মানা হচ্ছে না বা রাজ্য সরকার সঠিক তথ্য দিচ্ছে না। আর তারপরেই বাংলায় পর্যবেক্ষক দল পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্র। আর এবার সরাসরি ভিডিও কনফারেন্সের বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রধানমন্ত্রীর কাছে কেন্দ্রের পদক্ষেপ নিয়ে অভিযোগ জানানোর পর, প্রধানমন্ত্রী এই ব্যাপারে কি সিদ্ধান্ত নেন, তার দিকেই নজর থাকবে রাজনৈতিক মহলের। আপনার মতামত জানান -