এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > কংগ্রেস > বিজেপি বিরোধিতায় বিশেষ আর্জি নিয়ে মমতার দরবারে কংগ্রেস! বিধানসভার আগে শুরু তীব্র জল্পনা!

বিজেপি বিরোধিতায় বিশেষ আর্জি নিয়ে মমতার দরবারে কংগ্রেস! বিধানসভার আগে শুরু তীব্র জল্পনা!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – কেন্দ্রের পক্ষ থেকে পাস করা কৃষিবিলের প্রবল বিরোধিতা করে সরব হয়েছে বিভিন্ন বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো। ইতিমধ্যেই রাজ্যসভায় এই বিলের বিরোধিতা করতে গিয়ে তৃণমূলের দুই সাংসদ সহ বিরোধীদলের মোট আট সাংসদ বহিষ্কারের শিকার হয়েছেন। যার ফলে জাতীয় রাজনীতিতে ব্যাপক শোরগোল পড়ে গিয়েছে।

পশ্চিমবঙ্গের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস রাস্তায় নেমে আন্দোলনের মধ্যে দিয়েই কৃষি বিলের প্রবল বিরোধিতা করতে শুরু করেছে। তবে বাম এবং কংগ্রেসের পক্ষ থেকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একসময় বিগত বাম সরকারের আমলে কৃষকদের স্বার্থের কথা তুলে ধরে আন্দোলনে নেমে অনশন করেছিলেন, বিজেপি সরকারের পক্ষ থেকে সেই কৃষকদের স্বার্থ সুরক্ষিত না রেখে যখন এই বিল আনা হচ্ছে, তখন কেন শুধুমাত্র দলকে ময়দানে নামিয়ে চুপচাপ বসে রয়েছেন তিনি?

কেন তিনি সক্রিয়ভাবে আন্দোলনের জন্য ময়দানে নামছেন না? তবে এবার কেন্দ্রূ কৃষক বিরোধী সংশোধনী আইনকে পাশ কাটাতে রাজ্যে আলাদা করে আইন পাশ করার আর্জি জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দিল কংগ্রেস। যার ফলে বিজেপি বিরোধিতায় তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেওয়া কংগ্রেসের পক্ষ থেকে এই চিঠি নিয়ে এখন ব্যাপক গুঞ্জন তৈরি হয়েছে।

জানা গেছে, সংবিধানের 254 (2) অনুচ্ছেদ মেনে কংগ্রেস শাসিত রাজ্যগুলোকে আলাদা আলাদা করে আইন তৈরি করার পরামর্শ দিয়েছেন সোনিয়া গান্ধী। আর সেই প্রস্তাবের কথা মাথায় রেখেই মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে একটি চিঠি দেন কংগ্রেস সাংসদ প্রদীপ ভট্টাচার্য। আর কেন্দ্রের পাস করা আইনকে পাশ কাটাতে রাজ্যে আলাদা করে এই ব্যাপারে আইন পাশ করার আর্জি জানিয়েছেন তিনি।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তবে শুধু কংগ্রেসের পক্ষ থেকে নয়, একমত প্রকাশ করতে দেখা গেছে বামফ্রন্টকেও। স্বাভাবিক ভাবেই মুখে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল কেন্দ্রের কৃষি বিলের বিরোধিতা করলেও, তাকে পাশ কাটাতে যেভাবে কংগ্রেসের পক্ষ থেকে নতুন বিল পাস করানোর আর্জি জানিয়ে চিঠি দেওয়া হল, তাতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কি সিদ্ধান্ত নেন, তা অবশ্যই দেখার বিষয় রাজনৈতিক মহলের কাছে।

একাংশ বলছেন, সামনেই 2021 এর বিধানসভা নির্বাচন। কেন্দ্রের কৃষি বিলের বিরোধিতা করে সরব হচ্ছে তৃণমূল। কিন্তু কংগ্রেস এই ইস্যুতে বিজেপির বিরোধিতা করে যেভাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নয়া প্রস্তাব দিল, তাতে বিজেপি বিরোধী দল কংগ্রেসের এই প্রস্তাব যদি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মানেন, তাহলে বিরোধী দলগুলো বিজেপির বিরুদ্ধে আরও বেশি করে এককাট্টা হতে সক্ষম হবে। কিন্তু এই ব্যাপারে কি সিদ্ধান্ত নেন তৃণমূল নেত্রী, তা অবশ্যই দেখার বিষয় রয়েছে।

এদিন এই প্রসঙ্গে কংগ্রেস সাংসদ প্রদীপ ভট্টাচার্য বলেন, “কেন্দ্রের আইনের ফলে ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের প্রক্রিয়া এবং কৃষি পণ্য বিপণনের কাঠামো ধাক্কা ভাবে। ছোট কৃষক বিপর্যস্ত হবে। কর্পোরেটের দাপট বাড়বে। কেন্দ্রের নীতির বিরুদ্ধে রাস্তায় প্রতিবাদের পাশাপাশি রাজ্যে সাংবিধানিক পথে পৃথক আইনের আর্জি জানানো হয়েছে।”

এদিকে এই ব্যাপারে কংগ্রেসের প্রস্তাবকে সমর্থন করেছেন বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী। তিনি বলেন, “বিশেষ অধিবেশন ডেকে কেন্দ্রের আইনের প্রতিবাদে সর্বদল প্রস্তাবের দাবি আমরা আগেই জানিয়েছি। তার সঙ্গেই আলাদা আইন রাজ্যে হোক।” এদিকে রাজ্য সরকার সমস্ত বিষয় বিবেচনায় রয়েছে বলে আশ্বাস দিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের এক শীর্ষ নেতা। সব মিলিয়ে এবার কংগ্রেসের এই প্রস্তাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কি সিদ্ধান্ত নেন এবং তার পরিপ্রেক্ষিতে কি প্রভাব পড়ে রাজ্য রাজনীতিতে, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!