প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে নিত্যনতুন অভিযোগ তুলে সরব হন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। পশ্চিমবঙ্গের মাটিতে এই দুই রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের লড়াই নতুন কিছু নয়। একে অপরের বিরুদ্ধে মন্তব্য করতে গিয়ে মাঝেমধ্যে শালীনতার মাত্রা পর্যন্ত অতিক্রম করতে দেখা যায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা-নেত্রীদের। এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করতে গিয়ে পশ্চিমবঙ্গ শ্মশান হয়ে যাচ্ছে বলে সরব হলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।

সূত্রের খবর, এদিন বিজেপি রাজ্য সভাপতি অর্থনৈতিক কেলেঙ্কারি নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কাঠগড়ায় তোলেন। তিনি বলেন, “কিছু না করেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পয়সা পাচ্ছেন। মনে হয় ইলেকশন ফান্ডের টান পড়েছে। তাই নাটক শুরু করেছেন। পশ্চিমবঙ্গের মানুষ বুঝে গিয়েছে, ক্যাপাসিটি কতটা আছে। কিছুই করতে পারবেন না। টাকা আসছে। কিন্তু সেই টাকা যাচ্ছে কোথায়! মানুষ কোনো ক্ষতিপূরণ পায়নি। কোনো সহযোগিতা পায়নি। না স্বাস্থ্যব্যবস্থা ঠিক আছে, না শিক্ষাব্যবস্থা ঠিক আছে।”

এদিকে রাজ্যে আলুর দাম ক্রমশ ঊর্ধ্বমুখী হওয়ায় তৃণমূল নেত্রীকে বেকায়দায় ফেলার চেষ্টা করেন মেদিনীপুরের বিজেপি সাংসদ। তিনি বলেন, “পেট্রোলের দাম বাড়লে মোদীজির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ হয়। কিন্তু পেট্রোলের দাম মোদিজী বাড়ান না। কিন্তু আলুর দাম বাড়ছে কেন! মোদীজি কি এসে আলুর দাম বাড়াচ্ছেন! আজ মানুষের কাছে জবাব দিতে হবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় খালি মিথ্যে কথা বলেন। উল্টোপাল্টা ডায়লগ দিয়ে বেশিদিন চলবে না।”

এদিকে সম্প্রতি জি এবং নিট নিয়ে কেন্দ্র বনাম রাজ্যের দ্বৈরথ প্রকাশ্যে এসেছে। যেখানে লকডাউনের মধ্যে কোন ভাবেই পরীক্ষা নেওয়া যাবে না বলে সরব হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন সেই ব্যাপারে তৃণমূল নেত্রীকে পাল্টা প্রশ্ন করেন দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, “সারা ভারতে দিতে পারল, পশ্চিমবঙ্গ দিতে পারল না কেন! কেন আগের দিন লকডাউন করা হল! ওনার রাজনীতির জন্য পশ্চিমবঙ্গ শ্মশান হয়ে যাচ্ছে। এটা সাধারন মানুষকে বুঝতে হবে।” সব মিলিয়ে এবার “পশ্চিমবঙ্গকে শ্মশান” করার জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দায়ী করে রীতিমত শোরগোল তুলে দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।