বিমানবন্দরে সোনাকাণ্ডের পর ‘ডিপ্রেশনে’ ভুগছেন অভিষেক ব্যানার্জির ‘অন্তঃসত্ত্বা’ স্ত্রী! কলকাতা রাজ্য April 19, 2019 লোকসভা নির্বাচনের নির্বাচনী নির্ঘন্ট ঘোষণা হতেই কলকাতা বিমানবন্দরে গত ১৬ ই মার্চ মধ্যরাত্রে ‘সোনা’ নিয়ে একটি ঘটনা রাজ্য রাজনীতিতে শোরগোল ফেলে দেয়। ঘটনার পরের দিন একটি ইংরেজি পোর্টাল ও বেশ কিছু হিন্দি দৈনিকে খবর বেরোয়, সেদিন রাত্রে থাই এয়ারওয়েজের বিমানে থাইল্যান্ড থেকে ভারতে ফেরেন ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী রুজিরা নারুলা ও তাঁর বান্ধবী। তাঁদের কাছে নাকি মোট সাতটি ব্যাগ ছিল এবং সেই ব্যাগে রুটিন তল্লাশি চালিয়ে শুল্ক দপ্তরের অফিসারেরা বিশাল অঙ্কের সোনা পেয়েছিলেন। ফলে, তাঁরা রুজিরাদেবী ও তাঁর বান্ধবীকে বিশদে তল্লাশি করে দেখতে চান। ওই সংবাদমাধ্যমগুলোর খবর থেকে জানা যায়, এর ফলে সহযোগিতা করা তো দূরের কথা, রুজিরাদেবী নাকি নিজের পরিচয় ও ক্ষমতা দেখিয়ে শুল্ক দপ্তরের অফিসারদের সঙ্গে প্রচন্ড ‘মিসবিহেভ’ করেন – কিন্তু রুজিরাদেবীর সেই অগ্নিমূর্তি দেখেও নিজেদের কর্তব্য থেকে পিছিয়ে আসেননি শুল্ক দপ্তরের অফিসাররা। আর এরপরেই রুজিরাদেবী কাউকে ফোন করেন এবং সেই ফোনের কিছুক্ষনের মধ্যেই স্থানীয় এয়ারপোর্ট থানা থেকে একদল পুলিশ এসে শুল্ক দপ্তরের অফিসারদের ভয় দেখিয়ে রুজিরাদেবী ও তাঁর বান্ধবীকে ওই সাতটি রহস্যজনক ব্যাগ সহ বের করে নিয়ে যায়। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর রীতিমত হইচই পরে যায় রাজ্য-রাজনীতিতে। কিন্তু তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে সাফ জানানো হয় – এরকম কোনো ঘটনা ঘটে নি। বিজেপির টাকায় পরিচালিত কিছু সংবাদমাধ্যম তৃণমূল কংগ্রেস ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘ভাবমূর্তি’ নষ্ট করার জন্য এইসব মিথ্যা খবর রটাচ্ছে। এমনকি, অভিষেকবাবু ওই সব সংবাদমাধ্যমের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করার হুমকিও দেন। কিন্তু, এর কিছুদিনের মধ্যেই কলকাতা হাইকোর্টে এই নিয়ে শুল্ক দপ্তর মামলা করলে সামনে আসে আরো বড় তথ্য – রুজিরাদেবী নাকি ভারতীয়ই নন, থাই পাসপোর্টধারী! আর সেদিনের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চাইলে, তা রদ করার জন্য রুজিরাদেবীর আইনজীবী আবেদন করেন। আর এবার এই বিতর্কিত বিষয় নিয়ে মুখ খুললেন খোদ তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সামনে নিয়ে এলেন আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য। সম্প্রতি এক সর্বভারতীয় চ্যানেলে সাক্ষাৎকার দিতে গেলে ‘বিমানবন্দরে সোনাকাণ্ড’ নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়েন তৃণমূল নেত্রী – প্রথমে এড়িয়ে যেতে চাইলেও, পরবর্তীকালে তিনি বলেন, ও (রুজিরা নারুলা) পাঞ্জাবি মেয়ে, বাংলাটা ভাল করে বোঝে না। ঠিক কী হয়েছিল, তা বলতে পারব না। তবে ওই ঘটনার পর ও ডিপ্রেশনে ভুগছে। ও অন্তঃসত্ত্বা – এই অবস্থায় একেবারেই ভাল নেই। আর মমতাদেবীর এহেন মন্তব্যের পরে নতুন করে জল্পনা শুরু হয়েছে – ‘অন্তঃসত্ত্বার’ মত একান্ত ব্যক্তিগত ব্যাপার এইভাবে প্রকাশ্যে আনার পিছনে কি কোনো ‘বিশেষ’ ইঙ্গিত আছে? প্রশ্নটা কিন্তু ইতিমধ্যেই তুলতে শুরু করে দিয়েছে বিরোধীরা! আপনার মতামত জানান -