এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > মুখ্যমন্ত্রীর সিদ্ধান্তের পরেই যুদ্ধকালীন তৎপরতায় বিশেষ পদক্ষেপ খাদ্য দপ্তরের – জানুন বিস্তারিত

মুখ্যমন্ত্রীর সিদ্ধান্তের পরেই যুদ্ধকালীন তৎপরতায় বিশেষ পদক্ষেপ খাদ্য দপ্তরের – জানুন বিস্তারিত

অবশেষে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হস্তক্ষেপে 50 হাজারেরও বেশি কৃষকদের ধানের দাম মেটানোর জন্য চেক তৈরি করল রাজ্য খাদ্য দপ্তর। সূত্রের খবর, আগামী 5 জানুয়ারি থেকে ওই চেকের মাধ্যমে জেলায় জেলায় চাষিদের ধানের দাম মেটানোর প্রক্রিয়া শুরু করা হবে।

জানা যায়, চাষিদের ধানের দাম মেটাতে দ্রুত চেক তৈরি করার নির্দেশ দেয় খাদ্য দপ্তর। কিন্তু দুটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক এই দ্রুত চেক তৈরি করাতে কিছুটা আপত্তি জানায়। তবে একটি বেসরকারি ব্যাংক এতে রাজি হলে সেই ব্যাংক মারফত এবার চেক দেওয়ার কাজ শুরু করতে চাইছে রাজ্য সরকার।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বিগত বেশ কয়েক বছর ধরে চাষিদের ধানের দাম তাঁদের ব্যাংক একাউন্টে পাঠিয়ে দেওয়া হত। কিন্তু গত নভেম্বর মাস থেকে সরকারি উদ্যোগে ধান কেনার প্রক্রিয়া শুরু হলে প্রথমে চাষীদের ব্যাংক একাউন্টে টাকা পাঠালে পরে নবান্নে মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগে এক বিশেষ বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে, এবার থেকে আর ব্যাংকে টাকা পাঠিয়ে নয়, চেকের মাধ্যমেই এই ধানের দাম মেটানো হবে।

সরকারে বক্তব্য যে, ব্যাংক একাউন্টে টাকা পাঠানোর ফলে অনেকেই অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছিলেন। এমনকি সরকারি কেন্দ্রে কম দাম পাওয়া সত্ত্বেও ফড়েদের কাছে অনেক চাষী তা বিক্রি করে দিচ্ছিলেন। তাই এই চেকের মাধ্যমেই চাষিদের ধানের দাম মেটানোর উদ্যোগ রাজ্য সরকারের।

 

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

জানা গেছে, এই ধানের দাম মেটানোর চেকগুলিতে রাজ্যের পাঁচ মনোনীত অফিসারের নাম থাকছে। এদিকে ফড়েদের আটকাতে ধান কেনার পরিমাণ 90 কুইন্টাল থেকে 45 কুইন্টাল করে দেওয়া হলেও বিভিন্ন জায়গা থেকে সেই সীমাকে লংঘন করা হচ্ছিল বলে সরকারের কাছে অভিযোগ আসছিল। তাই কেউ যাতে সেই 45 কুইন্টালের বেশি ধান বিক্রি করতে না পারে তার জন্যই এই চেকের মাধ্যমে সেই ধানের দাম মেটানোর ব্যবস্থা নিয়েছে রাজ্য।

এদিন এই প্রসঙ্গে রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, “বিশেষ উদ্যোগ নিয়ে এই চেকগুলো তৈরি করিয়ে আনা হয়েছে। চেকের পাতায় ছাপানো অক্ষরে লেখা থাকবে কত টাকা পর্যন্ত দেওয়া হবে। দিনের শেষে অবন্টিত চেক বিডিওর কাছে ফেরত যাবে। পরের দিন সকালে আবার তা ধান কেনার কেন্দ্রে পাঠানো হবে।

কত টাকা এবং কত চেক ইস্যু হল তার বিস্তারিত হিসেব জেলাশাসকের মাধ্যমে বিডিও খাদ্য দপ্তরে পাঠাবেন। আর এটিই খাদ্য দফতরের কাছে চেক দেওয়ার প্রমাণপত্র হিসাবে থাকবে।” মিলিয়ে এবার কৃষকদের ধানের দাম মেটানোর জন্য মুখ্যমন্ত্রীর সিদ্ধান্তের পরেই যুদ্ধকালীন তৎপরতা দেখাতে শুরু করল রাজ্যের খাদ্য দপ্তর।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!