প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – নন্দীগ্রামের লড়াই কার্যত হাইপ্রোফাইল হয়ে দাঁড়িয়েছে। একদিকে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অন্যদিকে তৃণমূলের প্রাক্তন সৈনিক রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। স্বাভাবিকভাবেই একসময়কার দুই সতীর্থ এখন প্রতিপক্ষ হিসেবে লড়াই করায় কার্যত জমজমাট হয়ে উঠেছে নন্দীগ্রাম। এই নন্দীগ্রাম বিধানসভা কেন্দ্র থেকে কে জয়লাভ করবে, তার ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক জীবন যাপন অত্যন্ত উজ্জ্বল, ঠিক তেমনই যিনি পরাজিত হবেন তাঁর রাজনৈতিক জীবন কার্যত প্রশ্নের মুখে পড়ে যাবে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

আর এই পরিস্থিতিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে শুভেন্দু অধিকারী একে অপরকে চ্যালেঞ্জ করেছেন। তবে আজ নন্দীগ্রাম বিধানসভা কেন্দ্রের নির্বাচনের দিন সকাল সকাল ভোট দিয়ে বেরিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পরাজিত হয়েছেন বলে দাবি করে বসলেন নন্দীগ্রামের বিজেপি প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারী।

সূত্রের খবর, আজ সকাল সকাল বাইকে করে নিজের কেন্দ্রে ভোট দিতে যান নন্দীগ্রামে বিজেপি প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারী। আর ভোট দিয়েই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হেরে গেছেন। মার্জিন কি তা বলা ঠিক হবে না। বাকিটা ভোটারদের উপর ছেড়ে দিন। 2009 সাল থেকে আমি সাংসদ, জমি আন্দোলনে ছিলাম। সবার সঙ্গে আমার ভালো সম্পর্ক। মমতা ব্যানার্জিকে কেউ চিনত না। কংগ্রেস ভেঙে রাজীব গান্ধীর সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করার জন্য ওনাকে সবাই চিনেছে।”

অর্থ্যাৎ নিজের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করে প্রাক্তন নেত্রী তথা বর্তমান প্রতিপক্ষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে একহাত নিতে ছাড়লেন না শুভেন্দু অধিকারী। নির্বাচনী প্রচারে তিনি দাবি করেছিলেন, প্রতিপক্ষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তিনি 50 হাজার ভোটে পরাজিত করবেন। আর ভোট দিয়ে বেরিয়ে এসে নিজের সেই কথায় অনর থাকতে দেখা গেল নন্দীগ্রামে বিজেপি প্রার্থীকে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, ভোটদান করে বাইরে বেরিয়ে এসে শুভেন্দু অধিকারীর এই ধরনের মন্তব্য সত্যিই অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। যেখানে তার প্রতিপক্ষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, সেখানে ভোটদান করার পরেও নিজের বিশ্বাসে অটল থেকে জয়লাভ করার যে কথা বললেন শুভেন্দুবাবু, তাতে ব্যাপক গুঞ্জন তৈরি হয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে। তাহলে কি জয়লাভের ব্যাপারে তিনি একপ্রকার নিশ্চিত?

আর তাই প্রতিপক্ষ শিবিরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থাকলেও, তাকে গুরুত্ব দিতে চাইছেন না শুভেন্দুবাবু? ভোটদান করার পর তার সংবাদমাধ্যমের সামনে দাঁড়িয়ে তার এই ধরনের মন্তব্যকে কেন্দ্র করে এই জল্পনা ক্রমশ বাড়তে শুরু করেছে রাজ্য রাজনীতিতে। তবে মুখে বিজেপি প্রার্থী যে কথাই বলুন না কেন, বাস্তবে তার এই কথা কতটা সত্য হয়, তা আগামী 2 মে স্পষ্ট হয়ে যাবে বলেই মত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের।