এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > পিকেকে সামনের সারিতে রেখেই মমতার ঘোষণা – তৃণমূলকে বাংলার মাটি থেকে কেড়ে নেওয়া সম্ভব নয়

পিকেকে সামনের সারিতে রেখেই মমতার ঘোষণা – তৃণমূলকে বাংলার মাটি থেকে কেড়ে নেওয়া সম্ভব নয়

লোকসভা নির্বাচনে দলের ভরাডুবির পর ভোটগুরু প্রশান্ত কিশোরকে নিজের দলের রননীতিকার হিসেবে নিয়োগ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যার পড়ে সেই প্রশান্ত কিশোরের প্ল্যানমাফিক গোটা তৃণমূল দলের জনপ্রতিনিধিদের জনসংযোগে পাঠিয়ে দেন তৃণমূল নেত্রী। তবে সাম্প্রতিককালে সেই প্রশান্ত কিশোরের সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দূরত্ব বেড়েছে বলে বিভিন্ন মহলে জল্পনা তৈরি হয়।

কিন্তু এদিন সেই সমস্ত জল্পনায় জল ঢেলে দিয়ে মহালয়ার সন্ধ্যায় তৃণমূলের শারদ সংখ্যা “জাগো বাংলার” উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে দেখা গেল প্রশান্ত কিশোরকে। অতিথিদের একদম সামনের সারিতে বসে ছিলেন তিনি। এদিনের এই অনুষ্ঠানের শুরুতেই তৃণমূল কাউন্সিলর অনন্যা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তার কলাক্ষেত্রমের শিক্ষার্থীরা “রাজে কল্যাণী” নামে একটি নৃত্য পরিবেশন করেন।

আর এরপরই বক্তব্য রাখতে উঠে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভূয়সী প্রশংসা করেন বিশিষ্ট কবি জয় গোস্বামী। তিনি বলেন, “আমরা এমন একজন মুখ্যমন্ত্রীকে পেয়েছি, যিনি শুধু রাজ্যের উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের কথাই ভাবেন না, একাধারে ছবি আঁকেন, গানের সুর দেন, বই সম্পাদনা করেন। আমরা যারা লেখক, অনেক সময় কোণঠাসা হয়ে পড়ি, তাদের সুযোগ ও সম্মান দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।” একইভাবে মুখ্যমন্ত্রীর প্রশংসা করতে দেখা যায় বিশিষ্ট অভিনেত্রী সন্ধ্যা রায়কেও।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন তিনি বলেন, “ঈশান কোণে মেঘ দেখা দিচ্ছে। কেউ কেউ অশান্ত করার চেষ্টা করছে। মমতার হাতকে শক্ত করতেই হবে।” আর এরপরই বক্তব্য রাখতে উঠে বিরোধীদের তীব্র আক্রমনের রাস্তায় হাঁটেন তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। “বাংলার মাটিকে কেউ কেড়ে নিতে পারবে না” – বলে শারোদৎসবের সূচনা লগ্নেই নাম না করে গেরুয়া শিবিরকে আক্রমন করতে দেখা যায় তাঁকে। পাশাপাশি দলীয় কর্মী-সমর্থকদের মনোবল বাড়াতেও একাধিক কথা জানান তিনি।

এদিন তৃণমূল নেত্রী বলেন, “জাগো বাংলা ভালো করে পড়ুন, বাংলাকে চিনুন। রোজ যাতে জাগো বাংলা বের হয়, তার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। তৃণমূলকে বাংলার মাটি থেকে কেড়ে নেওয়া সম্ভব নয়। আমাদের সংস্কৃতিকে আমরা নষ্ট হতে দেব না। বাংলার মাটিকে রক্ষা করার দায়িত্ব আমাদের সকলের।” রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, সম্প্রতি রাজ্যে এসে বিজেপির সর্বভারতীয় কার্যকরী সভাপতি জেপি নাড্ডা তৃণমূলকে ব্যাপক কটাক্ষ করে “রাজ্যে বিজেপি আসছে এবং তৃণমূল যাচ্ছে” বলে মন্তব্য করেছিলেন।

আর, তাই বাঙালির সবথেকে বড় উৎসবের আগে, কার্যত জেপি নাড্ডার তোলা সেই সব অভিযোগেরই জবাব দিলেন তিনি। একইসঙ্গে, এদিন জাগো বাংলার উৎসব সংখ্যার প্রচ্ছদ উদ্বোধনী অনুষ্ঠান থেকে কিছুদিন আগেই মোদির প্রশংসা করা তৃণমূলের রণনীতিকার প্রশান্ত কিশোরকে অতিথিদের সামনে বসিয়ে এক ঢিলে দুই পাখি মারার চেষ্টা করলেন তৃণমূল নেত্রী বলে বিশেষজ্ঞদের।

সবথেকে বড় কথা দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র করেই জনসমর্থনে বিজেপিকে পিছনে ফেলে দেওয়ার পরিকল্পনায় আছে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। ফলে, দলীয়স্তরে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, পুজোর দিনগুলিতেও দলীয় কর্মীদের ছুটি নেই। মন্ডপে মন্ডপে জনসংযোগে জোর দিতে হবে। আর তাই, রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন – কর্মীদের মনোবল বাড়াতেই, প্রশান্ত কিশোরকে হাজির করে সব জল্পনার অবসান ঘটানোর পাশাপাশিই, জ্বালাময়ী বক্তৃতা দিয়ে আরও উদ্দীপ্ত করে দেওয়ার চেষ্টা করলেন তৃণমূল নেত্রী।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!