এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > মেদিনীপুর > খড়গপুরকে ধন্যবাদ দিতে আজ হেলিকপ্টারে মুখ্যমন্ত্রী! তৃণমূলের লক্ষ্য বড়সড় শক্তি প্রদর্শন

খড়গপুরকে ধন্যবাদ দিতে আজ হেলিকপ্টারে মুখ্যমন্ত্রী! তৃণমূলের লক্ষ্য বড়সড় শক্তি প্রদর্শন


তৃণমূলের কাছে চ্যালেঞ্জ ছিল, খড়গপুর বিধানসভা কেন্দ্র দখল করা। সেইমত শুভেন্দু অধিকারীকে পর্যবেক্ষক করে এই কেন্দ্র নিজেদের দখলে এনেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে উপনির্বাচনে এই কেন্দ্রে জয়লাভ করলে, তিনি যে সেখানে মানুষকে ধন্যবাদ জানাতে যাবেন, তা আগেভাগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন তৃণমূল নেত্রী। অবশেষে কথা রাখতে চলেছেন তিনি। জানা গেছে, আজ সোমবার খড়্গপুরের রাবণ পোড়া ময়দানে হেলিকপ্টারে করে প্রশাসনিক সভা করতে আসছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

ইতিমধ্যেই দলের সর্বোচ্চ নেত্রী তথা প্রশাসনিক প্রধানের এই সভাকে ঘিরে জোর প্রস্তুতি শুরু হয়েছে তৃণমূলের অন্দরে। উপনির্বাচনে প্রথম তৃণমূল এই খড়গপুর বিধানসভা কেন্দ্র দখল করায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ভালোভাবে স্বাগত জানাতে চায় জেলা তৃণমূল পরিবার। খড়গপুর দখল করার পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেই খড়্গপুরে এসে প্রশাসনিক সভা থেকে সেখানকার মানুষদের জন্য ঠিক কি উন্নয়ন প্রকল্প ঘোষণা করেন! সেদিকে তাকিয়ে রয়েছেন সকলেই।

ইতিমধ্যেই এই সভাকে সফল করতে তৃণমূল নেতৃত্ব 50 হাজার কর্মী-সমর্থক জমায়েতের টার্গেট নিয়েছে। পাশাপাশি জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রায় প্রতিটি আধিকারিক, কর্তাব্যক্তিরা সভা মঞ্চ পরিদর্শন করে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি সেরে রাখছেন। বস্তুত, এবার খড়গপুর বিধানসভা কেন্দ্রে তৃণমূল প্রথম এবার জয়লাভ করায় মানুষের কাছে অনেক প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। তাই সামনের 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনে এই কেন্দ্রে নিজেদের জয়ের ধারা অব্যাহত রাখতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় খড়্গপুরে এসে যদি কোনো ঘোষণা না করেন, তাহলে সাধারণ মানুষের মনে হতাশার সৃষ্টি হতে পারে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

ফলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই প্রশাসনিক সভা থেকে সাধারণ মানুষকে নিরাশ করবেন না বলেই মত একাংশের। জানা গেছে, খড়্গপুরের মানুষের চাহিদা অনুযায়ী স্টেডিয়াম এবং অডিটোরিয়াম যাতে সেখানে করা যায়, তার জন্য বিধায়ক হয়েই মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আর্জি জানিয়েছেন প্রদীপ সরকার। ফলে আজ প্রশাসনিক সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী এই ব্যাপারে কোনো আশার বাণী শোনান কিনা, সেদিকে তাকিয়ে রয়েছেন গোটা জেলার মানুষ। তবে দলের সর্বোচ্চ নেত্রী খড়্গপুরে আশায় তৃণমূল নেতৃত্ব তাদের শক্তি প্রদর্শন করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে।

বিধানসভা উপনির্বাচনে জয় যুক্ত হওয়ার পর নেত্রীর প্রশাসনিক সভায় যাতে রেকর্ড ভিড় করা যায়, তার জন্য জোর প্রস্তুতি শুরু হয়েছে ঘাসফুল শিবিরের অন্দরে। এদিন এই প্রসঙ্গে জেলা তৃণমূলের সভাপতি অজিত মাইতি বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী খড়গপুরবাসীকে কৃতজ্ঞতা জানাতে আসছেন। এখানে তিনি জেলার সব প্রান্তের বহু নতুন প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন। প্রায় 50 হাজারের কাছাকাছি সাধারণ মানুষ সভায় হাজির হবেন ধরে নিয়ে আমরা ব্যবস্থা করেছি।”

তবে তৃণমূল নেতৃত্ব রেকর্ড জনসমাগম করে মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক সভাকে সার্থক করে তুললেও, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় খড়গপুরবাসীকে ধন্যবাদ জ্ঞাপনের সভা থেকে কি উপহার দেন! সেদিকেই নজর সকলের। কেননা এই খড়্গপুর এতদিন কংগ্রেসের লিজেন্ডারি প্রার্থী জ্ঞান সিংহ সোহনপালের গড় ছিল। সেখানে ২০১৬-এর বিধানসভা নির্বাচনে জিতে সকলকে চমকে দেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। কিন্তু তাঁর লোকসভার ৪৫ হাজারের লিড মুছে খড়্গপুরবাসী উন্নয়ন দেখতেই তৃণমূলকে জয়ী করেছেন বলে দাবি ঘাসফুল শিবিরের।

সুতরাং, মুখ্যমন্ত্রীর উন্নয়নের ডালির দিকেই নজর থাকবে সকলের। কিন্তু, যদি তা পূরণ না হয়, তাহলে কিন্তু বিরোধীরা তা নিয়ে কম কটাক্ষ করতে ছাড়বেন না! ইতিমধ্যেই খড়্গপুরে কান পাতলে শোনা যাচ্ছে বিরোধীদের বক্তব্য – কলকাতার এত কাছে হওয়া সত্ত্বেও মুখ্যমন্ত্রী হেলিকপ্টারে করে আসছেন! নিজে বারবার বলেন টাকা নেই, তাহলে এত লাক্সারি কি করে আসে? তাই হেলিকপ্টার প্রদর্শন নয়, তৃণমূল নেত্রীর কাছে উন্নয়নের মন্ত্রী শুনতে চাইছেন খড়্গপুরবাসী।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!