Big Breaking: একের পর এক বিদ্রোহে বড়সড় ভাঙনের আশঙ্কা তৃণমূলে? খোদ দলনেত্রী নিচ্ছেন পদক্ষেপ তৃণমূল বিশেষ খবর রাজনীতি রাজ্য হাওড়া-হুগলি January 27, 2021 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যোগদান করার পর থেকেই একের পর এক নেতা বিস্ফোরক হতে শুরু করেছেন। হাওড়া থেকে শুরু করে হুগলি, বিভিন্ন জেলার তৃণমূল নেতারা কখনও দলীয় পদ ছেড়ে দিয়ে আবার কখনও বা মন্ত্রী পদ ছেড়ে দিয়ে দলের বিড়ম্বনা বাড়িয়ে দিয়েছেন। আর এই পরিস্থিতিতে আগামী 30 জানুয়ারি রাজ্যে আসতে চলেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। আর তখন তৃণমূলের কোনো বড় হেভিওয়েট ঘাসফুল শিবির ছেড়ে পদ্ম শিবিরে নাম লেখাতে পারেন বলে জল্পনা তৈরি হয়েছে। আর এই পরিস্থিতিতে এবার দলকে সঙ্গবদ্ধ করতে আগামী 29 জানুয়ারি মহাবৈঠকের ডাক দিলেন তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, আগামী 29 তারিখ তৃণমূল ভবনে দলের সাংসদ এবং বিধায়কদের নিয়ে জরুরি বৈঠকের ডাক দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী। স্বাভাবিকভাবেই এই বৈঠককে কেন্দ্র করে এখন জল্পনা ক্রমশ বাড়তে শুরু করেছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ইতিমধ্যেই হুগলির একটি সভা থেকে যারা দলের বিরুদ্ধে বেসুরো মন্তব্য করছেন, তাদের বার্তা দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যেখানে যারা অন্য দলে যেতে চান, তারা চলে যান বলে জানিয়ে দিয়েছেন তিনি। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - আর তারপরের দিনই উত্তরপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক ঘোষাল দলের কোর কমিটির সদস্য এবং জেলা তৃণমূলের মুখপাত্র পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে দিয়েছেন। অন্যদিকে আশঙ্কা করা হচ্ছে, খুব তাড়াতাড়ি রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বৈশালী ডালমিয়া বড় কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। আর এই পরিস্থিতিতে নির্বাচনের আগে যদি একের পর এক হেভিওয়েট নেতা দলত্যাগ করেন, তাহলে তা যে শাসকদলের কাছে বড় অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়াবে, তা বুঝতে শুরু করেছে তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব। তাই এই পরিস্থিতিতে এবার দলকে সঙ্ঘবদ্ধ করতে এবং কার কি মনে রয়েছে, তা বুঝে নিতেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দলের সমস্ত জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে এই ধরনের বৈঠকের ডাক দিয়েছেন বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই ধরনের গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকের ডাক দিলেও, তা নিয়ে একাংশের যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে। অনেকে বলছেন, যারা ইতিমধ্যেই বিদ্রোহ ঘোষণা করেছেন, তারা আদৌ দলে সক্রিয় হবেন কিনা, তা যথেষ্ট সংশয়ের বিষয়। তবে অনেকে আবার বলছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যদি হাল ধরেন, তাহলে সকলেই দলের জন্য কাজ করতে উদ্যত হবেন। তাই সমস্ত বিধায়ক এবং সাংসদের কাছ থেকে তাদের মনের কথা শুনে নিতে চাইছেন তৃণমূল নেত্রী। আর অমিত শাহের সফরের আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই বৈঠক যে রাজ্য রাজনীতিতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত বিশেষজ্ঞরা। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের। আপনার মতামত জানান -