উত্তরপ্রদেশে “অমানবিক” কাজ করছে যোগী সরকার? বাংলায় বসেই ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন মমতা! কলকাতা জাতীয় রাজ্য May 16, 2020 বাংলায় প্রতিনিয়ত লকডাউন ভাঙছে বলে ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকারকে চাপে ফেলতে শুরু করেছে ভারতীয় জনতা পার্টি। পাশাপাশি কেন্দ্রের তরফেও এই ব্যাপারে মন্তব্য করে রাজ্যের অস্বস্তি বাড়িয়ে দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। তবে বাংলা করোনা মোকাবিলায় সবথেকে সেরা কাজ করেছে বলে বারবার দাবি করে আসছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এবার বিজেপি পরিচালিত উত্তরপ্রদেশ সরকারের একটি পদক্ষেপকে ঘিরে প্রশ্ন তুলে বিজেপিকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করলেন বাংলার প্রশাসনিক প্রধান। বস্তুত, গত 11 মে উত্তরপ্রদেশে বুলন্দশহর এলাকার পুলিশের তরফ থেকে একটি নির্দেশিকা জারি করা হয়। যেখানে জানানো হয় যে, লকডাউনের মধ্যে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে আটকে পড়া শ্রমিকদের জন্য খাদ্য এবং পানীয় জলের ব্যবস্থা যে বা যারা করবে, তাদের বিরুদ্ধে আইনগত প্রক্রিয়া চালু করা হবে। আর বিজেপি সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে রীতিমতো ক্ষোভে ফুসতে শুরু করেন সাধারন মানুষ। এই দুর্দিনে যদি শ্রমিকদের খাদ্য এবং জল দেওয়া হয়, তাহলে তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিয়ে কেন আমানবিক আচরণ করছে বিজেপি সরকার! আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - তা নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন অনেকে। আর উত্তরপ্রদেশ সরকারের এই অমানবিক আচরণের কথা তুলে ধরে এবার ঘনিষ্ঠমহলে এই ব্যাপারে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কলকাতার এক বহুল প্রচারিত সংবাদপত্রের, এদিন ঘনিষ্ঠ মহলে তিনি বলেন, “পরিযায়ী শ্রমিকদের নিয়ে বিজেপির অবস্থান ঠিক কি, তা স্পষ্ট হল।” বিশেষজ্ঞরা বলছেন, উত্তরপ্রদেশের বিজেপি সরকারের পক্ষ থেকে এই নির্দেশ জারী করার পরেই তা নিয়ে নানা মহলে সমালোচনা শুরু হয়। আর বাংলায় যখন করোনা বাড়ছে বলে দাবি করছে ভারতীয় জনতা পার্টি, ঠিক তখনই উত্তর প্রদেশ সরকারের এই অমানবিক আচরণের কথা তুলে ধরে ঘনিষ্ঠ মহলে ক্ষোভ প্রকাশ করে বিজেপির বিরুদ্ধে সরব হলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী বলে মত রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের। একাংশের প্রশ্ন, সত্যিই তো তাই! কেন এই ধরনের অমানবিক সিদ্ধান্ত নিল উত্তরপ্রদেশ সরকার? জানা গেছে, সরকারের পক্ষ থেকে বিবৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে পুলিশের পক্ষ থেকে এই নির্দেশ জারি করা হয়েছে। কেননা হেঁটে যদি কোনো শ্রমিক গন্তব্যের দিকে যান এবং খাবার খান, তাহলে একজনের বাড়ির সামনে অনেক মানুষ জড়ো হতে পারেন। আর এর ফলে লঙ্ঘন হতে পারে লকডাউনের নিয়ম। আর তাই সকলকে সতর্ক করতে এবং কেউ যাতে খাবার না দেয়, আর সেই খাবার দিলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে সরকার। আর তার ফলে এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পক্ষ থেকে ঘনিষ্ঠমহলে বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে বিরোধিতা রাজনৈতিক মহলে তীব্র চর্চা সৃষ্টি করল বলেই মত সকলের। এখন গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, তার দিকেই নজর থাকবে সকলের। আপনার মতামত জানান -