এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > মমতা সরকারের স্থায়িত্ব থাকছে কদিন? মুকুল রায়ের মন্তব্যে বাড়ছে জল্পনা

মমতা সরকারের স্থায়িত্ব থাকছে কদিন? মুকুল রায়ের মন্তব্যে বাড়ছে জল্পনা

তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদানের পরেই একের পর এক চমক দিতে থাকেন মুকুল রায়। তৃণমূলের অনেক হেভিওয়েট নেতা, বিধায়কদের বিজেপিতে যোগদান করিয়ে নিজের প্রাক্তন দলের চাপ বাড়িয়ে দেন তিনি। তবে এই বিপুল নেতাকর্মীর দল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান খুব একটা ভালো ভাবে মেনে নিতে পারেননি তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব। আর তাই তো পরিস্থিতি সামাল দিতে, অবস্থা অনেকটাই পাল্টে যাবে। সকলেই তৃনমূলে ফিরে আসবে বলে দাবি করতে শুরু করে ঘাসফুল শিবির।

এমনকি তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি বাস্তবের সঙ্গে মাঝে মিলতেও দেখা যায়। পরবর্তী সময়ে যে সমস্ত পৌরসভার কাউন্সিলররা বিজেপিতে গিয়েছিলেন, তারা আবার ফের তৃণমূলে ফিরে আসতে শুরু করেন। এমনকি, লোকসভা নির্বাচনের পরে বহু পঞ্চায়েতও বিজেপির হাত থেকে ‘ঘর ওয়াপসি’ করিয়ে ছিনিয়ে নেয় তৃণমূল। যা নিঃসন্দেহে চিন্তা বাড়ায় গেরুয়া শিবিরের। কিন্তু এবার বঙ্গ বিজেপির চাণক্য মুকুল রায়ের কথায় তৃণমূলের চাপ অনেকটাই বাড়বে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহল।

প্রসঙ্গত, এদিন মুকুল রায় দাবি করেন, তৃণমূলের প্রায় 108 জন বিধায়ক অমিত শাহর কাছে চিঠি দিয়ে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। আর মুকুলবাবুর এই দাবিকে ঘিরেই এখন রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে জল্পনা। একাংশের প্রশ্ন, যদি এই 108 জন বিধায়ক বিজেপি নেতার কথা অনুযায়ী তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করার ব্যাপারে ইচ্ছাপ্রকাশ করেন, তাহলে কি তৃণমূল সরকার সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারাবে! বিশেষজ্ঞদের মতে, এই সন্দেহ একেবারেই উড়িয়ে দেওয়া যায় না।

কেননা সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে হলে কোনো দলের 148 জন বিধায়ক থাকতেই হবে। এদিকে, নির্বাচন ও উপনির্বাচনে জিতে ইতিমধ্যেই বিজেপির কাছে ১৬ জন বিধায়ক রয়েছে। সেদিক থেকে মুকুল রায়ের এই দাবি অনুযায়ী, যদি 108 জন বিধায়ক বিজেপিতে যোগদান করেন, তাহলে বিজেপির কিছু বিধায়কদের সংমিশ্রণে তারা সেই সংখ্যার অনেক কাছাকাছি পৌঁছে যাবে বলে মত ওয়াকিবহাল মহলের। এর পাশাপাশিই, সরকারিভাবে বর্তমানে তৃণমূলের বিধায়ক সংখ্যা ২১১। অন্যদলের দলবদলু ধরলে সংখ্যাটা ২২২।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সেক্ষত্রে, ১০৮ জন বিধায়ক তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে গেলে সরকারি-বেসরকারিভাবে তৃণমূলের বিধায়ক সংখ্যা দাঁড়াবে ১১৪ – যা সংখ্যাগরিষ্ঠতার থেকে অনেকটাই কম! তবে, অনেকে আবার বলছেন, বিজেপি যতটা সহজ ভাবে বলছে, ব্যাপারটা তত সহজ নয়। অতটা সহজে বিজেপি তাদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা দখল করতে পারবে না। তাই সেদিক থেকে জল্পনা থেকেই যাচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, রাজনীতিতেকে কখন কোন দিকে থাকবে, তা নিশ্চিত করে বলতে পারেন না কেউই।

তবুও, তৃণমূল সরকারের বিধায়করা যদি 108 জন বিধায়ক বিজেপিতে যোগদান করেন, তাহলে বিজেপি সংখ্যাগরিষ্ঠতা কাছে পৌঁছতে পারছে না। কেননা, তাহলে সবমিলিয়ে বিজেপির বিধায়ক সংখ্যা হবে ১২৪। সংখ্যাগরিষ্ঠতার প্রয়োজনে তাদের আরও অন্তত ২৪ জন বিধায়ক জোগাড় করতে হবে। কিন্তু, মুকুল রায়ের দাবি সত্যি হলে একটা কথা নিশ্চিত, তৃণমূল সরকার বিধানসভায় সংখ্যালঘু হয়ে পড়বে। সোজা কথায় বাংলার বিধানসভা সেক্ষেত্রে কার্যত ত্রিশঙ্কু হয়ে যাবে!

তাহলে, কি গেরুয়া শিবিরের নেতারা যা দাবি করছেন – তাই সত্যি হবে অবশেষে? অর্থাৎ ২০২১ পর্যন্ত টিকবে না বর্তমান সরকার, তার আগেই ভোট হয়ে যাবে! কেননা, কোনো সরকার যদি সংখ্যাগরিষ্ঠতা করতে না পারে, সেক্ষেত্রে বিধানসভা ভেঙে দিয়ে ৬ মাসের মধ্যে নির্বাচন করানোর পথে হাঁটবেন রাজ্যপাল। সব মিলিয়ে এখন মুকুল রায়ের দাবি কতটা সত্যি হয় এবং সেই দাবি সত্য হলে বিজেপি তৃণমূলকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে নিজেরা ক্ষমতা দখল করতে পারে কিনা, সেদিকেই আপাতত তাকিয়ে সকলে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!