এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > ভোট মিটলেই গ্রেপ্তার হবেন মুকুল রায়? জল্পনা বাড়ালেন খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়!

ভোট মিটলেই গ্রেপ্তার হবেন মুকুল রায়? জল্পনা বাড়ালেন খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়!


দেশের সপ্তদশ লোকসভা নির্বাচনের প্রথম চার পর্ব হয়ে গেছে – বাকি আর তিন পর্ব। কিন্তু বাকি এই তিন পর্বেই রাজ্যের একাধিক হেভিওয়েট ও মেগাস্টার কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ বাকি। ফলে, রাজ্যজুড়ে প্রচারে ঝড় তুলছে প্রবল যুযুধান দুই প্রতিপক্ষ তৃণমূল কংগ্রেস ও বিজেপি। বিজেপির হয়ে প্রচারের মূল ‘ব্যাটন’ যেমন নরেন্দ্র মোদির হাতে, তৃণমূলের হয়েও প্রচারের মূল ‘ব্যাটনটা’ তুলে নিয়েছেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর দুই পক্ষের গরমাগরম কথার লড়াইয়ে ক্রমশ জমে উঠছে ভোটযুদ্ধ।

তবে, বিজেপির বিরুদ্ধে আক্রমন শানালেও, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে এখন মূল ‘আতঙ্কের’ নাম বোধহয় একদা তাঁরই হয়ে ভোট সামলানো ও বর্তমানে গেরুয়া শিবিরের ভোট বাড়ানোর দায়িত্বে থাকা মুকুল রায়। কেননা, নিজের নির্বাচনী প্রচারসভা থেকে নরেন্দ্র মোদির পরেই যদি কাউকে আক্রমনের চূড়ান্ত নিশানা তিনি করে থাকেন – তাঁর নাম মুকুল রায়। মুকুল রায় দল ছাড়ার পর – সেই নিয়ে একটিবারের জন্যও মুখ খোলেননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পার্থ চট্টোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিম, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বা জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকই মূলত মুকুল রায়কে দায়িত্ব নিয়েছিলেন তৃণমূলের তরফে।

কিন্তু, যত দিন গেছে, ততই মুকুল রায় নিজের খোলস ছেড়ে বেড়িয়ে নিজের পুরোনো দলকে ভাঙার দায়িত্ব নিয়েছেন। ফলে, আর চুপ থাকতে পারেননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, এক টিভি সাক্ষাৎকারে নাম না করে ‘গদ্দার’ অভিযোগ দিয়ে শুরু। আর তারপরেই নিয়মিত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আক্রমনের নিশানায়, একদা তাঁরই সতীর্থ মুকুল রায়। যদিও, কোথাও তিনি মুকুলবাবুর নাম নেন নি। আর আশ্চর্জজনকভাবে এই সময়েই একের পর এক মামলায় নাম জড়িয়েছে মুকুল রায়ের। যে প্রসঙ্গে মুকুলবাবুর নিজের বক্তব্য, প্রবল বাম জমানাতেও আমার নামে কোনো জিডি পর্যন্ত ছিল না, কিন্তু তৃণমূল ছাড়তেই আমার বিরুদ্ধে একের পর এক ভুয়ো মামলা করা হয়েছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

মুকুলবাবুর ঘনিষ্ঠমহলের আশঙ্কা, এইসব ‘মিথ্যা মামলা সাজানো’ হচ্ছে মুকুলবাবুকে যে কোনো মূল্যে জেলে পোড়ার জন্য। কেননা, মুকুলবাবুর যা সাংগঠনিকস্তরে পরিচিতি, তাঁর হাত ধরে নাকি তৃণমূল দলটা হুড়মুড় করে ভেঙে পড়তে পারে! আর এবার মুকুল রায়ের অনুগামীদের আশঙ্কা সত্যি করে, আজ ভাদ্রেশ্বরের জনসভা তৃণমূল নেত্রী মুকুল রায়ের নাম না করে তাঁকে গদ্দার বলে আক্রমন করেন। একই সঙ্গে অভিযোগ করেন, তিনি নাকি হাওলা কাণ্ডে জড়িত! আর এই প্রসঙ্গেই, তৃণমূল নেত্রীর বক্তব্য, নির্বাচন চলছে বলে ছাড় পেয়ে যাচ্ছেন, অন্য সময় হলে পুলিশ তাঁকে ধরত!

প্রসঙ্গত, গতকাল শ্রীরামপুরে বিজেপি প্রার্থীর হয়ে প্রচারে আসেন প্রধানমন্ত্রী। আর সেই জনসভা থেকে তিনি দাবি করেন যে,”তৃণমূলের ৪০ জন বিধায়ক তাদের সাথে যোগাযোগ রাখছেন বিজেপিতে যোগ দেবার কারণে “আর আজ তাঁর জবাব দিতে গিয়ে মুকুল রায়ের প্রসঙ্গ টেনে এনে তাঁকে তীব্র আক্রমণ করেন।

এদিন তিনি বলেন,”যে গদ্দারের গলায় হাত বুলিয়ে বলছিলে, সে তো বড় হুলার মালিক। হাওলা কাণ্ডে জড়িত। কেস ও হয়েছে।শুধু আমি ভদ্রলোক বলে ইলেকশন চলছে বলে কিছু করতে দিই নি। আমি বলেছি ভাই এখন টাচ করো না। ইলেকশনটা করতে দাও এটা গণতান্ত্রিক অধিকার। অন্য কেউ হলে এখনই গ্রেফতার করে রেখে দিতো। তার গলায় হাত দিয়ে চিটফান্ডের কথা বলছে। সারদা, নারোদা, হাওলার দালাল। মোদির একনম্বর লোক এখন। আর উনি বলছেন যে ৪০ লোক আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন, লজ্জাও করে না,এই একটিমাত্র কারণে অন্যের প্রার্থীপদ বাতিল হওয়া উচিত ” আর এরপরেই রাজনৈতিক মহলে তীব্র জল্পনা, ভোটপর্ব মিটে গেলেই পুলিশ-প্রশাসনের দায়িত্ব আবার ফিরে যাবে রাজ্য সরকারের হাতে! তাহলে তখনই কি ‘হাওলা কাণ্ডে’ মুকুল রায়কে গ্রেপ্তারির তোড়জোড় শুরু হবে? সেই ইঙ্গিতই কি আজ দিয়ে রাখলেন তৃণমূল নেত্রী?

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!