এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > মমতাকে থোড়াই কেয়ার, নিজেকেই পদাধিকারী ঘোষণা নেতাদের! নতুন অশান্তি তৃণমূল শিবিরে!

মমতাকে থোড়াই কেয়ার, নিজেকেই পদাধিকারী ঘোষণা নেতাদের! নতুন অশান্তি তৃণমূল শিবিরে!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – সম্প্রতি বিভিন্ন জেলা নেতাদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে বৈঠক করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যে বৈঠক থেকে তিনি দলের শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দিয়েছিলেন, কোনোভাবেই জেলাস্তরে কোনো পদ দেওয়া যাবে না। এক্ষেত্রে রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনা করেই জেলার কোনো নেতাকে কোনো পদ দিতে হবে। অর্থাৎ জেলার নেতারা নিজেদের মতো করে পদ দেওয়ার কারণেই নিচুতলায় যে অশান্তি তৈরি হচ্ছে, তা বুঝতে পেরেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তাই সেই ব্যাপারে রাশ টানার চেষ্টা করেছিলেন তিনি। তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সেই বার্তা অনেকেই যে মানছেন না, এবার তা পরিষ্কার হয়ে গেল।

জানা গেছে, মালদহ জেলায় তৃণমূলের এখনও পর্যন্ত স্থায়ী কমিটি ঘোষণা করা হয়নি। কিন্তু এই জেলার বেশ কিছু নেতা নিজেদের গুরুত্বপূর্ণ পদাধিকারী বলে পরিচয় দিয়ে প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন। যার ফলে দলের কর্মীরা যেমন বিভ্রান্ত হচ্ছেন, ঠিক তেমনই শৃঙ্খলা প্রশ্নের মুখে পড়ে যাচ্ছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। দলের তরফে বারবার কড়া বার্তা দেওয়া সত্ত্বেও, কেন স্থানীয় নেতারা নিজেদের নেতা বলে প্রচার করছেন, তা নিয়ে উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন।

কিভাবে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া যাবে এবং এই প্রচারকে আটকানো যাবে, তা নিয়ে চিন্তায় রয়েছে জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। তবে ইতিমধ্যেই এই গোটা ঘটনা জেলার তরফে রাজ্যের কানে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি দ্রুত যাতে নতুন কমিটির অনুমোদন করে জেলায় পাঠিয়ে দেওয়া যায়, তার জন্য রাজ্য নেতৃত্বের কাছে আবেদন করেছে জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। যেখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কড়া বার্তা দিয়েছেন, সেখানে তার পরেও কেন জেলা নেতারা এভাবে নিজেদের প্রচার করে চলেছেন?

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এতে কি শৃঙ্খলা নষ্ট হচ্ছে না? জানা গেছে, মালদহ জেলা যুব সভাপতির পদ বর্তমানে ফাঁকা। একসময় যুব সভাপতি ছিলেন অম্লান ভাদুড়ী। কিন্তু বর্তমানে তিনি দলের কো-অর্ডিনেটর। ফলে যুব সভাপতি কে, তা নিয়ে একটা বড় প্রশ্ন রয়ে গেছে।জেলা তৃণমূল ছাত্র পরিষদের অবস্থাও খুব একটা ভালো নয়। প্রসূন রায় সভাপতি থাকলেও, নতুন কমিটি এখনও পর্যন্ত সীলমোহর পায়নি। ফলে যে যার মত করে নিজেদের নামের সাথে পদ লাগিয়ে প্রচার করে চলেছে। যার জন্য দলীয় স্তরে বাড়ছে বিড়ম্বনা। তবে এইভাবে যে কোনোমতেই চলতে পারে না, তা পরিষ্কার করে দিয়েছেন মালদহ জেলা তৃণমূলের সভানেত্রী তথা রাজ্যসভার সাংসদ মৌসম বেনজির নূর।

তিনি বলেন, “এই মুহূর্তে মালদহ জেলা সভানেত্রী, জেলা চেয়ারম্যান ও জেলা কার্যকরী সভাপতি পদের অনুমোদন রয়েছে। পরে একজন কডিনেটরকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। বাকি কমিটির অনুমোদন রাজ্য নেতৃত্ব এখনও দেয়নি। ওই খসড়া অনুমোদনের চেষ্টা চলছে। অনেকেই বিভিন্ন ক্ষেত্রে নিজেরা দলের পদাধিকারী বলে জানাচ্ছেন। কিন্তু রাজ্য কমিটির অনুমোদন ছাড়া এই দাবির কোনো ভিত্তি নেই নিজেকে বড় পদাধিকারী বলে দেখানোর ফলে দলের ক্ষতি হলে সেই ব্যক্তিকেই খেসারত দিতে হবে।”

অর্থাৎ জেলা সভানেত্রীর কথায় স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে যে, এইরকম প্রচার চলার ফলে দল কিছুটা হলেও অসুবিধায় পড়েছে। একাংশের প্রশ্ন সম্প্রতি ভিডিও বার্তায় এই ব্যাপারে দলকে সতর্ক করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কিন্তু তার পরেও যারা নেতৃত্ব নির্দেশকে উপেক্ষা করে নিজের মতো করে প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন তারা কি আদৌ দলকে মানেন! যেখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তৃণমূলের সব, সেখানে তার বার্তাকে না মেনে যেভাবে মালদহ জেলার কিছু নেতা নিজের নামের সঙ্গে পদ জুড়ে দিচ্ছেন, তাতে তাদের প্রতি রাশ টানা জেলা নেতৃত্বের পক্ষে আদৌ সম্ভব হবে কিনা, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে রাজনৈতিক মহলে। এখন গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!